বীরভূম, 10 জুলাই: অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেদার ছাপ্পা ও সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল ৷ কিন্তু, পুনর্নির্বাচন হল পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ আবহে ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সশস্ত্র রাজ্য পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় নির্বিঘ্নেই ভোট দিলেন ভোটাররা ৷ তবে, আতঙ্কের ছায়া এখনও রয়েছে বিরোধীদের চোখেমুখে ৷ জেলায় 14টি বুথে এ দিন পুনর্নির্বাচন হয় ৷ শেষ লাইনে দাঁড়ানোর সময়সীমা বিকেল পাঁচটা ৷ ওই পর্যন্ত 14টি বুথে 67 শতাংশ ভোট পড়েছে ৷
গরুপাচার ও মানি লন্ডারিং মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ৷ তাঁকে ছাড়াই প্রথমবার হল শাসক তৃণমূলের পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ তবে, তাতেও দিকে দিকে দেদার ছাপ্পা, ব্যালট লুট, জলে ফেলে দেওয়া, আগুন ধরিয়ে দেওয়া, প্রিসাইডিং অফিসার-সহ ভোটকর্মী, বিরোধীদের মারধর ও হেনস্থার অভিযোগ ৷ এমনকি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে বোমাবাজি, ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে ৷ গণতন্ত্রের হত্যা দেখে বুথের ভেতরে বসেই কেঁদে ভাসাতে দেখা গিয়েছে মহিলা প্রিসাইডিং অফিসার-সহ মহিলা ভোট কর্মীদের ৷
উল্লেখ্য, গত শনিবার পঞ্চায়েতের দিন ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায় ৷ যার মধ্যে ময়ূরেশ্বর 1 ও 2, মুরারই 1, দুবরাজপুর, খয়রাশোল 1, সিউড়ি 1 নম্বর ব্লকের মোট 14টি বুথে পুনর্নির্বাচন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ সেই মত সকাল থেকেই শুরু হয় ভোট গ্রহণ ৷ তবে 8 জুলাইয়ের থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কয়েকগুণ ৷ প্রতি বুথে দুই সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সশস্ত্র পুলিশ পাহারা ছিল ৷ পাশাপাশি, গ্রামে গ্রামেও টহল দিতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশকে ৷
আরও পড়ুন: "...এমনটা হতো না", পুত্রশোক বুকে চেপে পুনরায় ভোটাধিকার প্রয়োগ মৃত তৃণমূল কর্মীর মায়ের
ফলে পুনর্নির্বাচন নির্বিঘ্নেই হয়েছে এ দিন ৷ কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী বিকেল 5টা পর্যন্ত ভোটের লাইনে দাঁড়ানোর শেষ সময় সীমা পর্যন্ত 67 শতাংশ ভোট পড়েছে ৷ তবে, পুনর্নির্বাচন হলেও বিরোধীদের চোখেমুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ ৷ ময়ূরেশ্বরে ভোট দিয়ে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কেঁদে ফেলেন সিপিআইএম প্রার্থী ৷ অভিযোগ, তাঁকে নাকি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে ৷