ETV Bharat / state

ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে বীরভূমের ঐতিহ্যবাহী সোনাঝুরি

পৃথিবীর ইতিহাসে যত বড় বড় সভ্যতার পতন হয়েছে তার বেশিরভাগই জীব বৈচিত্রের উপর আঘাত হেনে ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করার ফলে । ঠিক সেই ভাবেই স্বপ্নের, কবিতার, গল্পের, চিত্রনাট্যের সোনাঝুরি জঙ্গল আজ বিপন্ন । নিয়ম বহির্ভূত ভাবে একাধিক রিসর্ট , রেস্তরাঁ গড়ে উঠছে জঙ্গলের মধ্যে । ফলে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ।

Birbhum
বীরভূম
author img

By

Published : Jun 1, 2020, 1:59 PM IST

শান্তিনিকেতন , 31 মে : শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি জঙ্গলের অন্যতম ঐতিহ্য সোনাঝুরি গাছ । কিন্তু গাছগুলি কেটে দেওয়ার কারণে সোনাঝুরি জঙ্গল বৃক্ষ শূন্য হয়ে যাচ্ছে । অবাধে গড়ে উঠছে একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান । একের পর এক গাছ কাটা পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের সোনাঝুরি জঙ্গল ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে । ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী খোয়াইয়ের সোনাঝুরি জঙ্গল। প্লাস্টিক, আবর্জনায় ভরে উঠছে জঙ্গল । ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে । যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ নিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিকেরা ।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহু লেখনীতে স্থান পেয়েছে এই সোনাঝুরি জঙ্গল ও খোয়াই । ঐতিহ্যবাহী এই খোয়াইয়ের সোনাঝুরিতে অরণ্য নিধন যজ্ঞ চলছে বলা যায় । পৃথিবীর ইতিহাসে যত বড় বড় সভ্যতার পতন হয়েছে তার বেশিরভাগই জীব বৈচিত্রের উপর আঘাত হেনে ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করার ফলে । ঠিক সেই ভাবেই স্বপ্নের, কবিতার, গল্পের, চিত্রনাট্যের সোনাঝুরি জঙ্গল আজ বিপন্ন । নিয়ম বহির্ভূত ভাবে একাধিক রিসর্ট , রেস্তরাঁ গড়ে উঠছে জঙ্গলের মধ্যে । ফলে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য । প্রচুর পর্যটকের আনাগোনা , তাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিক জঙ্গলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকছে । জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পায়ে পায়ে পথ চলায় নতুন করে কোনও গাছ জন্মায় না । এছাড়া রিসর্ট, রেস্তরাঁর সামনে প্রাকৃতিক ভাবে হওয়া গাছের চারাগুলি নষ্ট করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের । যত দিন যাচ্ছে ফাঁকা হতে শুরু করেছে সোনাঝুরির জঙ্গল । কখনও রাতের অন্ধকারে , কখনও দিবালোকেই অরণ্য নিধন চলছে । সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত , বনদপ্তরকে একাধিকবার এই সোনাঝুরি বাঁচানোর জন্য চিঠি দিয়েছেন শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিকেরা । কিন্তু, তাতেও কোনও ফল হয়নি । এক সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সোনাঝুরির জঙ্গলে এসে আপ্লুত হয়েছিলেন । জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন শনিবারের একদিনের হাট এখানে বসানোর জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন । কিন্তু , নিত্যদিন বসছে সোনাঝুরি হাট । ফলে স্বাভাবিকভাবেই নষ্ট হচ্ছে জঙ্গল ।

শান্তিনিকেতনের এক প্রবীণ আশ্রমিক তথা পরিবেশপ্রেমী উর্মিলা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন , "সোনাঝুরি সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে । বনদপ্তর , প্রশাসনের নজরদারির অভাবে বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হচ্ছে । কাটা পড়ছে গাছ । কারও কোন হেলদোল নেই ।"

সংশ্লিষ্ট রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রণেন্দ্রনাথ সরকার বলেন , "সোনাঝুরি বাঁচাতে আমরা তৎপর । সমস্ত দিকে নজর রাখা শুরু করেছি । হোটেল মালিকদেরও সতর্ক করা হয়েছে ।"

শান্তিনিকেতন , 31 মে : শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি জঙ্গলের অন্যতম ঐতিহ্য সোনাঝুরি গাছ । কিন্তু গাছগুলি কেটে দেওয়ার কারণে সোনাঝুরি জঙ্গল বৃক্ষ শূন্য হয়ে যাচ্ছে । অবাধে গড়ে উঠছে একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান । একের পর এক গাছ কাটা পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের সোনাঝুরি জঙ্গল ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে । ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী খোয়াইয়ের সোনাঝুরি জঙ্গল। প্লাস্টিক, আবর্জনায় ভরে উঠছে জঙ্গল । ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে । যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ নিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিকেরা ।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহু লেখনীতে স্থান পেয়েছে এই সোনাঝুরি জঙ্গল ও খোয়াই । ঐতিহ্যবাহী এই খোয়াইয়ের সোনাঝুরিতে অরণ্য নিধন যজ্ঞ চলছে বলা যায় । পৃথিবীর ইতিহাসে যত বড় বড় সভ্যতার পতন হয়েছে তার বেশিরভাগই জীব বৈচিত্রের উপর আঘাত হেনে ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করার ফলে । ঠিক সেই ভাবেই স্বপ্নের, কবিতার, গল্পের, চিত্রনাট্যের সোনাঝুরি জঙ্গল আজ বিপন্ন । নিয়ম বহির্ভূত ভাবে একাধিক রিসর্ট , রেস্তরাঁ গড়ে উঠছে জঙ্গলের মধ্যে । ফলে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য । প্রচুর পর্যটকের আনাগোনা , তাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিক জঙ্গলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকছে । জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পায়ে পায়ে পথ চলায় নতুন করে কোনও গাছ জন্মায় না । এছাড়া রিসর্ট, রেস্তরাঁর সামনে প্রাকৃতিক ভাবে হওয়া গাছের চারাগুলি নষ্ট করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের । যত দিন যাচ্ছে ফাঁকা হতে শুরু করেছে সোনাঝুরির জঙ্গল । কখনও রাতের অন্ধকারে , কখনও দিবালোকেই অরণ্য নিধন চলছে । সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত , বনদপ্তরকে একাধিকবার এই সোনাঝুরি বাঁচানোর জন্য চিঠি দিয়েছেন শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিকেরা । কিন্তু, তাতেও কোনও ফল হয়নি । এক সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সোনাঝুরির জঙ্গলে এসে আপ্লুত হয়েছিলেন । জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন শনিবারের একদিনের হাট এখানে বসানোর জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন । কিন্তু , নিত্যদিন বসছে সোনাঝুরি হাট । ফলে স্বাভাবিকভাবেই নষ্ট হচ্ছে জঙ্গল ।

শান্তিনিকেতনের এক প্রবীণ আশ্রমিক তথা পরিবেশপ্রেমী উর্মিলা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন , "সোনাঝুরি সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে । বনদপ্তর , প্রশাসনের নজরদারির অভাবে বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হচ্ছে । কাটা পড়ছে গাছ । কারও কোন হেলদোল নেই ।"

সংশ্লিষ্ট রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রণেন্দ্রনাথ সরকার বলেন , "সোনাঝুরি বাঁচাতে আমরা তৎপর । সমস্ত দিকে নজর রাখা শুরু করেছি । হোটেল মালিকদেরও সতর্ক করা হয়েছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.