কোচবিহার, 29 মে :কোরোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণের আশঙ্কায় কাজ বন্ধ রেখেছেন ক্ষৌরকাররা৷দেশজুড়ে সর্বত্র এমন পরিস্থিতি৷ কাজ বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই ৷ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তাঁরা৷ গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সরকারি সাহায্যের । কাজ শুরু করতে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের(PPE) প্রয়োজন ৷কিন্তু , প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও মেলেনি কিছুই৷ সবসময় খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ৷ তাই এবার PPE এবং সরকারি সাহায্যের দাবিকে সামনে রেখে তৃণমূলে যোগ দিলেন উত্তরবঙ্গ ক্ষৌরকারের সমন্বয় সমিতির অন্তর্গত মেখলিগঞ্জ লোকাল কমিটির 250জন ক্ষৌরকার ৷
গতকাল,কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ এন.এন মেমোরিয়াল হল ঘরে একটি বৈঠকে উপস্থিতি হন ক্ষৌরকাররা। সেখানে নিজেদের সমস্যা এবং দাবি তুলে ধরেন তৃণমূল নেতা তথা চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র অধিকারীর কাছে৷ বৈঠক শেষে 25জন ক্ষৌরকার পরেশ চন্দ্র অধিকারীর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা হাতে তুলে দেন৷
বৈঠকের প্রথম পর্বে সব ঠিকঠাক থাকলেও কোরোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব না মেনে দলীয় পতাকা নিতে ভিড় করেন ক্ষৌরকাররা৷ অভিযোগ উঠছে সামাজিক দূরত্ব যেখানে কোরোনার রক্ষা কবজ ,সেখানে কী করে একসঙ্গে এতজন দলীয় পতাকা গ্রহণে সামাজিক দূরত্ব মানলেন না ? সব মহলে উঠছে প্রশ্ন ।অনেকেই প্রশ্ন করছেন মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সরকারিভাবে এবং তৃণমূল নেতারা প্রচার অভিযান করছেন বিভিন্ন জায়গায় ,কিন্তু দলে যোগদানের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না কেন ?
যদিও বৈঠকে সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে পরেশবাবু কিছু বলতে চাননি ৷ তবে তাঁর দাবি, সামাজিক দূরত্ব মেনে ক্ষৌরকারদের সমস্যা নিয়ে গতকাল একটি বৈঠক করা হয় । ক্ষৌরকাররা মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগ দেন৷
ক্ষৌরকাররা জানিয়েছেন "কোরোনা পরিস্থিতিতে তাঁরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। খাদ্য সংকটে আছেন ৷ তাই ,তাঁরা সমস্যা এবং দাবি নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন৷
এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা তথা চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র অধিকারী জানান, “কোরোনা পরিস্থিতিতে ক্ষৌরকাররা সম্পূর্ণ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন । তাঁদের সরকারি সাহায্যের দাবি এবং PPE দানের দাবি নিয়ে বৈঠক হয় । তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করলেন ৷ তাঁদের সমস্যা এবং দাবিগুলি প্রশাসনকে জানিয়ে সমাধানের চেষ্টা করব ৷”