সিউড়ি, 8 ডিসেম্বর : চক্রান্ত করে চার্জশিটে নাম দেওয়া হয়েছে । এই অভিযোগে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন BJP বিধায়ক মণিরুল ইসলাম । আজই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি ৷ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ-র বেআইনি সম্পত্তি ফাঁস করে দেওয়ার কথা বলাতেই চার্জশিটে তাঁর নাম যুক্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন মণিরুল ইসলাম ৷
বালিরঘাটের দখলদারির দ্বন্দ্ব মেটাতে 2010 সালের 4 জুন লাভপুরের নবগ্রামে নিজের বাড়ির উঠানে সালিশি সভা ডেকেছিলেন মণিরুল ইসলাম । তখন তিনি ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা । সেই সালিশি সভায় বচসার জেরে পিটিয়ে খুন করা হয় কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখকে । মণিরুল ইসলাম সহ 52 জনের নামে লাভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল । ঘটনার পরেই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি । পরে লাভপুর বিধানসভা থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ীও হন । 2013 সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে একটি জনসভা থেকে "পায়ের তল দিয়ে তিনজনকে মেরে দিয়েছি" বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি । 2015 সালে এই মামলায় পুলিশ বোলপুর আদালতে 30 জনের নামে চার্জশিট জমা দেয় । সেই চার্জশিট থেকে নাম বাদ যায় মণিরুলের । সেই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল নিহতের পরিবার । পরে নিহতের পরিবার পুনরায় তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । চলতি বছরের 4 সেপ্টেম্বর ঘটনার পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট ।
আরও পড়ুন : হাইকোর্টের নির্দেশে লাভপুর হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটে মণিরুল-মুকুলের নাম
ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত ধরে BJP-তে যোগ দেন মণিরুল । হাইকোর্টের নির্দেশে ফের তদন্ত শুরু করে পুলিশ । 4 ডিসেম্বর বোলপুর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ । জানা গিয়েছে, সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে মণিরুল ইসলামের । এমনকি, প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটে নাম রয়েছে BJP নেতা মুকুল রায়েরও । 2010 সালে ঘটনার সময় তৃণমূলের অন্যতম নেতা ছিলেন মুকুল রায় । পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে লাভপুর হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা ছিল মুকুল রায়েরও ।