ETV Bharat / state

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও কাটল না জট, অনশন না তোলার ইঙ্গিত শিক্ষকদের

আজ দুপুরে উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে  বৈঠক করে ৷ তবে বৈঠকের পরও জট না কাটায় শিক্ষকরা অনশন জারি রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে ৷

আজ প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন অষ্টম দিনে পড়ল
author img

By

Published : Jul 20, 2019, 4:44 PM IST

Updated : Jul 20, 2019, 5:24 PM IST

কলকাতা, 20 জুলাই : শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে অনশনকারী শিক্ষকদের বৈঠক হলেও জট কাটল না ৷ আজ বিকাশ ভবনে ঢোকার সময়য়ও শিক্ষকরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা দুটো দাবিতে এখনও অনড় ৷ আর বৈঠক শেষে তারা জানায়, শিক্ষামন্ত্রী বদলির সিদ্ধান্ত নিয়ে সোমবার দেখবেন বলে তাদের মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন ৷ তবে বেতন কাঠামো প্রসঙ্গে কোনও সদর্থক আলোচনা হয়নি ৷ তাই বৈঠকের পরও জট না কাটায় তারা অনশন জারি রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে ৷

আজ প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান নবম  দিনে পড়ল
আজ প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান নবম দিনে পড়ল

আজ প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান নবম ও অনশন অষ্টম দিনে পড়ল । ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে । আজকের পরিস্থিতি নিয়ে উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস বলেন, "একের পর এক সহকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন । দুর্বল হয়ে পড়ছেন । " প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলছেন তাঁরা ।

আজ প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন অষ্টম দিনে পড়ল
আজ প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন অষ্টম দিনে পড়ল

পৃথা বিশ্বাস বলেন, "আমাদের তো দুটো দাবি । একটা হচ্ছে নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য বেতনক্রম । আর সেই ন্যায্য বেতনক্রমের লড়াই করতে গিয়ে আমাদের যে 14 জন সহকর্মীকে দ্বীপান্তর দেওয়া হয়েছে তাদের ফেরত আনা । এই দুটো ন্যায্য দাবি থেকে আমরা এক চুলও নড়ছি না । সবরকম প্রশাসনিক অসহযোগিতা আমরা পেয়েছি । প্রথম দিন জল দেওয়ার পর জল বন্ধ করে দেওয়া হল । সেই সমস্যার সমাধান করলেন আমাদের শিক্ষকরা । সাধারণ মানুষও প্রচুর এগিয়ে এসেছেন । আর টয়লেট । যাইহোক অনেক চেষ্টার পর কালকে একটা বায়োটয়লেট লাগানো সম্ভব হয়েছে । তবে আমাদের এখন যা কন্ডিশন তাতে করুণাময়ী বা ময়ূখ ভবন যাওয়া খুবই কষ্টকর ।"

উন্নয়ন ভবনের সামনে যেখানে অনশন চলছে, তার ঠিক বিপরীতেই সেন্ট্রাল পার্কে 21 জুলাইয়ের প্রস্তুতির তুলনা করে পৃথা বিশ্বাস বলেন, "সবথেকে কষ্ট লাগে সেই জায়গায় যে, আজকে শিক্ষকরা রাজপথে শুয়ে আছেন । তার জন্য মিনিমাম কোনও ব্যবস্থা নেই । উলটো দিকে রাজনৈতিক দলের সভা হওয়ার জন্য সেখানে কোনও কিছুর অভাব নেই । জলের গাড়ি বলুন, বায়ো টয়লেট বলুন, কোনও কিছুর অভাব নেই । যাই হোক তবু আমাদের মনোবলে কোথাও চিড় ধরছে না ।"

কলকাতা, 20 জুলাই : শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে অনশনকারী শিক্ষকদের বৈঠক হলেও জট কাটল না ৷ আজ বিকাশ ভবনে ঢোকার সময়য়ও শিক্ষকরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা দুটো দাবিতে এখনও অনড় ৷ আর বৈঠক শেষে তারা জানায়, শিক্ষামন্ত্রী বদলির সিদ্ধান্ত নিয়ে সোমবার দেখবেন বলে তাদের মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন ৷ তবে বেতন কাঠামো প্রসঙ্গে কোনও সদর্থক আলোচনা হয়নি ৷ তাই বৈঠকের পরও জট না কাটায় তারা অনশন জারি রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে ৷

আজ প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান নবম  দিনে পড়ল
আজ প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান নবম দিনে পড়ল

আজ প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান নবম ও অনশন অষ্টম দিনে পড়ল । ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে । আজকের পরিস্থিতি নিয়ে উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস বলেন, "একের পর এক সহকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন । দুর্বল হয়ে পড়ছেন । " প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলছেন তাঁরা ।

আজ প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন অষ্টম দিনে পড়ল
আজ প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন অষ্টম দিনে পড়ল

পৃথা বিশ্বাস বলেন, "আমাদের তো দুটো দাবি । একটা হচ্ছে নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য বেতনক্রম । আর সেই ন্যায্য বেতনক্রমের লড়াই করতে গিয়ে আমাদের যে 14 জন সহকর্মীকে দ্বীপান্তর দেওয়া হয়েছে তাদের ফেরত আনা । এই দুটো ন্যায্য দাবি থেকে আমরা এক চুলও নড়ছি না । সবরকম প্রশাসনিক অসহযোগিতা আমরা পেয়েছি । প্রথম দিন জল দেওয়ার পর জল বন্ধ করে দেওয়া হল । সেই সমস্যার সমাধান করলেন আমাদের শিক্ষকরা । সাধারণ মানুষও প্রচুর এগিয়ে এসেছেন । আর টয়লেট । যাইহোক অনেক চেষ্টার পর কালকে একটা বায়োটয়লেট লাগানো সম্ভব হয়েছে । তবে আমাদের এখন যা কন্ডিশন তাতে করুণাময়ী বা ময়ূখ ভবন যাওয়া খুবই কষ্টকর ।"

