কোচবিহার, 30 অগস্ট: সোমবার কলকাতায় ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজবংশীদের অপমান করেছেন । তাই মুখ্যমন্ত্রীকে রাজবংশীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে । কোচবিহার প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই দাবি করলেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বংশীবদন বর্মন । মমতা ক্ষমা না-চাইলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি । প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের যে সমস্ত পদে তিনি রয়েছেন, সেগুলি থেকে পদত্যাগ করবেন বলেও জানিয়েছেন বংশীবদন বর্মন। আর তাঁর এই বক্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে ।
পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবিকে সামনে রেখে যারা আন্দোলন করে আসছেন তাদের মধ্যে অন্যতম বংশীবদন বর্মন নেতৃত্বাধীন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বংশীবদনের ভালো সম্পর্ক । রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গঠিত হওয়া রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি এবং রাজবংশী ডেভেলপমেন্ট ও কালচারাল বোর্ডের চেয়ারম্যান পদেও আসীন তিনি । এমনকী বিগত দিনে বিভিন্ন নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে এই গ্রেটার নেতাকে।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচিতে এলে সেখানে হাজির থাকেন বংশীবদন বর্মন । এসবের মধ্যেই মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি দাবি করেন, "মুখ্যমন্ত্রী রাজবংশীদের উন্নয়নে বহু কাজ করেছেন । এজন্য আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ । কিন্তু সোমবার কলকাতার মেয়ো রোডে ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজবংশীদের সম্পর্কে অপমানসূচক মন্তব্য করেছেন তিনি । সেই ঘটনার ধিক্কার জানাই এবং এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে ।"
আরও পড়ুন: চাঁদে গিয়েছিলেন রাকেশ রোশন ! মমতার স্লিপ অফ টাং-এ ট্রোলের বন্যা সোশালে
যদিও বিষয়টি নিয়ে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতীম রায় বলেন, "বংশীদা হয়তো ভুল বুঝছেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনই রাজংশীদের সম্পর্কে অপমানসূচক মন্তব্য করেননি ।" তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি । কোচবিহার জেলা সম্পাদক বিরাজ বোস বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে রাজবংশীদের সম্পর্কে অপমানসূচক মন্তব্য করেছেন তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না । অবিলম্বে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষজনের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত তাঁর ।"