ETV Bharat / state

ভোট পরবর্তী হিংসা বন্ধে রাজ্যপালের কাছে BJP, কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি

author img

By

Published : May 21, 2019, 9:34 PM IST

Updated : May 21, 2019, 11:51 PM IST

আজ রাজভবনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে BJP-র প্রতিনিধি দল । রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হস্তক্ষেপের দাবি করলেন তাঁরা ।

দিলীপ ঘোষ

কলকাতা, 21 মে : রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হস্তক্ষেপের দাবি করলেন BJP রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । আজ রাজভবনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়ে কেন্দ্রের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানায় BJP-র প্রতিনিধি দল ।

রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে দিলীপ ঘোষ বলেন, "রাজ্যে ভোট গণনার দিন একটা গন্ডগোল করার চেষ্টা করা হচ্ছে । আমরা নির্বাচন কমিশনকে লিখিত ভাবে এই অভিযোগ জানিয়েছি ।" তিনি আরও অভিযোগ করেন, "যদি তৃণমূল হারে তা হলে রাস্তাঘাটে গন্ডগোল করার চেষ্টা করতে পারে । রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা হবে ।" দিলীপবাবু সাধারণ মানুষকে আবেদন জানিয়ে বলেন, "আপনারা সাহসের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন । তেমনই সাহসের সঙ্গে প্রতিরোধ করুন ।"

এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "BJP-র কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না । যদি দুষ্কৃতীরা রাস্তায় নামে, তাদের কী ভাবে প্রতিরোধ করতে হয় সেটা আমরা জানি । "

এদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেনাকে ব্যবহার করছে BJP । এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতির রোড-শোতে আক্রমণ হয়েছে । তাই আমাদের মনে হয়েছে ভোটগ্রহণের পরও এই ধরণের গন্ডগোল হতে পারে । তাই আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছিলাম যাতে 27 মে পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে ।"

ভাটগাড়া এলাকায় অশান্তি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "ব্যারাকপুরে কাঁকিনাড়ার এলাকায় রাজনৈতিক হিংসা চলছে । পুলিশ প্রশাসন রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করতে চাইছে না । সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের সামনেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে । পুলিশ বাহিনীর সামনে পিছনে কিছু গুন্ডা আছে যারা এই কাজ করছে । রাজ্য সরকার দেখাতে চাইছে আমরা না থাকলে রাজনৈতিক শান্তি থাকবে না । তাই শুধু ভাটপাড়া ও কাঁকিনাড়া নয় । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে ।"

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, "শেষ পর্বের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগে থেকে ডায়মন্ডহারবার ও নোদাখালিতে রাজনৈতিক সন্ত্রাস শুরু হয়েছে । ডায়মন্ডহারবারের 30 জন কার্যকর্তাকে গ্রেপ্তার করে অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে । যে করেই হোক BJP-কে হারাতে হবে । যখন পাচ্ছে না । তখনই রাজ্যে একটা হিংসার বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল । তার প্রতিবাদেই আজ আমরা রাজ্যপালকে লিখিত অভিযোগ জানাই । কারণ প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না । তাই আমাদের বারবার রাজ্যপালের কাছে আসতে হচ্ছে । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে বিষয়টা জানানোর জন্য রাজ্যপালকে আমরা আবেদন জানিয়েছি ।"

কলকাতা, 21 মে : রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হস্তক্ষেপের দাবি করলেন BJP রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । আজ রাজভবনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়ে কেন্দ্রের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানায় BJP-র প্রতিনিধি দল ।

রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে দিলীপ ঘোষ বলেন, "রাজ্যে ভোট গণনার দিন একটা গন্ডগোল করার চেষ্টা করা হচ্ছে । আমরা নির্বাচন কমিশনকে লিখিত ভাবে এই অভিযোগ জানিয়েছি ।" তিনি আরও অভিযোগ করেন, "যদি তৃণমূল হারে তা হলে রাস্তাঘাটে গন্ডগোল করার চেষ্টা করতে পারে । রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা হবে ।" দিলীপবাবু সাধারণ মানুষকে আবেদন জানিয়ে বলেন, "আপনারা সাহসের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন । তেমনই সাহসের সঙ্গে প্রতিরোধ করুন ।"

এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "BJP-র কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না । যদি দুষ্কৃতীরা রাস্তায় নামে, তাদের কী ভাবে প্রতিরোধ করতে হয় সেটা আমরা জানি । "

এদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেনাকে ব্যবহার করছে BJP । এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতির রোড-শোতে আক্রমণ হয়েছে । তাই আমাদের মনে হয়েছে ভোটগ্রহণের পরও এই ধরণের গন্ডগোল হতে পারে । তাই আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছিলাম যাতে 27 মে পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে ।"

