ETV Bharat / state

Fire-fear at Bogtui: বগটুইতে ফের অগ্নি-আতঙ্ক, তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ - TMC supporters house set on fire at Bogtui

TMC supporter's house set on fire at Bogtui: ফের অগ্নি-আতঙ্ক ছড়াল বগটুই গ্রামে ৷ শনিবার রাতে এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সেখানে ৷

Fire-fear at Bogtui
Fire-fear at Bogtui
author img

By

Published : Jul 23, 2023, 12:36 PM IST

রামপুরহাট, 23 জুলাই: আবারও বগটুই গ্রামে এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় ফিরে এল সেই ভয়াবহ স্মৃতি । যদিও এ বার বাড়ির লোকজনের তৎপরতায় আগুন বড় আকার ধারণ করতে পারেনি ৷ তবে এই ঘটনায় সেই অভিশপ্ত দিনটির স্মৃতি ফিরে আসায় আতঙ্ক ছড়ায় বগটুইয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে ৷ তাঁদের মনে পড়ে যায় সেই ভয়ংকর দৃশ্য, চারিদিকে আর্তনাদ আর দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন । বস্তা বন্দি আগুনে পোড়া ঝলসানো 7টি মৃতদেহ ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত 9টা নাগাদ বগটুই গ্রামের বাসিন্দা আলম শেখের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে । আলম শেখের স্ত্রী মুর্শিদা বিবি ও অসুস্থ সন্তান বাড়িতে শুয়েছিলেন ৷ সেই সময় দলীয় পতাকায় আগুন লাগিয়ে কেউ বা কারা জানলা দিয়ে ভেতরে ছুড়ে দেয় বলে অভিযোগ । আগুনে বাড়ির আসবাবপত্র ও বেশকিছু জামাকাপড় পুড়ে যায় । বাড়ির লোকজনের তৎপরতায় আগুন নেভানো হয় । রামপুরহাট থানায় খবর দিলে, রামপুরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় ।

মুর্শিদা বিবি বলেন, "আমি তৃণমূল পার্টির সমর্থক । কেন এই ধরনের ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটল বুঝতে পারছি না । আমি কারওকে আগুন লাগাতে দেখিনি ।" আলম শেখ বলেন, "দলীয় একটি পতাকায় আগুন দিয়ে আমার বাড়ির জানালা দিয়ে ভিতরে ছুড়ে ফেলা হয় । বাড়ির অনেক কিছু পুড়ে গিয়েছে । কারওকে সন্দেহ করতে পারছি না ।"

আরও পড়ুন: নারকীয় গণহত্যার বগটুইয়ে বিজেপির পরাজয়! স্বস্তি তৃণমূল শিবিরে

প্রসঙ্গত, 2002 সালের 21 মার্চ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বোমা মেরে ও গুলি করে খুন করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান ভাদু শেখকে । তারপর সেই রাতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বগটুই গ্রাম । বোমা ও আগুনের লেলিহান শিখায় ঝলসে গিয়েছিল বগটুই গ্রামের একের পর এক বাড়ি । দশ জন মহিলা এবং শিশুকে কুপিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে খুন করা হয়েছিল । সেই ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে ।

স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই গ্রামে এসেছিলেন । দলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি । সাসপেন্ড করা হয়েছিল সেই সময় রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সায়ন আহমেদ ও রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদিব ভট্টাচার্যকে । হাইকোর্টের নির্দেশে বগটুইয়ের দুটি ঘটনারই তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই । এখনও সেই ঘটনার তদন্ত চলছে ।

আবার সেই আগুন লাগানোর ঘটনায় আতঙ্কিত বগটুইবাসী । স্বজনহারা মিহিলাল শেখ বলেন, "পুলিশের বিশেষ ভাবে বগটুই গ্রামের প্রতি নজর দেওয়া উচিত । আমাদের পরিবারের সঙ্গে যা হয়েছিল আর যেন গ্রামে এমন ঘটনা না ঘটে । রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের স্বার্থে গ্রামে অশান্তি লাগানোর চেষ্টা করচ্ছে ।" ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ ।

রামপুরহাট, 23 জুলাই: আবারও বগটুই গ্রামে এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় ফিরে এল সেই ভয়াবহ স্মৃতি । যদিও এ বার বাড়ির লোকজনের তৎপরতায় আগুন বড় আকার ধারণ করতে পারেনি ৷ তবে এই ঘটনায় সেই অভিশপ্ত দিনটির স্মৃতি ফিরে আসায় আতঙ্ক ছড়ায় বগটুইয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে ৷ তাঁদের মনে পড়ে যায় সেই ভয়ংকর দৃশ্য, চারিদিকে আর্তনাদ আর দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন । বস্তা বন্দি আগুনে পোড়া ঝলসানো 7টি মৃতদেহ ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত 9টা নাগাদ বগটুই গ্রামের বাসিন্দা আলম শেখের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে । আলম শেখের স্ত্রী মুর্শিদা বিবি ও অসুস্থ সন্তান বাড়িতে শুয়েছিলেন ৷ সেই সময় দলীয় পতাকায় আগুন লাগিয়ে কেউ বা কারা জানলা দিয়ে ভেতরে ছুড়ে দেয় বলে অভিযোগ । আগুনে বাড়ির আসবাবপত্র ও বেশকিছু জামাকাপড় পুড়ে যায় । বাড়ির লোকজনের তৎপরতায় আগুন নেভানো হয় । রামপুরহাট থানায় খবর দিলে, রামপুরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় ।

মুর্শিদা বিবি বলেন, "আমি তৃণমূল পার্টির সমর্থক । কেন এই ধরনের ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটল বুঝতে পারছি না । আমি কারওকে আগুন লাগাতে দেখিনি ।" আলম শেখ বলেন, "দলীয় একটি পতাকায় আগুন দিয়ে আমার বাড়ির জানালা দিয়ে ভিতরে ছুড়ে ফেলা হয় । বাড়ির অনেক কিছু পুড়ে গিয়েছে । কারওকে সন্দেহ করতে পারছি না ।"

আরও পড়ুন: নারকীয় গণহত্যার বগটুইয়ে বিজেপির পরাজয়! স্বস্তি তৃণমূল শিবিরে

প্রসঙ্গত, 2002 সালের 21 মার্চ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বোমা মেরে ও গুলি করে খুন করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান ভাদু শেখকে । তারপর সেই রাতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বগটুই গ্রাম । বোমা ও আগুনের লেলিহান শিখায় ঝলসে গিয়েছিল বগটুই গ্রামের একের পর এক বাড়ি । দশ জন মহিলা এবং শিশুকে কুপিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে খুন করা হয়েছিল । সেই ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে ।

স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই গ্রামে এসেছিলেন । দলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি । সাসপেন্ড করা হয়েছিল সেই সময় রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সায়ন আহমেদ ও রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদিব ভট্টাচার্যকে । হাইকোর্টের নির্দেশে বগটুইয়ের দুটি ঘটনারই তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই । এখনও সেই ঘটনার তদন্ত চলছে ।

আবার সেই আগুন লাগানোর ঘটনায় আতঙ্কিত বগটুইবাসী । স্বজনহারা মিহিলাল শেখ বলেন, "পুলিশের বিশেষ ভাবে বগটুই গ্রামের প্রতি নজর দেওয়া উচিত । আমাদের পরিবারের সঙ্গে যা হয়েছিল আর যেন গ্রামে এমন ঘটনা না ঘটে । রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের স্বার্থে গ্রামে অশান্তি লাগানোর চেষ্টা করচ্ছে ।" ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.