ETV Bharat / state

লাভপুরকাণ্ডে চার্জশিটে নাম, সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ মণিরুল

4 ডিসেম্বর বোলপুর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ । জানা গিয়েছে, সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে মণিরুল ইসলামের । এমনকি, প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটে নাম রয়েছে BJP নেতা মুকুল রায়েরও ।

monirul Islam
মণিরুল ইসলাম
author img

By

Published : Dec 8, 2019, 9:47 PM IST

সিউড়ি, 8 ডিসেম্বর : চক্রান্ত করে চার্জশিটে নাম দেওয়া হয়েছে । এই অভিযোগে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন BJP বিধায়ক মণিরুল ইসলাম । আজই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি ৷ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ-র বেআইনি সম্পত্তি ফাঁস করে দেওয়ার কথা বলাতেই চার্জশিটে তাঁর নাম যুক্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন মণিরুল ইসলাম ৷

বালিরঘাটের দখলদারির দ্বন্দ্ব মেটাতে 2010 সালের 4 জুন লাভপুরের নবগ্রামে নিজের বাড়ির উঠানে সালিশি সভা ডেকেছিলেন মণিরুল ইসলাম । তখন তিনি ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা । সেই সালিশি সভায় বচসার জেরে পিটিয়ে খুন করা হয় কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখকে । মণিরুল ইসলাম সহ 52 জনের নামে লাভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল । ঘটনার পরেই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি । পরে লাভপুর বিধানসভা থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ীও হন । 2013 সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে একটি জনসভা থেকে "পায়ের তল দিয়ে তিনজনকে মেরে দিয়েছি" বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি । 2015 সালে এই মামলায় পুলিশ বোলপুর আদালতে 30 জনের নামে চার্জশিট জমা দেয় । সেই চার্জশিট থেকে নাম বাদ যায় মণিরুলের । সেই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল নিহতের পরিবার । পরে নিহতের পরিবার পুনরায় তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । চলতি বছরের 4 সেপ্টেম্বর ঘটনার পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট ।

আরও পড়ুন : হাইকোর্টের নির্দেশে লাভপুর হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটে মণিরুল-মুকুলের নাম

ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত ধরে BJP-তে যোগ দেন মণিরুল । হাইকোর্টের নির্দেশে ফের তদন্ত শুরু করে পুলিশ । 4 ডিসেম্বর বোলপুর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ । জানা গিয়েছে, সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে মণিরুল ইসলামের । এমনকি, প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটে নাম রয়েছে BJP নেতা মুকুল রায়েরও । 2010 সালে ঘটনার সময় তৃণমূলের অন্যতম নেতা ছিলেন মুকুল রায় । পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে লাভপুর হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা ছিল মুকুল রায়েরও ।

সিউড়ি, 8 ডিসেম্বর : চক্রান্ত করে চার্জশিটে নাম দেওয়া হয়েছে । এই অভিযোগে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন BJP বিধায়ক মণিরুল ইসলাম । আজই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি ৷ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ-র বেআইনি সম্পত্তি ফাঁস করে দেওয়ার কথা বলাতেই চার্জশিটে তাঁর নাম যুক্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন মণিরুল ইসলাম ৷

বালিরঘাটের দখলদারির দ্বন্দ্ব মেটাতে 2010 সালের 4 জুন লাভপুরের নবগ্রামে নিজের বাড়ির উঠানে সালিশি সভা ডেকেছিলেন মণিরুল ইসলাম । তখন তিনি ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা । সেই সালিশি সভায় বচসার জেরে পিটিয়ে খুন করা হয় কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখকে । মণিরুল ইসলাম সহ 52 জনের নামে লাভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল । ঘটনার পরেই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি । পরে লাভপুর বিধানসভা থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ীও হন । 2013 সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে একটি জনসভা থেকে "পায়ের তল দিয়ে তিনজনকে মেরে দিয়েছি" বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি । 2015 সালে এই মামলায় পুলিশ বোলপুর আদালতে 30 জনের নামে চার্জশিট জমা দেয় । সেই চার্জশিট থেকে নাম বাদ যায় মণিরুলের । সেই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল নিহতের পরিবার । পরে নিহতের পরিবার পুনরায় তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । চলতি বছরের 4 সেপ্টেম্বর ঘটনার পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট ।