ভাটগাড়া এলাকায় অশান্তি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "ব্যারাকপুরে কাঁকিনাড়ার এলাকায় রাজনৈতিক হিংসা চলছে । পুলিশ প্রশাসন রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করতে চাইছে না । সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের সামনেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে । পুলিশ বাহিনীর সামনে পিছনে কিছু গুন্ডা আছে যারা এই কাজ করছে । রাজ্য সরকার দেখাতে চাইছে আমরা না থাকলে রাজনৈতিক শান্তি থাকবে না । তাই শুধু ভাটপাড়া ও কাঁকিনাড়া নয় । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে ।"

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, "শেষ পর্বের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগে থেকে ডায়মন্ডহারবার ও নোদাখালিতে রাজনৈতিক সন্ত্রাস শুরু হয়েছে । ডায়মন্ডহারবারের 30 জন কার্যকর্তাকে গ্রেপ্তার করে অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে । যে করেই হোক BJP-কে হারাতে হবে । যখন পাচ্ছে না । তখনই রাজ্যে একটা হিংসার বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল । তার প্রতিবাদেই আজ আমরা রাজ্যপালকে লিখিত অভিযোগ জানাই । কারণ প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না । তাই আমাদের বারবার রাজ্যপালের কাছে আসতে হচ্ছে । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে বিষয়টা জানানোর জন্য রাজ্যপালকে আমরা আবেদন জানিয়েছি ।"

Intro:21-05-19


সুজয় ঘোষ, কলকাতা


কলকাতাঃ রাজ্যে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হতক্ষেপ এর দাবী করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। আজ রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে এই বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবী করলেন দিলীপ ঘোষ।



দিলীপ ঘোষ এদিন হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাজ্যে ভোট গণনার দিন একটা গন্ডোগল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা নির্বাচণ কমিশন কে লিখিত ভাবে এই অভিযোগ জানিয়েছি। যদি তৃণমূল হারে তা হলে রাস্তাঘাটে গন্ডোগল করার চেষ্টা কর‍্যে পারে। রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা হবে। আমরা সাধারণ মানুষ কে বলবো। যখন আপনারা শাহসের সঙ্গে ভোট দিয়েছে। তেমনই শাহসের সঙ্গে প্রতিরোধ করুন। বিজেপির কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না। যদি দুষ্কৃতকারিরা রাস্তায় নামে তাদের আমরা কী ভাবে প্রতিরোধ করতে হয়। সেটা জানি। আমাদের কর্মীরা চুপ করে থাকবেন না। তারাও ভগবান কে যে ফুলে পুজো দিলে সনতুষ্ট তাদের সেই ফুলে পূজা দেবেন।

তৃণমূল অভিযোগ করেছে রাজনৈতিক সাফল্যেই সেনাকে রাজ্যে ব্যবহার করছে বিজেপি। এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, সব থেকে বেশী সেনা রাজ্যে ছিলও। একটা সময় ৯০ কম্পানি সেনা এখানে মোতায়েন ছিলও। আমাদের সর্ব ভারতীয় সভাপতি রোড- শোতে পর্যন্ত আক্রমন হয়েছে। তাই আমাদের মনে হয়েছে। ভোট গ্রহণের পরও এই ধরণের গন্ডোগল হতে পারে। তাই আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাচণ কমিশনের কাছে আমরা আবেদন করেছিলাম। তাই ২৭ মে পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে"

দিলীপ ঘোষ বলেন, "ব্যারাকপুরে কাকিনাড়ার এলাকায় রাজনৈতিক হিসংশা চলছে। পুলিশ প্রশাসন রাজনৈতিক হিংসা বন্ধো করতে চাইছে না। সিনিয়ার পুলিশ অফিসারদের সামনেই এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ বাহিনীর সামনে পিছনে কিছু গুন্ডা আছে যারা এই কাজ করছে। রাজ্য সরকার দেখাতে চাইছে আমরা না থাকলে রাজনৈতিক শান্তি থাকবে না। তাই শুধু ভাটপাড়া ও কাকিনাড়া নয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্থে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। শেষ পর্বের যে ভোট হল তার আগে থেকে ডায়মন্ডহারবার ও নোদাখালিতে রাজনৈতিক সন্ত্রাশ শুরু হয়েছে। ডায়মন্ডহারবারের ৩০ জন কার্যকর্তা কে গ্রেপ্তার করে অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে কোরে হোক বিজেপিকে হারাতে হবে। যখন পাচ্ছে না। তখনও রাজ্যে একটা হিংসার বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। তার প্রতিবাদের আজই আমরা রাজ্যপাল কে।আজ লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাই। কারণ প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। তাই আমাদের বার বার রাজ্যপাল কাছে আসতে হচ্ছে। দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজানাথ সিংকে বিষয়টা জানানোর জন্য"

Body:কপিConclusion:
Last Updated : May 21, 2019, 11:51 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.