তারাপীঠ, 1 জানুয়ারি: রীতি মেনেই এতদিন তারাপীঠে মা তারার বিগ্রহ স্পর্শ করে ফুলের মালা পরিয়ে পুজো দিয়েছেন ভক্তরা। আজ, সোমবার থেকে সেই সুযোগ হারালেন ভক্তরা। নতুন বছর থেকেই তারাপীঠে মায়ের মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে দেহ স্পর্শ করে পুজো দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হল। একই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হল বিগ্রহের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি এবং সেলফি তোলাও। গর্ভগৃহের ভিতরে থাকা দেবীর পিতলের চরণ স্পর্শ করতে পারবেন ভক্তরা। সেখানে পুজোর অঞ্জলির ফুলও দিতে পারবেন।
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, "প্রতি বছরের মতো এই বছরেও ভিড় আছে তারাপীঠে। এমনিতেই এই সময় ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি ভিড় করে তারাপীঠে। তবে আজকের দিনে মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে বছর শুরু করতে চাই ভক্তরা। আমরা মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সকল জগৎবাসীর মঙ্গল কামনা করি। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, আজ থেকে আমরা নতুন নিয়ম চালু করেছি, মা'কে স্পর্শ করে আর কেউ পুজো দিতে পারবে না।"
বছরের প্রথম দিনে প্রায় পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে মন্দির চত্বরে। পরিবারের মঙ্গল কামনায় পুজো দিতে আসেন বহু পুণ্যার্থী। পাশাপাশি বছরের প্রথম দিনের হালখাতার পুজোও করাতে এসছেন ব্যবসায়ীরা। সবমিলিয়ে দিনভর উপচে পড়া ভিড়ের ছবি তারাপীঠ মন্দির চত্বরে। আজ সব নিয়ম মেনেই মা তারার পুজো দিয়েই বছর শুরু করেন মায়ের ভক্তরা। সোমবার ভোর হতেই দর্শনার্থীদের ঢল নামতে দেখা যায় তারাপীঠ মন্দির চত্বরে।
আজ মন্দিরের দরজা খুলতেই পুণ্যার্থীদের ভিড় জমতে থাকে মন্দিরে। বেলা বাড়ার সঙ্গে ভিড় আরও বাড়তে থাকে। রবিবার মধ্যরাত থেকেই তারাপীঠ মন্দিরের পুজো দেওয়ার জন্য মন্দির চত্বরে ভিড় জমান। শুধু এই রাজ্য নয়, ভিনরাজ্য ঝাড়খণ্ড, বিহার, অসম থেকেও হাজারও মানুষ এসেছেন আজকের দিনে পুজো দিয়ে বছর শুভারম্ভ করবে মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে। মন্দিরে আসা এক ভক্ত বলেন, "আমি প্রতি বছরই আমার ব্যবসার খাতা আজকের দিনে মায়ের পুজো দিয়ে শুরু করি। মার কাছে প্রার্থনা করলাম সারা বছর যাতে ভালো কাটে। হাওড়া থেকে আগত রুমা পাল বলেন, "আমরা পুজো দিতে এসেছ। এখন ব্যবস্থাপনা আগের থেকে অনেক ভালো হয়েছে। নিরাপত্তার যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে। মাকে দর্শন করতে পেরে ভালো লাগল।"
আরও পড়ুন: