রামপুরহাট, 7 এপ্রিল: শুক্রবার বীরভূমের রামপুরহাটের একটি হোটেলে অভিযান চালাল এনআইএ ৷ বেআইনিভাবে বিস্ফোরক অ্যামোনিয়া নাইট্রেটের ব্যবসা করার অভিযোগে 30 মার্চ এনআইএর হাতে গ্রেফতার হয় বীরভূমের মুরারইয়ের বাসিন্দা মীর মহম্মদ নূরুজ্জামান-সহ দু'জন । কলকাতার বিকাশ ভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ শুক্রবার ধৃত নূরুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে 14 নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হোটেলে আসেন এনআইএর গোয়েন্দারা । ধৃতকে জেরা করে তাঁরা জানতে পারেন এই হোটেলেরই একটি ঘর ভাড়া নিয়ে বিস্ফোরকের কারবার করত ধৃতরা ।
মুরারইয়ে মীর মহম্মদ নূরুজ্জামানের বাড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বে ব্লক অফিস পাড়া। জানা গিয়েছে, ধৃত নূরুজ্জামান বিকাশ ভবনে একটি বেসরকারি কমপিউটার সংস্থার হয়ে কাজ করতেন । 2007 সালে মুরারই কবি নজরুল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করে বিটেক পড়তে অভিযুক্ত মুরারই থেকে কলকাতায় চলে যান । সেই সময় থেকেই কলকাতাতে থাকার শুরু । মাঝে মধ্যে বীরভূমে মুরারইয়ের বাড়িতে আসতেন । তাঁর বাবা মীর জুমলা হোসেন ছিলেন মুরারই কবি নজরুল কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ৷ রামপুরহাটের ভাঁড়শালাপাড়ার এক ফার্টিলাইজার ব্যবসায়ীর মেয়ের সঙ্গে নূরুজ্জামানের বিয়ে হয় । এই ব্যবসায়ীর অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের ব্যবসা ছিল । পড়ে সেই ব্যবসার লাইসেন্স মীর মহম্মদ নূরুজ্জামানের নামে হস্তান্তর করা হয় ।
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সাধারণত বিস্ফোরণ সহায়ক উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয় । বেশ কয়েক বছর আগে সাধারণ সারের দোকানে বিক্রির অনুমতি দেওয়া হত । কিন্তু দেশের কয়েকটা বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের ব্যবহার লক্ষ্য করেন বিশেষজ্ঞরা । তারপর থেকে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হয় অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট । গত বছর জুন মাসে বীরভূম জেলার নলহাটি ও মহম্মদবাজার থানা এলাকায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফের হাতে ধরা পড়ে বিপুল পরিমাণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও ডিটোনেটর, যা সাধারণত বিস্ফোরক হিসাবেই ব্যবহৃত হয় । এই বাজেয়াপ্ত বিস্ফোরকের পরিমাণ ছিল 27 হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও 81 হাজার ডিটোনেটর । তারপর তদন্ত ভার নেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএইএ ।
আরও পড়ুন : মজুত 740 টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, বেইরুটের মতো বিস্ফোরণের আতঙ্ক চেন্নাইয়ে