ETV Bharat / state

স্কুলে কেন 1 মাস 29 দিন ছুটি, কারণ জানাল শিক্ষাদপ্তর - Education Dept.

রাজ্যের স্কুলগুলোয় দীর্ঘদিন ছুটি দেওয়া নিয়ে সরব শিক্ষক সংগঠনগুলো । আজ নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছুটির কারণ ব্যাখ্যা করল শিক্ষাদপ্তর ।

বিকাশভবন
author img

By

Published : May 3, 2019, 9:12 PM IST

কলকাতা, 3 মে : রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলোতে টানা 1 মাস 29 দিনের ছুটি ঘোষণা নিয়ে গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক । শিক্ষক সংগঠনগুলো এই দীর্ঘ ছুটি নিয়ে সরব হয়েছে । সেই সঙ্গে শিক্ষাদপ্তরের জারি করা ক্লাস সাসপেন্ডের নোটিশেও শুরু হয়েছে বিতর্ক । আজ নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছুটির কারণ ব্যাখ্যা করল শিক্ষাদপ্তর ।

শিক্ষক সংগঠনগুলোর দেওয়া বিবৃতির প্রেক্ষিতে আজ শিক্ষাদপ্তরের সচিব মনীশ জৈন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে । বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফণীর কারণে 3 ও 4 মে সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলো বন্ধ থাকবে । তাপ প্রবাহের জন্য 6 মে থেকে 20 মে পর্যন্ত ছুটি থাকবে । এরপর গরমের ছুটির জন্য স্কুলগুলো বন্ধ থাকবে । যা চলবে 30 জুন পর্যন্ত । কিন্তু তাপপ্রভাবের ছুটির সময় শিক্ষকরা স্কুলে উপস্থিত থাকবেন কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও উল্লেখ বিজ্ঞপ্তিতে নেই ।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, "এই ছুটিটা অনেকটাই বেশি। এর ফলে পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটবে ।" মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, "যেভাবে ফণীর নাম করে ও গরমের দোহাই দিয়ে 3 মে থেকে 30 জুন পর্যন্ত পঠনপাঠন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত অযৌক্তিক। এভাবে প্রতিবছর স্কুল বন্ধ রেখে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। একদিকে বেসরকারি স্কুলগুলো সচল থাকবে, অন্যদিকে সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে পঠনপাঠন বন্ধ থাকবে । ফলে অভিভাবকদের মধ্যে একটা ধারণা তৈরি হবে যে, সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পরিবেশ নেই । তাই, আগামী দিনে সরকারি বিদ্যালয়ে স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমবে। অবিলম্বে এ ধরনের আত্মঘাতী সার্কুলার প্রত্যাহার করা না হলে বাংলার শিক্ষকমহল এর বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।"

নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন জানান, রাজ্যজুড়ে প্রায় দুমাস স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করার এক চক্রান্ত। প্রবল দাবদাহের কারণে ক্লাস সাসপেন্ড । অথচ শিক্ষকদের স্কুলে যেতে হবে কি না সে বিষয়ে নোটিশে ধোঁয়াশা রয়েছে । এর অর্থ কী?"

কলকাতা, 3 মে : রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলোতে টানা 1 মাস 29 দিনের ছুটি ঘোষণা নিয়ে গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক । শিক্ষক সংগঠনগুলো এই দীর্ঘ ছুটি নিয়ে সরব হয়েছে । সেই সঙ্গে শিক্ষাদপ্তরের জারি করা ক্লাস সাসপেন্ডের নোটিশেও শুরু হয়েছে বিতর্ক । আজ নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছুটির কারণ ব্যাখ্যা করল শিক্ষাদপ্তর ।

শিক্ষক সংগঠনগুলোর দেওয়া বিবৃতির প্রেক্ষিতে আজ শিক্ষাদপ্তরের সচিব মনীশ জৈন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে । বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফণীর কারণে 3 ও 4 মে সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলো বন্ধ থাকবে । তাপ প্রবাহের জন্য 6 মে থেকে 20 মে পর্যন্ত ছুটি থাকবে । এরপর গরমের ছুটির জন্য স্কুলগুলো বন্ধ থাকবে । যা চলবে 30 জুন পর্যন্ত । কিন্তু তাপপ্রভাবের ছুটির সময় শিক্ষকরা স্কুলে উপস্থিত থাকবেন কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও উল্লেখ বিজ্ঞপ্তিতে নেই ।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, "এই ছুটিটা অনেকটাই বেশি। এর ফলে পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটবে ।" মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, "যেভাবে ফণীর নাম করে ও গরমের দোহাই দিয়ে 3 মে থেকে 30 জুন পর্যন্ত পঠনপাঠন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত অযৌক্তিক। এভাবে প্রতিবছর স্কুল বন্ধ রেখে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। একদিকে বেসরকারি স্কুলগুলো সচল থাকবে, অন্যদিকে সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে পঠনপাঠন বন্ধ থাকবে । ফলে অভিভাবকদের মধ্যে একটা ধারণা তৈরি হবে যে, সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পরিবেশ নেই । তাই, আগামী দিনে সরকারি বিদ্যালয়ে স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমবে। অবিলম্বে এ ধরনের আত্মঘাতী সার্কুলার প্রত্যাহার করা না হলে বাংলার শিক্ষকমহল এর বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।"

নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন জানান, রাজ্যজুড়ে প্রায় দুমাস স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করার এক চক্রান্ত। প্রবল দাবদাহের কারণে ক্লাস সাসপেন্ড । অথচ শিক্ষকদের স্কুলে যেতে হবে কি না সে বিষয়ে নোটিশে ধোঁয়াশা রয়েছে । এর অর্থ কী?"

sample description
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.