ETV Bharat / state

ফণী পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর পৌরনিগম - fani

ঘূর্ণিঝড় ফণীর বিপর্যয় মোকাবিলা করতে কলকাতা পৌরনিগাম বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছিল । পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য পৌরনিগমের সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছিল । মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে উপস্থিত থেকে কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি চালিয়েছিলেন ।

ফণী
author img

By

Published : May 4, 2019, 10:23 PM IST

কলকাতা, 4 মে : ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে গতরাতে কলকাতা শহরে কয়েকটি গাছ ও ল্যাম্পপোস্ট ভেঙে পড়ে । কলকাতা পৌরনিগমের রিপোর্ট অনুযায়ী ঝড়ে কলকাতায় প্রায় 15টি গাছ উপড়ে পড়েছে। কাঁকুড়গাছি, সাদার্ন অ্যাভেনিউ, ময়দান, মানিকতলা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় গাছ পড়ে যায়। পৌরনিগমের কর্মীরা তৎক্ষণাৎ গাছ কেটে সরিয়ে ফেলে । বেনিয়াটোলা একটি বিপদজনক টালির বাড়ি ভেঙে পড়ে । কলকাতার টালিগঞ্জ ও যাদবপুর এলাকায় তিনটি ল্যাম্পপোস্ট ভেঙে পড়েছে বলেও জানা গেছে । অবশ্য ফণীর জেরে জল জমা, হতাহত বা মৃত্যুর কোনও রিপোর্ট জমা পড়েনি ।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর বিপর্যয় মোকাবিলা করতে কলকাতা পৌরনিগাম বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছিল । পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য পৌরনিগমের সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছিল । মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে উপস্থিত থেকে কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি চালিয়েছিলেন । ফণী প্রায় কলকাতা থেকে 60 কিলোমিটার দূর দিয়ে চলে যাওয়ায় শহরে বড় কোনও ক্ষতি হয়নি ।

গতকাল রাতে কলকাতা বিপর্যয় মোকাবিলা করতে পৌরনিগমের সদর দপ্তরে আবাসন দপ্তর, উদ্যান দপ্তর, সহ একাধিক দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা নজরদারি চালিয়েছেন । মেয়র গতকাল রাতেই প্রত্যেকটি পাম্পিং স্টেশন এ গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন । দফায় দফায় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন । বেশ কয়েকটি বোরোতে মেয়র গিয়ে নিজে পর্যবেক্ষণ করেছেন । তবে কলকাতায় ফণীর প্রভাব সরাসরি না পড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই জানা গেছে ।

কলকাতা, 4 মে : ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে গতরাতে কলকাতা শহরে কয়েকটি গাছ ও ল্যাম্পপোস্ট ভেঙে পড়ে । কলকাতা পৌরনিগমের রিপোর্ট অনুযায়ী ঝড়ে কলকাতায় প্রায় 15টি গাছ উপড়ে পড়েছে। কাঁকুড়গাছি, সাদার্ন অ্যাভেনিউ, ময়দান, মানিকতলা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় গাছ পড়ে যায়। পৌরনিগমের কর্মীরা তৎক্ষণাৎ গাছ কেটে সরিয়ে ফেলে । বেনিয়াটোলা একটি বিপদজনক টালির বাড়ি ভেঙে পড়ে । কলকাতার টালিগঞ্জ ও যাদবপুর এলাকায় তিনটি ল্যাম্পপোস্ট ভেঙে পড়েছে বলেও জানা গেছে । অবশ্য ফণীর জেরে জল জমা, হতাহত বা মৃত্যুর কোনও রিপোর্ট জমা পড়েনি ।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর বিপর্যয় মোকাবিলা করতে কলকাতা পৌরনিগাম বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছিল । পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য পৌরনিগমের সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছিল । মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে উপস্থিত থেকে কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি চালিয়েছিলেন । ফণী প্রায় কলকাতা থেকে 60 কিলোমিটার দূর দিয়ে চলে যাওয়ায় শহরে বড় কোনও ক্ষতি হয়নি ।

গতকাল রাতে কলকাতা বিপর্যয় মোকাবিলা করতে পৌরনিগমের সদর দপ্তরে আবাসন দপ্তর, উদ্যান দপ্তর, সহ একাধিক দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা নজরদারি চালিয়েছেন । মেয়র গতকাল রাতেই প্রত্যেকটি পাম্পিং স্টেশন এ গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন । দফায় দফায় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন । বেশ কয়েকটি বোরোতে মেয়র গিয়ে নিজে পর্যবেক্ষণ করেছেন । তবে কলকাতায় ফণীর প্রভাব সরাসরি না পড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই জানা গেছে ।

Intro:ঘূর্ণিঝড় ফনি এই মুহূর্তে কলকাতা থেকে 380 কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় ফনি কটক এর কাছাকাছি ঢাক্কানাল এ রয়েছ। দীঘা থেকে 200 কিলোমিটার দূরে হয়েছে ফনি। আজ সকাল সাড়ে আটটা থেকে দশটার মধ্যে পুরীর মধ্যে দিয়ে গোপালপুর ও চাঁদ বালির মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করেছে ফনি। ফনি প্রায় 200 কিলোমিটার আছড়ে পড়ে উড়িষ্যা উপকূলের। এর ফলে সামান্য শক্তি হারিয়েছে। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফনি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে। আজ সন্ধ্যার পর থেকেই ফনির প্রভাব চলবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলোতে। সন্ধ্যার পরে কলকাতা সহ জেলাগুলোতে ফোনে তান্ডব শুরু হয়ে যাবে। আজ অভি রাতেই ফোনে কলকাতার উপর দিয়ে অগ্রসর হবে বাংলাদেশের থেকে।


Body:আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে ফনি যখন প্রবেশ করবে তার গতি থাকবে 90 থেকে 100 কিলোমিটার। প্রায় 115 কিলো মিটার গতিতে পশ্চিমবঙ্গের উপর আছড়ে পড়তে পারে অতি সক্রিয় ঘূর্ণিঝড় ফনি। কলকাতার উপর দিয়ে যখন ফনি যাবে তখন গতিবেগ থাকবে প্রায় 80 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। ফনি কেন্দ্রবিন্দু অতিক্রম করার সময় স্থায়ী 3 মিনিটের বেশি। আগামী 9 ঘন্টায় ফোনে আরো দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হবে। শনির প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। ইতিমধ্যে আলিপুর আবহাওয়া অফিস ঘূর্ণিঝড় ফনির সর্তকতা জারি করা হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা হাওড়া হুগলি কলকাতা দুই মেদিনীপুর নদীয়া বর্ধমান মুর্শিদাবাদ পুরুলিয়া বাঁকুড়া বীরভূমে।


Conclusion:মৎস্যজীবীদের জন্য আগাম সর্তকতা আগেই জারি করা। পর্যটকদের জন্য ইতিমধ্যেই সর্তকতা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতগুলিতে পর্যটকদের দিতে নিষেধ করা হয়েছে। বকখালি মন্দারমনি শংকরপুর দীঘা তাজপুরের মত পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস অধিকর্তা সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন 5 তারিখ দুর্যোগ কেটে যাবে। 4 তারিখ সন্ধ্যার পর থেকে শনি শক্তি হারিয়ে আরো দুর্বল হয়ে প্রবেশ করবে বাংলাদেশে।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.