কোচবিহার, 11 ফেব্রুয়ারি : ডেঙ্গি, জাপানিজ় এনসেফ্যালাইটিসের মতো পতঙ্গবাহিত রোগ মোকাবিলায় কাজ শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ ৷ ফেব্রুয়ারি থেকেই কাজ শুরু করা হয়েছে ৷ বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গল পরিষ্কার থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷ জেলা সদর থেকে মহকুমা, ব্লক কিংবা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ভেক্টর কন্ট্রোল টিমকে নামিয়ে এই কাজ করা হবে ৷
প্রতিবছর পতঙ্গবাহিত রোগ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিভাগের কাজ শুরু করতে অনেকটা দেরি হয়ে যায় । তাই এবার আগেভাগেই মোকাবিলায় নেমেছে স্বাস্থ্যবিভাগ ৷ কোচবিহার জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, 2013 সালে কোচবিহার জেলায় ডেঙ্গি রোগীর দেখা মেলেনি । তবে 2014 সালে চারজনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া যায় । 2015 সালে 19 জন, 2016 সালে 29 জন, 2017 সালে 223 জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মেলে । 2018 সালে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় 64-তে । এরপর 2019 সালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায় । কোচবিহার জেলায় গত জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত 539 জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে । তবে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি ৷
অন্যদিকে, জাপানিজ় এনসেফ্যালাইটিসে গতবছর চারজন আক্রান্ত হন । তার মধ্যে দু'জন মারা যান । এসব বিষয় মাথায় রেখেই এবার আগে থেকে কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্যবিভাগ । জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ ও প্রশাসন গ্রামে গ্রামে ভিলেজ রিসোর্স কর্মী নিয়োগ করে এলাকা পরিষ্কার রাখা, গ্রামে গ্রামে ডেঙ্গি রোগ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে । এছাড়াও জেলা মৎস্যবিভাগের সহযোগিতায় এবার বহু এলাকার জলাশয়ে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে । যার ফলে পতঙ্গবাহিত রোগীর সংখ্যা অনেকটা কমবে বলে আশাবাদী স্বাস্থ্যবিভাগ ৷
কোচবিহার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গাঙ্গুলি বলেন, "পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এবার আমরা আগেভাগেই কাজে নেমেছি । আশা করছি সাফল্য পাব ৷ "