ETV Bharat / state

ক্লাস বন্ধ রেখে অনুষ্ঠান : ব্যবস্থা নেবেন জানালেন মাদ্রাসা সভাপতি

শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্য অনুষ্ঠানে স্কুল বন্ধ রাখা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন । তিনি সোমবার প্রকৃত ঘটনা জেনে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন ।

মাদ্রাসা সভাপতি
author img

By

Published : Jul 8, 2019, 5:07 AM IST

কলকাতা, 8 জুলাই: গতকাল তপসিয়ায় মনু মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউশন বন্ধ করে প্রধান শিক্ষকের হজে যাওয়া উপলক্ষে অনুষ্ঠান করার অভিযোগ উঠেছে । যদিও প্রধান শিক্ষকের দাবি, তাঁর হজে যাওয়া উপলক্ষে নয়, ইদ-উল-ফিতর উদযাপন ও মজলিস-এ-দোয়া উপলক্ষে অনুষ্ঠান করা হয়েছে । কিন্তু, শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্য অনুষ্ঠানে স্কুল বন্ধ রাখা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন। তিনি সোমবার প্রকৃত ঘটনা জেনে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন ।

ঠিক কী ঘটেছিল?

তপসিয়ার মনু মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউশনের প্রধান শিক্ষক আবদুল ওয়াহাব গত শুক্রবার হঠাৎ ঘোষণা করেন শনিবার স্কুল ছুটি থাকবে । শনিবার স্কুলে একটি অনুষ্ঠান হয় । অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক হজে যাচ্ছেন তাই অনুষ্ঠানে তাঁকে ফুলের মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় । অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের জন্য চিকিন বিরিয়ানি সহ ভোজেরও ব্যবস্থা ছিল । মনু মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউটে বাংলা ও উর্দু মাধ্যমে পঠনপাঠন হয় । সকালে প্রাথমিক বিভাগ এবং দুপুরে মাধ্যমিক বিভাগের ক্লাস হয়। শনিবার সকালে ক্লাস হলেও অনুষ্ঠানের জন্য দুপুরে তা বন্ধ ছিল ।

আবদুল ওয়াহাব বলেন, "হজের সঙ্গে অনুষ্ঠানের সম্পর্ক ছিল না । আমি হজে যাচ্ছি সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয় । শনিবার বিশ্বশান্তির জন্য দোয়ার মজলিস করেছিলাম । এছাড়া ইদ-উল-ফিতরের সেলিব্রেশন ও একটা আলোচনা সভা ছিল । বিভিন্ন মানুষ এসেছিলেন যাঁরা স্কুলের হিতাকাঙ্খী । চার-পাঁচটা ছুটি হেডমাস্টারদের হাতে থাকে। আমরা কোনও অনুষ্ঠানে স্পেশালভাবে ছুটি দিতে পারি। আমি তো হজের অনুষ্ঠান করিনি । আমায় লোক ভালোবাসে । তারা শুনেছে আমি হজে যাব । কেউ যদি আমার গলায় মালা দেয় তাহলে আমি সেটাকে ডিনাই করব ? ফেলে দেব ? অনুষ্ঠানের ব্যানারে তো লেখাই রয়েছে ইদ-উল-ফিতর সেলিব্রেশন এবং মজলিস-এ-দোয়া। মানে আশীর্বাদের একটা অনুষ্ঠান । সারা বিশ্বের হিন্দু, মুসলিম বা খ্রিশ্টান যেই হোক, সবার জন্য মঙ্গল কামনা করে অনুষ্ঠান হয়েছে । অতিথিদের খাইয়েছে আল-আমিন মিল্লি মিশন নামে একটি NGO। আমি সেই সংগঠনের সম্পাদক ।"

স্কুল ছুটি না দিয়ে কি কোনও ছুটির দিনে অনুষ্ঠান করা যেত না ? প্রধান শিক্ষক বলেন, "করতে পারতাম। তবে ছুটি যেটা হয়েছে সেটা কোনও অন্যায় নয় । শনিবার হাফ ডে ছিল। তাই এটা করা হয়েছে। রবিবার অনুষ্ঠান করলে যাদের দূরে বাড়ি সেই শিক্ষকরা উপস্থিত থাকতে পারতেন না । শান্তির দোয়ার জন্য যদি অনুষ্ঠান করে থাকি তাহলে কী অন্যায় কাজ করেছি বলুন তো ?"

