ETV Bharat / state

Cooch Behar Rash Festival: লক্ষ্য ইউনেসকোর হেরিটেজ স্বীকৃতি, রাসমেলা নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করছে কোচবিহার পৌরসভা

কোচবিহারের রাসমেলা (Cooch Behar Rash Festival) যাতে ইউনেসকোর তরফে আন্তর্জাতিক হেরিটেজ স্বীকৃতি পায় সেই লক্ষ্যে উদ্যোগী হল কোচবিহার পৌরসভা (Cooch Behar Municipality) ৷ 200 বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কোচবিহার রাসমেলার ওপর তথ্যচিত্র তৈরি করে তা ইউনেসকোর কাছে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে তারা।

Cooch Behar Rash Festival
রাসমেলা নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করছে পৌরসভা
author img

By

Published : Oct 9, 2022, 8:23 PM IST

কোচবিহার, 9 অক্টোবর: ইউনেসকোর (UNESCO) তরফে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলেছে বাংলার দুর্গাপুজোর। তাহলে 200 বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কোচবিহার রাসমেলা কেন ইউনেসকোর স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হবে? ইউনেসকো-র হেরিটেজের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য তাই উদ্যোগী হল কোচবিহার পৌরসভা। রাসমেলার উপর তথ্যচিত্র তৈরি করে তা ইউনেসকোর কাছে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে কোচবিহার পৌরসভা (Cooch Behar Municipality is Making a Documentary on Rash Festival)।।

কোনও বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে সেই তথ্যচিত্র বানানো হবে। এমনটা জানিয়েছেন কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ৷ তিনি বলেন, "বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। কোচবিহারের রাসমেলা 200 বছরের বেশি পুরনো ৷ এত পুরনো মেলা ভারতবর্ষের কোথাও হয় বলে জানা নেই। তাই এই রাস মেলা যাতে আন্তর্জাতিক হেরিটেজ স্বীকৃতি পায় সেই লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"

উল্লেখ্য, কোচবিহারের মহারাজা হরেন্দ্র নারায়ণ 1812 সালে ভেটাগুড়িতে রাস পূর্ণিমার দিন রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করেন ৷ ওই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ভেটাগুড়িতে মেলা বসে। আর সেই থেকেই এই মেলা চলে আসছে। পরবর্তীতে রাজপ্রাসাদ কোচবিহার শহরে স্থানান্তরিত হয় এবং মদনমোহন মন্দির বৈরাগী দিঘির পাড়ে প্রতিষ্ঠিত হলে সেই বৈরাগী দিঘিকে কেন্দ্র করে বিশাল এলাকাজুড়ে মেলা (Rash Festival) বসে।

আরও পড়ুন: পুরুলিয়াতেও দুর্গাপুজো কার্নিভাল, অংশগ্রহণ 15টি পুজো কমিটির

ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দোকানিরা তাঁদের পসরা নিয়ে আসেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও ব্যবসায়ীরা ইলিশ, গুড়, শাড়ি-সহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে আসেন। প্রথা অনুযায়ী রাসচক্র ঘুরিয়ে রাস উৎসবের সূচনা করেন কোচবিহারের জেলাশাসক। পাশাপাশি পৌরসভার উদ্যোগে মেলা হয়। এ বছর মেলা 15 দিনের পরিবর্তে 20 দিন করা হয়েছে। পাশাপাশি এই রাসমেলাকে যাতে ইউনেসকো আন্তর্জাতিক হেরিটেজ স্বীকৃতি দেয় সেই লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়েছে পৌরসভা।

রাসমেলা নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করছে পৌরসভা

কী থাকবে রাসমেলার উপর তৈরি সেই তথ্যচিত্রে? জানা গিয়েছে রাজ আমল থেকে আজ পর্যন্ত রাসমেলা কেমন ও কীভাবে হয়ে আসছে সে কথা তুলে ধরা হবে। টমটমওয়ালা (এক ধরনের খেলার গাড়ি) থেকে শুরু করে মেলায় আসা শালওয়ালাদের কথা, তাঁরা কোথা থেকে মেলায় আসছেন, কতদিন ধরে আসছেন, রাজ আমলের এরকম খুঁটিনাটি সমস্ত তথ্য সেই তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হবে। কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, "কোচবিহারের এই রাসমেলা ভারতবর্ষের অন্যতম প্রাচীন মেলা ৷ ঐতিহ্যবাহী এত পুরনো মেলা ভারতবর্ষে খুব বেশি নেই। এই মেলার সঙ্গে ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। তাই এটি যাতে আন্তর্জাতিক হেরিটেজের স্বীকৃতি পায় সেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।"