উন্নয়ন ভবনের সামনে যেখানে অনশন চলছে, তার ঠিক বিপরীতেই সেন্ট্রাল পার্কে 21 জুলাইয়ের প্রস্তুতির তুলনা করে পৃথা বিশ্বাস বলেন, "সবথেকে কষ্ট লাগে সেই জায়গায় যে, আজকে শিক্ষকরা রাজপথে শুয়ে আছেন । তার জন্য মিনিমাম কোনও ব্যবস্থা নেই । উলটো দিকে রাজনৈতিক দলের সভা হওয়ার জন্য সেখানে কোনও কিছুর অভাব নেই । জলের গাড়ি বলুন, বায়ো টয়লেট বলুন, কোনও কিছুর অভাব নেই । যাই হোক তবু আমাদের মনোবলে কোথাও চিড় ধরছে না ।"

Intro:কলকাতা, 20 জুলাই: একদিকে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন, অন‍্যদিকে 21 জুলাইয়ের প্রস্তুতি। দুটির মধ্যে প্রশাসনের দু-চোখা মনোভাবের উদাহরণ দেখিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন অনশনকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য, একদিকে 21 জুলাইয়ের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য জল, শৌচালয় কোনও কিছুর অভাব নেই। অথচ, তাঁদের ওখানে প্রথম দিন জল দিয়ে পরে তা ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এতদিনের চেষ্টায় মাত্র একটি বায়োটয়লেটের ব‍্যবস্থা করা গেছে। তাতে এতগুলো মানুষের কী হবে? আজ উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন আজ অষ্টম দিনে পা দিল। তবে, প্রশাসনের থেকে কোনও বার্তা না পেলেও অনশনে অনড় প্রাথমিক শিক্ষকরা।


Body:আজ প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান নবম ও অনশন অষ্টম দিনে পা দিল। ইতিমধ্যেই একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনশনকারীরা। আজ দুপুর পর্যন্ত মোট দু'জন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। আজকের পরিস্থিতি নিয়ে অনশনকারী ও উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস বলেন, "একের পর এক সহকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দুর্বল হয়ে পড়ছেন। এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে সরকারিভাবে কোনো সদর্থক বার্তা আমাদের কাছে পৌঁছায়নি।"

কোনো সদর্থক বার্তা না পাঠানোর পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলছেন অনশনকারীরা। পৃথা বিশ্বাস বলেন, "আমাদের তো দুটো দাবি। একটা হচ্ছে নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য বেতনক্রম। আর সেই ন্যায্য বেতনক্রমের লড়াই করতে গিয়ে আমাদের যে 14 জন সহকর্মীকে দ্বীপান্তর দেওয়া হয়েছে তাদের ফেরত। এই দুটো ন্যায্য দাবির থেকে আমরা এক চুলও নড়ছি না। সব রকম প্রশাসনিক অসহযোগিতা আমরা পেয়েছি। প্রথম দিন জল দেওয়ার পর জল বন্ধ করে দেওয়া হল। সেই সমস্যার সমাধান করলেন আমাদের শিক্ষকরা। সাধারণ মানুষও প্রচুর এগিয়ে এসেছেন। আর টয়লেট। যাইহোক অনেক চেষ্টার পর কালকে একটা বায়োটয়লেট লাগানো সম্ভব হয়েছে। তবে এতগুলো মানুষের জন্য একটা বায়োটয়লেট ভীষনই অপ্রতুল। আর আমাদের এখন যা কন্ডিশন তাতে করুণাময়ী বা ময়ূখ ভবন যাওয়া খুবই কষ্টকর।"

উন্নয়ন ভবনের সামনে যেখানে অনশন চলছে, আর তার ঠিক বিপরীতেই সেন্ট্রাল পার্কে 21 জুলাইয়ের প্রস্তুতির তুলনা করে পৃথা বিশ্বাস বলেন, " সবথেকে কষ্ট লাগে সেই জায়গায় যে, আজকে শিক্ষকরা রাজপথে শুয়ে আছেন। তার জন্য মিনিমাম অ্যামিনিটিসের কোনো ব্যবস্থা নেই। উল্টো দিকে রাজনৈতিক দলের সভা হওয়ার জন্য সেখানে কোন কিছুর অভাব নেই। জলের গাড়ি বলুন, বায়ো টয়লেট বলুন, কোনও কিছুর অভাব নেই। যাই হোক তবু আমাদের মনোবলে কোথাও চিড় ধরছে না।" আজ শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছিল। সেই বিষয়ে পৃথা বিশ্বাস বলেন, "আমরাও শুনছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারী ভাবে ডাকার একটা বিষয় আছে। সেই খবর আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি।" তবে, দুপুর 2টো নাগাদ সেই চিত্রটা বদলে যায়। বিকাশ ভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, অনশনকারীদের প্রতিনিধি দলকে ডেকে পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।




Conclusion:
Last Updated : Jul 20, 2019, 5:24 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.