আবু তাহের কামরুদ্দিন বলেন, "অফিস খুলুক । এটা নিয়ে আমি ব্যবস্থা নেব । আমি জানতে চাইব ঠিক কী ঘটেছে । ঘটনাটা নিন্দনীয় । এটা ঠিক হয়নি । সরকারি প্রতিষ্ঠান তো এভাবে বন্ধ করা যায় না । তদন্ত করব ।" ছুটির বিষয়ে তিনি বলেন, "আমাদের 65 টি ছুটি থাকে । প্রধান শিক্ষকের হাতে 3-5 টা ছুটি থাকে । কিন্তু সেই ছুটি তো হজে যাওয়ার অনুষ্ঠানের জন্য নয় । সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলে ছুটি দেওয়া যেতে পারে । অ্যাকাডেমিক পারপাস ছাড়া কেউ তাঁর হাতে থাকা ছুটি ব্যবহার করতে পারেন না । একটা স্পোর্টস হল তখন ঠিক করা হতে পারে যে আজ ক্লাস হবে না । কিন্তু হজে যাব, তার জন্য দোয়ার মজলিস হবে ওনার হাতে থাকা ছুটি দিয়ে - এখন উনি এই ব্যাখ্যা দিচ্ছেন । ইদ-উল-ফিতরে উনি মালা পড়ে কী করছেন ? ইদ-উল-ফিতরের জন্য আলাদা ছুটি তো আছেই । দুটো দিন ছুটি দেওয়া হয় । সেই সময় সেলিব্রেশন করতে হত । তার জন্য আলাদা করে অনুষ্ঠান করার কী দরকার ছিল ? আমরা তো ইদের ছুটি দিই । ইদের সেলিব্রেশনটা উনি সেই সময় করুন না । তার জন্য আলাদা করে ছুটি আমার মনে হয় না দেওয়ার কোনও দরকার ছিল । এটা নিন্দনীয় কাজ, এটা ঠিক নয় ।"

কলকাতা, 8 জুলাই: গতকাল তপসিয়ায় মনু মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউশন বন্ধ করে প্রধান শিক্ষকের হজে যাওয়া উপলক্ষে অনুষ্ঠান করার অভিযোগ উঠেছে । যদিও প্রধান শিক্ষকের দাবি, তাঁর হজে যাওয়া উপলক্ষে নয়, ইদ-উল-ফিতর উদযাপন ও মজলিস-এ-দোয়া উপলক্ষে অনুষ্ঠান করা হয়েছে । কিন্তু, শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্য অনুষ্ঠানে স্কুল বন্ধ রাখা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন। তিনি সোমবার প্রকৃত ঘটনা জেনে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন ।

ঠিক কী ঘটেছিল?

তপসিয়ার মনু মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউশনের প্রধান শিক্ষক আবদুল ওয়াহাব গত শুক্রবার হঠাৎ ঘোষণা করেন শনিবার স্কুল ছুটি থাকবে । শনিবার স্কুলে একটি অনুষ্ঠান হয় । অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক হজে যাচ্ছেন তাই অনুষ্ঠানে তাঁকে ফুলের মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় । অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের জন্য চিকিন বিরিয়ানি সহ ভোজেরও ব্যবস্থা ছিল । মনু মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউটে বাংলা ও উর্দু মাধ্যমে পঠনপাঠন হয় । সকালে প্রাথমিক বিভাগ এবং দুপুরে মাধ্যমিক বিভাগের ক্লাস হয়। শনিবার সকালে ক্লাস হলেও অনুষ্ঠানের জন্য দুপুরে তা বন্ধ ছিল ।

