বোলপুর, 18 জানুয়ারি : শৌচাগার নির্মাণের জন্য খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হল । অথচ বীরভূমের রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতকে দু'বছর আগেই "নির্মল গ্রাম" ঘোষণা করা হয়েছে । সম্প্রতি বোলপুর সফরে সোনাঝুরি জঙ্গল লাগোয়া রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বল্লভপুরডাঙা আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শৌচাগারের দাবি জানিয়েছিলেন বাসিন্দারা । তাঁর নির্দেশে শৌচাগার সহ গ্রামটিকে ঢেলে সাজিয়ে "মডেল গ্রাম" করা হচ্ছে । যার জন্য আনুমানিক 50 লাখ টাকা বরাদ্দও হয়েছে ।
বোলপুর সফরে এসে 29 ডিসেম্বর শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি জঙ্গল লাগোয়া বল্লভপুরডাঙার আদিবাসী গ্রামে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁকে কাছে পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা জানান । গ্রামে পর্যাপ্ত শৌচাগার নেই বলে জানান তাঁরা । সঙ্গে সঙ্গে জেলাশাসক বিজয় ভারতী ও রাজ্য গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রামে শৌচাগার নির্মাণের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী । তাঁর নির্দেশ মতো পরের দিন সকাল থেকেই শুরু হয় কাজ । 144টি শৌচাগার নির্মাণ-সহ নলকূপ, সৌর শক্তির আলো, নিকাশির উন্নয়ন, রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ৷ এমনকী গ্রামের বাড়িগুলির দেওয়ালে রঙিন নকশাও করা হচ্ছে । কারণ গ্রামটিকে "মডেল গ্রাম" করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে । জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে অর্ধেকের বেশি কাজ হয়ে গিয়েছে । সোমবার গ্রামের কাজ খতিয়ে দেখতে আসেন বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের বিডিও শেখর সাই ।
গ্রামবাসীরা খুশি ৷ তাঁরা বলেন, "আমরা দাবি করেছিলাম ৷ মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে গ্রামে শৌচাগার হচ্ছে ।" যদিও দু'বছর আগেই উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ বন্ধ হয়েছে, এই যুক্তিতে বীরভূম জেলার গোটা রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতকেই "নির্মল গ্রাম" ঘোষণা করা হয়েছিল । প্রশ্ন উঠছে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সবে মাত্র গ্রামে শৌচাগার নির্মাণ হচ্ছে, সেখানে আগেভাগে কীভাবে এই গ্রাম তথা গোটা পঞ্চায়েত এলাকাকে "নির্মল গ্রাম" ঘোষণা করা হল !
এই প্রসঙ্গে বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের বিডিও শেখর সাইয়ের যুক্তি, "শৌচাগার ছিল । তবে যে মডেল বানানো হয়েছিল তা এলাকার মানুষের পছন্দ হয়নি । তাই নতুন করে শৌচাগার বানানো হচ্ছে ।"