শান্তিনিকেতন, 22 এপ্রিল : বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরশিক্ষা ছাত্রাবাস থেকে বিশ্বভারতীর পাঠভবনের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অসীম দাসের দেহ উদ্ধার হয় ৷ তার বয়স হয়েছিল 17 বছর ৷ পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতন থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্তভার এসে পড়েছে সিআইডির হাতে ৷ শুক্রবার শান্তিনিকেতন থানায় মরদেহ এনে বিক্ষোভ দেখাল পরিবারের লোকজন (Agitation with dead body of Visva Bharati Student) ।
পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর থেকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবে যোগাযোগ করেনি ৷ মৃত্যুর কারণ জানতে কোনও তদন্ত কমিটিও গঠন হয়নি ৷ এই অভিযোগে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। এদিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয় ৷ সেখান থেকে মরদেহ সোজা নিয়ে আসা হয় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে। দেহ এনে শুরু হয় বিক্ষোভ। কান্নায় ভেঙে পরে নিহতের পরিজনরা ৷
উপাচার্যের বাসভবন থেকে মরদেহ নিয়ে আসা হয় শান্তিনিকেতন থানায়। সেখানে পুলিশ সঠিক তদন্ত করছে না, এই অভিযোগেও চলে বিক্ষোভ। তাদের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়। খুন করা হয়েছে। ধামাচাপা দিতে চাইছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷ কোনও রকম সহযোগিতা করছে না ৷ শুধু তাই নয়, মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেনি কর্তৃপক্ষ। কীভাবে মৃত্যু হল তাও জানানো হয়নি ৷ এই সকল অভিযোগে রাতভর বাসভবনে ঘেরাও করা হয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ৷ মৃত ছাত্রের পরিবারের মহিলারা বাসভবনের সামনে শুয়ে বিক্ষোভ দেখান ৷
আরও পড়ুন : অপেক্ষা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের, বিশ্বভারতীর ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে সিআইডি
উল্লেখ্য এই ঘটনার তদন্তভার পেয়েছেন সিআইডি ৷ বীরভূম জেলা পুলিশের তরফে ঘটনায় সিআইডি তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে । সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়া মাত্রই অসীম দাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নামবে সিআইডি ৷