রামপুরহাট , 8 মে : থ্যালাসেমিয়া ৷ একটি ব্লাড ডিজ়অর্ডার । বংশ পরম্পরায় শিশুদের শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধে ৷ এতে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমতে থাকে । শরীরে রক্তের প্রয়োজন হয় ৷ বারবার রক্ত দিতে হয় ৷ আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস ৷ আর আজ বীরভূম জেলাজুড়ে রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে ৷ জেলার তিনটি ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে ৷ বিশেষ করে নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত একেবারেই অমিল । করোনা আবহ ও দীর্ঘ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জন্য কোনও রক্তদান শিবির করা যায়নি ৷ সেই কারণেই এই রক্তের ঘাটতি বলে মনে করছেন সকলে ।
প্রায় দুই মাস ধরে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত ছিল সমস্ত রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন । অন্যদিকে, কোরোনা প্রকোপ । এই কারণে তেমন ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়নি । তার উপর অনেকেই ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৷ সেই কারণে তারা ভ্যাকসিন নেওয়ার 14 দিনের মধ্যে রক্তদান করতে পারবেন না ৷ সব মিলিয়ে জেলার বোলপুর, সিউড়ি ও রামপুরহাট ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে চরম রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে ৷
এদিকে, সংগৃহীত রক্তের এক তৃতীয়াংশ থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য বরাদ্দ থাকে সারা বছর । সেই ঘাটতিও পূরণ হচ্ছে না ৷ আজ থ্যালাসেমিয়া দিবসে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে মাত্র 11 ইউনিট রক্ত মজুত রয়েছে । সিউড়ি মহকুমার ব্লাড ব্যাঙ্কে মাত্র 8 ইউনিট রক্ত মজুত রয়েছে ও রামপুরহাট মহকুমা ব্লাড ব্যাঙ্কে মাত্র 1 ইউনিট রক্ত মজুত রয়েছে ।
আরও পড়ুন, হাসপাতালে ভর্তি করতে করোনার পজিটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক নয়: কেন্দ্র
রক্তের সংকটে সমস্যায় পড়েছে থ্যালাসেমিয়া রোগীরা ৷ এক থ্যালাসেমিয়া রোগী অনন্ত বিশ্বাস বলেন, "তিন মাস ধরে রক্তের চরম সংকট । থ্যালাসেমিয়া রোগীদের বছরে 12 থেকে 14 ইউনিট রক্ত লাগে ৷ কোনও জোগান নেই । খুব সমস্যায় রয়েছি আমরা ।" অন্যদিকে, এক থ্যালাসেমিয়া রোগীর মা শ্যামা সাউ বলেন, "আমার 9 বছরের ছেলে থ্যালাসেমিয়া রোগী । রক্তের অভাবে ভুগছে ৷"
বীরভূম ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নুরুল হক বলেন, "করোনা আবহ ও ভোটের জন্য শিবির হচ্ছে না । এমনিতেও গরমে শিবির কম হয় । আমার আবেদন সব শ্রেণির মানুষ এগিয়ে এসে রক্তদান করুন ।"