কলকাতা, 20 জুলাই : শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে অনশনকারী শিক্ষকদের বৈঠক হলেও জট কাটল না ৷ আজ বিকাশ ভবনে ঢোকার সময়য়ও শিক্ষকরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা দুটো দাবিতে এখনও অনড় ৷ আর বৈঠক শেষে তারা জানায়, শিক্ষামন্ত্রী বদলির সিদ্ধান্ত নিয়ে সোমবার দেখবেন বলে তাদের মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন ৷ তবে বেতন কাঠামো প্রসঙ্গে কোনও সদর্থক আলোচনা হয়নি ৷ তাই বৈঠকের পরও জট না কাটায় তারা অনশন জারি রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে ৷
আজ প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান নবম ও অনশন অষ্টম দিনে পড়ল । ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে । আজকের পরিস্থিতি নিয়ে উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস বলেন, "একের পর এক সহকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন । দুর্বল হয়ে পড়ছেন । " প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলছেন তাঁরা ।
পৃথা বিশ্বাস বলেন, "আমাদের তো দুটো দাবি । একটা হচ্ছে নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য বেতনক্রম । আর সেই ন্যায্য বেতনক্রমের লড়াই করতে গিয়ে আমাদের যে 14 জন সহকর্মীকে দ্বীপান্তর দেওয়া হয়েছে তাদের ফেরত আনা । এই দুটো ন্যায্য দাবি থেকে আমরা এক চুলও নড়ছি না । সবরকম প্রশাসনিক অসহযোগিতা আমরা পেয়েছি । প্রথম দিন জল দেওয়ার পর জল বন্ধ করে দেওয়া হল । সেই সমস্যার সমাধান করলেন আমাদের শিক্ষকরা । সাধারণ মানুষও প্রচুর এগিয়ে এসেছেন । আর টয়লেট । যাইহোক অনেক চেষ্টার পর কালকে একটা বায়োটয়লেট লাগানো সম্ভব হয়েছে । তবে আমাদের এখন যা কন্ডিশন তাতে করুণাময়ী বা ময়ূখ ভবন যাওয়া খুবই কষ্টকর ।"
উন্নয়ন ভবনের সামনে যেখানে অনশন চলছে, তার ঠিক বিপরীতেই সেন্ট্রাল পার্কে 21 জুলাইয়ের প্রস্তুতির তুলনা করে পৃথা বিশ্বাস বলেন, "সবথেকে কষ্ট লাগে সেই জায়গায় যে, আজকে শিক্ষকরা রাজপথে শুয়ে আছেন । তার জন্য মিনিমাম কোনও ব্যবস্থা নেই । উলটো দিকে রাজনৈতিক দলের সভা হওয়ার জন্য সেখানে কোনও কিছুর অভাব নেই । জলের গাড়ি বলুন, বায়ো টয়লেট বলুন, কোনও কিছুর অভাব নেই । যাই হোক তবু আমাদের মনোবলে কোথাও চিড় ধরছে না ।"