রামপুরহাট, 19 ডিসেম্বর : রাজ্য জুড়ে অগণতান্ত্রিক আন্দোলনকে গণতান্ত্রিক পথে ফেরাতে অবস্থান-বিক্ষোভ হাঁসন বিধানসভার কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদের । দু'দিন ধরে শীতের তীব্রতায় যখন রাজ্যের বাসিন্দাদের অবস্থা নাজেহাল, তখন তিনি রামপুরহাট মহকুমা শাসক ভবনের সামনে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছেন । যতক্ষণ জনগণ অগণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথকে ছেড়ে গণতন্ত্রের পথে ফিরে না আসছেন ততক্ষণ চলবে তাঁর এই অবস্থান বিক্ষোভ ।
মঞ্চ থেকে মিল্টন বাবু জানান, " CAA নামক যে বিল আইনে পরিণত করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে লড়াই শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নয়, সবার । তবে এই লড়াইয়ে অবশ্যই গণতান্ত্রিক পথে হওয়া উচিত ছিল । বাংলা ও ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় এই আইন নিয়ে যে বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তাকে আটকানোর জন্য সংবিধান বাঁচাও নামে আমাদের এই ধরনা মঞ্চ ।" তিনি আরও জানান , "এই আইনটি পাশ হয়ে যাওয়ার পরে গ্রাম বাংলার মানুষ যেভাবে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পথে নেমে রাস্তাঘাট, রেললাইন, ট্রেন ভাঙচুর করেছে তাতে নিজের পরিবেশ, পরিবার এবং সমাজের ক্ষতি করছে । আর এগুলি করে এই আইনের পরিবর্তন হবে না । সংবিধান বাঁচানোর এই লড়াইয়ে আমার মত অন্যান্য বিধায়করা পথে নামুন, তাহলে এইভাবে অগণতান্ত্রিক লড়াইয়ের পথ বেছে নেবেন না গ্রাম বাংলার মানুষরা ।"
হাঁসন বিধানসভার বিধায়ক মিল্টন রশিদের আরও দাবি, " নতুন যে আইন পাশ হয়েছে সেই আইন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিকদের জন্য নয় । এই আইন বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁদের জন্যও । সুতরাং আপনারা অযথা চিন্তা করে মস্তিষ্ককে বিকৃত করবেন না ।" নেতার অবস্থান বিক্ষোভে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ও ৷