বোলপুর, 12 এপ্রিল: শান্তিনিকেতন থানার লোহাগর থেকে মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার হয়েছে ছ'টি বোমা ৷ তবে বম্ব স্কোয়াডকে খবর না-দিয়েই সেই বোমা হাতে করে উদ্ধার করতে দেখা গেল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশকে ৷ যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । প্রসঙ্গত, এর আগে বীরভূমে হাতে করে বোমা উদ্ধার করতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল এক পুলিশ কর্মীর ৷
ওই দিন শান্তিনিকেতন থানার রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহাগর গ্রামে বাগানপাড়ায় একটি ড্রেন থেকে প্রায় 6টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ ৷ কিন্তু, বোমা উদ্ধারে বম্ব স্কোয়াডকে দেখা নেই ৷ বোলপুরে সিআইডি বম্ব স্কোয়াডর দফতর থাকা সত্ত্বেও তাজা বোমা উদ্ধার করতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে ৷ শান্তিনিকেতন থানার এক কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার হাতে করেই তাজা বোমা উদ্ধার করছে । যা অত্যন্ত বিপদজনক । যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা ৷ ইতিমধ্যেই পুলিশকর্মীর হাতে করে বোমা উদ্ধারের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র ৷
প্রসঙ্গত, এই জেলার নানুরে ঠিক এভাবেই হাতে করে তাজা বোমা উদ্ধার করতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটেছিল । যাতে মৃত্যু হয়েছিল নওনেয়াল মির্জা নামে এক পুলিশ কর্মীর ৷ তারপরেও বীরভূমের একাধিক জায়গায় বোমা উদ্ধারের ক্ষেত্রে পুলিশের উদাসীনতাই দেখা গিয়েছে ৷ যেখানে এই জেলার বোলপুরেই রয়েছে সিআইডি বম্ব স্কোয়াডের দফতর । সেখানে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি কেন হচ্ছে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে ৷ যদিও, বীরভূম পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, "বোমাগুলি পুলিশ নিষ্ক্রিয় করেনি ৷ যাতে ফেটে না যায় তার জন্য উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় রেখেছে ।"
উল্লেখ্য, গত দু'মাসে বীরভূমের মুরারই, নানুর, সিউড়ি, মল্লারপুর, সাঁইথিয়া, মাড়গ্রাম, পাঁড়ুই থানা থেকে বোমা-সহ দেশি পিস্তল, কার্তুজ, জিলেটিন স্টিক, 9 এম এম, 7 এম এম, ওয়ান সার্টার, কারবাইন প্রভৃতি উদ্ধার করে পুলিশ ৷ মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মত আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে নামা হয়েছে ৷ বেশ কয়েকজনক দুষ্কৃতীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে ইডি-সিবিআইয়ের নজরে থাকা সিউড়ি থানার আইসি বদল