নলহাটি, 16 ফেব্রুয়ারি: আবারও বীরভূমে চলন্ত ট্রেন থেকে এক যাত্রীকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল (Passengers Pushes a Youth from Train)। এই নিয়ে গত পাঁচ মাসে তিনবার এই একই ধরনের ঘটনা ঘটল । বৃহস্পতিবার সকালে নলহাটি থানার পাইকপাড়া থেকে মধুরা যাওয়ার রাস্তায় কাদিরপুর গ্রামের পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করা হয় । উদ্ধার হওয়া যুবকের নাম শিপুল নাথ । বাড়ি দক্ষিণ ত্রিপুরার পুরনো রাজবাড়ি থানার তেবাড়িয়া গ্রামে ।
চার বন্ধু মিলে ট্রেনে চড়ে আগরতলা থেকে বেঙ্গালুরু যাওয়ার পথে ট্রেনের কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে তাঁদের বচসা হয় । এরপর শিপুলকে মারধর করে নলহাটির কাদিরপুর এলাকায় ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । স্থানীয়রা শিপুলকে উদ্ধার করে নলহাটি থানায় খবর দেয় । এরপর পুলিশ এসে তাঁকে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় । আহত শিপুল নাথ বলেন, "আমরা চার জন বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলাম ৷ রাস্তায় কয়েকজন আমাদের কাছ থেকে সব কেড়ে নেয় । আমি পালাতে গেলে আমাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেয় । বাকি তিনজনের কী হয়েছে আমি জানি না ।"
প্রসঙ্গত, 2022-এর 15 অক্টোবর হাওড়া-মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে সজল সেখ নামে এক যাত্রীকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয় । সেই ঘটনার ভিডিয়ো করেছিল মূক ও বধির এক যুবক । রাতে তারাপীঠ স্টেশনের মধ্যে একটা জায়গায় থেকে সেই যাত্রীকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে রামপুরহাট জিআরপি । এই ঘটনার কয়েকদিন পর মূল অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশে কর্মরত বোলপুরের বাসিন্দা মন্টু মণ্ডলকে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ ।
তারপর, গত 21 জানুয়ারি রামপুরহাট সংলগ্ন আয়াস গ্রামের এক ব্যক্তিকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে । রামপুরহাট থানার দাদপুর গ্রামের বাসিন্দা ইদেল সেখ চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন । শ্যালক নেকবার সেখের সঙ্গে ট্রেনে বাড়ি ফিরছিলেন ৷ ওড়িশার কটকের কাছে কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে বচসা হলে তাঁর জামাইবাবু অর্থাৎ ইদেল সেখকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয় তারা । তারপর রামপুরহাট রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন নেকবার শেখ। তদন্তে নেমে দুজনকে গ্রেফতার করে রামপুরহাট জিআরপি । আহতকে ওড়িশার কটকের একটি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় । আবারও বীরভূমে এমন ঘটনা ঘটল ৷
আরও পড়ুন : কটকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা এক যাত্রীকে, রামপুরহাটে গ্রেফতার 2