আবদুল ওয়াহাব বলেন, "হজের সঙ্গে অনুষ্ঠানের সম্পর্ক ছিল না । আমি হজে যাচ্ছি সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয় । শনিবার বিশ্বশান্তির জন্য দোয়ার মজলিস করেছিলাম । এছাড়া ইদ-উল-ফিতরের সেলিব্রেশন ও একটা আলোচনা সভা ছিল । বিভিন্ন মানুষ এসেছিলেন যাঁরা স্কুলের হিতাকাঙ্খী । চার-পাঁচটা ছুটি হেডমাস্টারদের হাতে থাকে। আমরা কোনও অনুষ্ঠানে স্পেশালভাবে ছুটি দিতে পারি। আমি তো হজের অনুষ্ঠান করিনি । আমায় লোক ভালোবাসে । তারা শুনেছে আমি হজে যাব । কেউ যদি আমার গলায় মালা দেয় তাহলে আমি সেটাকে ডিনাই করব ? ফেলে দেব ? অনুষ্ঠানের ব্যানারে তো লেখাই রয়েছে ইদ-উল-ফিতর সেলিব্রেশন এবং মজলিস-এ-দোয়া। মানে আশীর্বাদের একটা অনুষ্ঠান । সারা বিশ্বের হিন্দু, মুসলিম বা খ্রিশ্টান যেই হোক, সবার জন্য মঙ্গল কামনা করে অনুষ্ঠান হয়েছে । অতিথিদের খাইয়েছে আল-আমিন মিল্লি মিশন নামে একটি NGO। আমি সেই সংগঠনের সম্পাদক ।"

স্কুল ছুটি না দিয়ে কি কোনও ছুটির দিনে অনুষ্ঠান করা যেত না ? প্রধান শিক্ষক বলেন, "করতে পারতাম। তবে ছুটি যেটা হয়েছে সেটা কোনও অন্যায় নয় । শনিবার হাফ ডে ছিল। তাই এটা করা হয়েছে। রবিবার অনুষ্ঠান করলে যাদের দূরে বাড়ি সেই শিক্ষকরা উপস্থিত থাকতে পারতেন না । শান্তির দোয়ার জন্য যদি অনুষ্ঠান করে থাকি তাহলে কী অন্যায় কাজ করেছি বলুন তো ?"

আবু তাহের কামরুদ্দিন বলেন, "অফিস খুলুক । এটা নিয়ে আমি ব্যবস্থা নেব । আমি জানতে চাইব ঠিক কী ঘটেছে । ঘটনাটা নিন্দনীয় । এটা ঠিক হয়নি । সরকারি প্রতিষ্ঠান তো এভাবে বন্ধ করা যায় না । তদন্ত করব ।" ছুটির বিষয়ে তিনি বলেন, "আমাদের 65 টি ছুটি থাকে । প্রধান শিক্ষকের হাতে 3-5 টা ছুটি থাকে । কিন্তু সেই ছুটি তো হজে যাওয়ার অনুষ্ঠানের জন্য নয় । সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলে ছুটি দেওয়া যেতে পারে । অ্যাকাডেমিক পারপাস ছাড়া কেউ তাঁর হাতে থাকা ছুটি ব্যবহার করতে পারেন না । একটা স্পোর্টস হল তখন ঠিক করা হতে পারে যে আজ ক্লাস হবে না । কিন্তু হজে যাব, তার জন্য দোয়ার মজলিস হবে ওনার হাতে থাকা ছুটি দিয়ে - এখন উনি এই ব্যাখ্যা দিচ্ছেন । ইদ-উল-ফিতরে উনি মালা পড়ে কী করছেন ? ইদ-উল-ফিতরের জন্য আলাদা ছুটি তো আছেই । দুটো দিন ছুটি দেওয়া হয় । সেই সময় সেলিব্রেশন করতে হত । তার জন্য আলাদা করে অনুষ্ঠান করার কী দরকার ছিল ? আমরা তো ইদের ছুটি দিই । ইদের সেলিব্রেশনটা উনি সেই সময় করুন না । তার জন্য আলাদা করে ছুটি আমার মনে হয় না দেওয়ার কোনও দরকার ছিল । এটা নিন্দনীয় কাজ, এটা ঠিক নয় ।"

Intro:কলকাতা, ৭ জুলাই: গতকাল তপসিয়ার একটি মাদ্রাসা স্কুল মনু মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউশন বন্ধ করে প্রধান শিক্ষকের হজে যাওয়ার উপলক্ষে অনুষ্ঠান করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অনুষ্ঠানটি তাঁর হজে যাওয়া উপলক্ষে নয়, ইদ-উল-ফিতর উদযাপন ও মজলিস-এ-দোয়া অনুষ্ঠান বলে দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু, শিক্ষা সংক্রান্ত ছাড়া অন্য কোনো অনুষ্ঠানে স্কুলকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে বন্ধ রেখে অনুষ্ঠান করার ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন। তিনি আগামীকাল পর্ষদে গিয়ে প্রকৃত ঘটনাটি জেনে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন। Body:ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গেছে, গত শুক্রবার হঠাৎ করেই পরেরদিন শনিবার স্কুল ছুটি ঘোষণা করে দেন তপসিয়ার কোহিনুর মার্কেটের কাছে অবস্থিত মনু মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউশনের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহাব। তিনি হজে যাবেন তাই শনিবার তাকে ফুলের মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় অনুষ্ঠানে। বিশ্বশান্তি কামনা, ভালোভাবে হজে গিয়ে ফিরে আসার প্রার্থনা করা হয় অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠান শেষে চিকিন বিরিয়ানি সহযোগে অতিথিদের ভোজেরও ব্যবস্থা ছিল। অন্যদিকে, শুক্রবার স্কুলে না আসায় অনেক পড়ুয়াই শনিবার স্কুলে এসে জানতে পারেন স্কুল ছুটির কথা। মনু মেমোরিয়াল স্কুলে মোট সকালে বাংলা ও উর্দু মাধ্যমের প্রাথমিক ও বেলায় বাংলা ও উর্দু মাধ্যমে সেকেন্ডারির ক্লাস হয়। শনিবার সকালের দুটি মাধ্যমের ক্লাস হলেও, বেলার ক্লাস বন্ধ রেখে স্কুলে অনুষ্ঠান হয়। ব্যক্তিগত কারণে স্কুল বন্ধ করে এই ধরনের অনুষ্ঠান করায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। যদিও, অনুষ্ঠানটির সঙ্গে তাঁর হজে যাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহাবের।

নিজের সপক্ষে আব্দুল ওয়াহাব বলেন, "হজের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমি হজে যাচ্ছি সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। কালকে বিশ্বশান্তির দোয়ার মজলিস করেছিলাম। সকলের মঙ্গল কামনার জন্য একটা মজলিস দোয়া করেছি। আর ইদ-উল-ফিতরের সেলিব্রেশন ও একটা আলোচনা সভা ছিল। বিভিন্ন মানুষ এসেছিলেন, যারা স্কুলের হিতাকাঙ্খী। আমাদের এমনি চার পাঁচটা ছুটি হেডমাস্টারদের হাতে থাকে। আমরা কোনো অনুষ্ঠানে স্পেশালভাবে ছুটি দিতে পারি। আমি তো হজের অনুষ্ঠান করিনি ওটা। আমায় লোক ভালোবাসে। তাঁরা শুনেছেন ইনি হজে যাবেন। কেউ যদি আমার গলায় মালা দেয় তাহলে আমি সেটাকে ডিনাই করব না ফেলে দেব? আমার তো স্কুলের ব্যানারে এখনও লেখা রয়েছে ইদ-উল-ফিতর সেলিব্রেশন এবং মজলিস-এ-দোয়া। মানে আশীর্বাদের একটা অনুষ্ঠান। সারা বিশ্বের হিন্দু, মুসলিম বা খ্রিস্টান যেই হোক, সবার জন্য মঙ্গল কামনা করা হবে। খাইয়েছে আল-আমিন মিল্লি মিশন নামের একটি NGO। আমি তার সম্পাদক।"