আরও পড়ুন : হাইকোর্টের নির্দেশে লাভপুর হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটে মণিরুল-মুকুলের নাম

ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত ধরে BJP-তে যোগ দেন মণিরুল । হাইকোর্টের নির্দেশে ফের তদন্ত শুরু করে পুলিশ । 4 ডিসেম্বর বোলপুর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ । জানা গিয়েছে, সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে মণিরুল ইসলামের । এমনকি, প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটে নাম রয়েছে BJP নেতা মুকুল রায়েরও । 2010 সালে ঘটনার সময় তৃণমূলের অন্যতম নেতা ছিলেন মুকুল রায় । পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে লাভপুর হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা ছিল মুকুল রায়েরও ।

Intro:বীরভূম, ৮ ডিসেম্বরঃ চক্রান্ত করে চার্জশিটে নাম দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে এবার বিজেপি বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, "অনুব্রত মণ্ডল, রাণা সিংহের (তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ) বেআইনি সম্পত্তি ফাঁস করে দেব বলায় আমার নাম চার্জশিটে যুক্ত হল। আমি নির্দোশ প্রমাণ করে ছাড়ব।"Body:বীরভূম, ৮ ডিসেম্বরঃ চক্রান্ত করে চার্জশিটে নাম দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে এবার বিজেপি বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, "অনুব্রত মণ্ডল, রাণা সিংহের (তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ) বেআইনি সম্পত্তি ফাঁস করে দেব বলায় আমার নাম চার্জশিটে যুক্ত হল। আমি নির্দোশ প্রমাণ করে ছাড়ব।"

বালিরঘাটের দখলদারির দ্বন্দ্ব মেটাতে ২০১০ সালের ৪ জুন লাভপুরের নবগ্রামে নিজের বাড়ির উঠানে সালিশি সভা ডেকেছিলেন মণিরুল ইসলাম। তখন তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা ছিলেন। সেই সালিশি সভায় বচসার জেরে পিটিয়ে মেরে দেওয়া হয় কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখকে। মণিরুল ইসলাম সহ ৫২ জনের নামে লাভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ঘটনার পরে পরেই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। পরে লাভপুর বিধানসভা থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে একটি জনসভা থেকে "পায়ের তল দিয়ে তিনজনকে মেরে দিয়েছি" বলে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন মণিরুল। ২০১৫ সালে এই মামলায় পুলিশ বোলপুর আদালতে ৩০ জনের নামে চার্জশিট জমা দেয়। সেই চার্জশিটে নাম বাদ যায় এই মণিরুলের। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল নিহতের পরিবার। পরে নিহতের পরিবার পুরঃরায় তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঘটনার পুনঃরায় তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে দিল্লিতে গিয়ে কৈলাশ বিজয় বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন মণিরুল।
হাইকোর্টের নির্দেশ মত ফের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ৪ ডিসেম্বর বোলপুর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। জানা গিয়েছে, সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে মণিরুল ইসলামের। এমনকি, প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটে নাম রয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। ২০১০ সালে ঘটনার সময় তৃণমূলের অন্যতম নেতা ছিলেন মুকুল রায়। মণিরুল ইসলাম ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথোপকথন চলছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মুকুল রায়ের প্ররোচনা ছিল লাভপুর হত্যাকাণ্ডে।
বাদ যাওয়ার পরেও ফের চার্জশিটে নাম দেওয়া হয়েছে চক্রান্ত করে বলে দাবি করেন বিজেপি বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। নিজেকে নির্দেশ প্রমাণ করতে ইতিমধ্যে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর দাবি, বীরভূমে তোলাবাজি বন্ধ করে দেব বলায় নতুন করে চার্জশিটে নাম দেওয়া হয়েছে।Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.