শান্তিনিকেতন, 5 অক্টোবর : ছাত্র বিক্ষোভের জেরে বাতিল হয়েছে বিশ্বভারতীর শিক্ষা সমিতির বৈঠক । কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে বাতিল হয় ওই বৈঠক ৷ বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনে ফেরাতে হবে । এছাড়া ক্যাম্পাস খোলার দাবি-সহ 11 দফা দাবিতে বিক্ষোভ চলে । এনআইআরএফ-এর ব়্যাঙ্কিংয়ে শিক্ষার মান কমার পর এই প্রথম শিক্ষা সমিতির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু সেই বৈঠক বাতিল হয়ে যায় ।
এনআইআরএফ-এর ব়্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান কমেছে । 2016 সালে 11 নম্বর স্থানে ছিল বিশ্বভারতী । সেখান থেকে নেমে তা দাঁড়ায় 50 নম্বরে ৷ এবছর সেই মান আরও কমে 97 নম্বরে নেমে আসে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ৷ এনিয়ে ইতিমধ্যেই নিন্দার ঝড় উঠেছে শিক্ষামহলে । উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সাংবাদিক বৈঠক করে মান কমার জন্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতিগুলিও তুলে ধরেন । সোমবার বিশ্বভারতীর আধিকারিক ও বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে শিক্ষা সমিতির বৈঠক করার কথা ছিল । কিন্তু ছাত্র বিক্ষোভের জেরে বাতিল হয়ে যায় শিক্ষা সমিতির সেই বৈঠক ৷
গতকাল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা । তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনে ফেরাতে হবে, ক্যাম্পাস খুলতে হবে ও অফলাইনে পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করতে হবে, ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে, বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করতে হবে, দুঃস্থ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা করতে হবে, করোনা সময়কালে সমস্ত ফি মুকুব করতে হবে প্রভৃতি । 11 দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চলতে থাকে বিক্ষোভ । বিক্ষোভের জেরে শিক্ষা সমিতির বৈঠক না করে চলে যেতে দেখা গেল উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ।
পড়ুয়াদের মধ্যে সায়নী চক্রবর্তী ও সোমনাথ সৌ বলেন, "অবিলম্বে পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনে ফেরাতে হবে, ক্যাম্পাস খুলতে হবে । এই রকম 11 দফা দাবি আছে আমাদের । সেই দাবিগুলো মানতে হবে । শিক্ষা সমিতির বৈঠকে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য আলোচনা করতে হবে ।"
আরও পড়ুন : Visva-Bharati : এনআইআরএফ ব়্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বভারতীর মান কমায় নিজেদের গাফিলতি স্বীকার উপাচার্যের