আরও পড়ুন: দ্বাদশীর বিকেলে দুর্গাপুর জমজমাট পুজো কার্নিভালে

কোচবিহার, 9 অক্টোবর: ইউনেসকোর (UNESCO) তরফে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলেছে বাংলার দুর্গাপুজোর। তাহলে 200 বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কোচবিহার রাসমেলা কেন ইউনেসকোর স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হবে? ইউনেসকো-র হেরিটেজের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য তাই উদ্যোগী হল কোচবিহার পৌরসভা। রাসমেলার উপর তথ্যচিত্র তৈরি করে তা ইউনেসকোর কাছে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে কোচবিহার পৌরসভা (Cooch Behar Municipality is Making a Documentary on Rash Festival)।।

কোনও বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে সেই তথ্যচিত্র বানানো হবে। এমনটা জানিয়েছেন কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ৷ তিনি বলেন, "বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। কোচবিহারের রাসমেলা 200 বছরের বেশি পুরনো ৷ এত পুরনো মেলা ভারতবর্ষের কোথাও হয় বলে জানা নেই। তাই এই রাস মেলা যাতে আন্তর্জাতিক হেরিটেজ স্বীকৃতি পায় সেই লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"

উল্লেখ্য, কোচবিহারের মহারাজা হরেন্দ্র নারায়ণ 1812 সালে ভেটাগুড়িতে রাস পূর্ণিমার দিন রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করেন ৷ ওই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ভেটাগুড়িতে মেলা বসে। আর সেই থেকেই এই মেলা চলে আসছে। পরবর্তীতে রাজপ্রাসাদ কোচবিহার শহরে স্থানান্তরিত হয় এবং মদনমোহন মন্দির বৈরাগী দিঘির পাড়ে প্রতিষ্ঠিত হলে সেই বৈরাগী দিঘিকে কেন্দ্র করে বিশাল এলাকাজুড়ে মেলা (Rash Festival) বসে।

আরও পড়ুন: পুরুলিয়াতেও দুর্গাপুজো কার্নিভাল, অংশগ্রহণ 15টি পুজো কমিটির

ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দোকানিরা তাঁদের পসরা নিয়ে আসেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও ব্যবসায়ীরা ইলিশ, গুড়, শাড়ি-সহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে আসেন। প্রথা অনুযায়ী রাসচক্র ঘুরিয়ে রাস উৎসবের সূচনা করেন কোচবিহারের জেলাশাসক। পাশাপাশি পৌরসভার উদ্যোগে মেলা হয়। এ বছর মেলা 15 দিনের পরিবর্তে 20 দিন করা হয়েছে। পাশাপাশি এই রাসমেলাকে যাতে ইউনেসকো আন্তর্জাতিক হেরিটেজ স্বীকৃতি দেয় সেই লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়েছে পৌরসভা।

রাসমেলা নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করছে পৌরসভা

কী থাকবে রাসমেলার উপর তৈরি সেই তথ্যচিত্রে? জানা গিয়েছে রাজ আমল থেকে আজ পর্যন্ত রাসমেলা কেমন ও কীভাবে হয়ে আসছে সে কথা তুলে ধরা হবে। টমটমওয়ালা (এক ধরনের খেলার গাড়ি) থেকে শুরু করে মেলায় আসা শালওয়ালাদের কথা, তাঁরা কোথা থেকে মেলায় আসছেন, কতদিন ধরে আসছেন, রাজ আমলের এরকম খুঁটিনাটি সমস্ত তথ্য সেই তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হবে। কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, "কোচবিহারের এই রাসমেলা ভারতবর্ষের অন্যতম প্রাচীন মেলা ৷ ঐতিহ্যবাহী এত পুরনো মেলা ভারতবর্ষে খুব বেশি নেই। এই মেলার সঙ্গে ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। তাই এটি যাতে আন্তর্জাতিক হেরিটেজের স্বীকৃতি পায় সেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।"

আরও পড়ুন: দ্বাদশীর বিকেলে দুর্গাপুর জমজমাট পুজো কার্নিভালে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.