তবে, ইদ-উল-ফিতরের অনুষ্ঠান হোক বা হজে যাওয়ার আগের দোয়ার মজলিস, সেটা কী স্কুল ছুটি না দিয়ে অন্য কোনো ছুটির দিনে করা যেত না? আব্দুল ওয়াহাব বলেন, "করতে পারতাম। ছুটি যেটা হয়েছে সেটা কোনো অন্যায় নয়। আর দিয়েছিলাম অন্য উদ্দেশ্যে। ছেলেরা চিৎকার চেঁচামেচি একটু করে। তাও শনিবার হাফ ডে ছিল। সেইজন্য এটা করা হয়েছে। আমাদের চারটে সেকশন আছে। দুটো উর্দু, দুটো বাংলা মাধ্যম। একটা প্রাইমারি সেকশন একটা হাই সেকশন। প্রত্যেকটা মাস্টারকেই আমরা আমন্ত্রণ করেছিলাম। এবার রবিবারে করলে হয় কী, অনেকের হয়তো ৫০ কিলোমিটার দূরে বাড়ি, তাঁরা হয়তো অ্যাটেন্ড করতে পারবেন না। সেইজন্যেই ওইদিন করা হয়েছে। অন্য কোনো উদ্দেশ্য তো নয়। একটা শান্তির দোয়ার জন্য যদি করে থাকি তাহলে কী অন্যায় কাজ করেছি বলুন তো।" যদিও, প্রধান শিক্ষকের সপক্ষেই বলতে গিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অতিথি স্পষ্টভাবেই জানান, প্রধান শিক্ষক হজে যাচ্ছেন বলেই দোয়ার মজলিস করা হয়েছিল।

যে কারণেই হোক স্কুল বন্ধ করে অনুষ্ঠান করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মাদ্রাসা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন। তিনি বলেন, "অফিস খুলুক। এটা নিয়ে আমি ব্যবস্থা নেব। আমি জানতে চাইব ঘটনাটা প্রকৃত কী ঘটেছে। ঘটনাটা নিন্দনীয়। এটা ঠিক হয়নি। এখন প্রকৃত ঘটনাটা কী, উনি কেন বন্ধ করলেন, সরকারি অফিস তো এভাবে বন্ধ করা যায় না, সেটা নিয়ে আমি আগামীকাল গিয়ে খোঁজ নেব। এর তদন্ত করব।" প্রধান শিক্ষকের হাতে থাকা ছুটি নিয়ে আবু তাহের কামরুদ্দিন বলেন, "আমাদের ৬৫টা ছুটি থাকে। প্রধান শিক্ষকের ডিসক্রিয়েশনে ৩টে বা ৫টা থাকে। কিন্তু, সেই ছুটিটা তো হজে যাওয়ার জন্য প্রেয়ারের জন্য নয়। এটা একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলে ছুটি দেওয়া যেতে পারে। উনি এখন ব্যাখ্যা দিচ্ছে। কোনো অবস্থাতেই অ্যাকাডেমিক পারপাস ছাড়া আপনি আপনার হাতে থাকা ছুটি ওইভাবে ব্যবহার করতে পারেন না। একটা স্পোর্টস হল তখন ঠিক করা হতে পারে যে আজ ক্লাস হবে না। কিন্তু, হজে যাব, তার জন্য দোয়ার মজলিস হবে ওনার হাতে থাকা ছুটি দিয়ে এটা উনি ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। ইদ-উল-ফিতরে উনি মারা পড়ে কী করছেন? ইদ-উল-ফিতরের ছুটি তো আছেই। দুটো দিন ছুটি দেওয়া হয়। সেই সময় সেলিব্রেশন করতে হতো। তার জন্য আলাদা করে অনুষ্ঠান করার কী দরকার ছিল? আমরা তো ঈদের ছুটি দিই। ঈদের সেলিব্রেশনটা উনি সেই সময় করুন না। তার জন্য আলাদা করে ছুটি আমার মনে হয় না দেওয়ার কোনো দরকার ছিল। এটা নিন্দনীয় কাজ, এটা ঠিক নয়।"
Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.