কোচবিহার, 21 নভেম্বর: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী এলাকায় সুড়ঙ্গের কাজে গিয়ে ধসে আটকে তুফানগঞ্জের মানিক তালুকদার। টিভিতে খবর মারফত জানতে পেরে দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের সদস্যদের। অভাবের সংসার পরিবারের সদস্যদের মুখে দু'মুঠো অন্ন তুলে দিতে উত্তরাখণ্ডে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন বলরামপুর 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকাডোরা গেরগেন্দার পার এলাকার মানিক তালুকদার (50)। খবর শোনার পর থেকে স্বামীর ছবি বুকে নিয়ে কেঁদে চলেছেন মানিকবাবুর স্ত্রী সোমা তালুকদার।
জানা যায়, প্রায় 6 মাস হল মানিকবাবু উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী এলাকায় সুড়ঙ্গে হায়দরাবাদের এক কোম্পানির হয়ে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজে যান ৷ সেই সুড়ঙ্গে ধস নামে। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের মোট 41 জন শ্রমিক আটকে পড়েছেন এবং তাঁদের মধ্যে বাংলার 3 জন রয়েছেন। 3 জনের মধ্যে একজন কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জের বলরামপুরের মানিক তালুকদার । পরিবারের তরফ থেকে জানা যায়, গত শনিবার (11 নভেম্বর) শেষবার কথা হয় তাঁর সঙ্গে। পরে টিভিতে খবর দেখতে পান যে বাংলার 3 জন শ্রমিক সেই সুড়ঙ্গে আটকে পড়েছেন।
এরপর মানিকবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পরিবারের লোকজন কিন্তু মোবাইল বন্ধ দেখাচ্ছে। কোনও যোগাযোগ করতে পারছেন না। এমনকী কোনও খবর কেউ দিতে পারছেন না। কোম্পানির তরফ থেকেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। মানিকবাবুর স্ত্রী সোমা তালুকদারের কাতর আবেদন একটু যাতে কথা বলা যায় তাঁর সঙ্গে। কিন্তু কোনওভাবে কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না ৷
পরিবারের একমাত্র রোজগারে ব্যক্তির খবর না-পেয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকজন। এদিকে সোমবার মানিক তালুকদারের বাড়িতে যান তুফানগঞ্জ 1 নম্বর ব্লক বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক অনিরুদ্ধ রায়। এ বিষয়ে মানিক তালুকদারের ছেলে জানিয়েছেন, কোম্পানির তরফ থেকে কোনও সেফটি পাইপ রাখা হয়নি, আগে থাকলেও বর্তমানে সেটা খুলে ফেলা হয়েছে। সেফটি পাইপ না-থাকায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি ৷"
আরও পড়ুন: