বোলপুর, 28 ডিসেম্বর : বিশ্বভারতীকে দেওয়া রাস্তা ফেরত নিচ্ছে রাজ্য সরকার । এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত এই রাস্তা প্রায় সময় বন্ধ করে দেওয়া হত বিশ্বভারতীর তরফে । এনিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ ছিল দীর্ঘদিন ধরে । আশ্রমিকরাও এই মর্মে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে ৷ আজ বোলপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্বভারতীকে রাজ্য সরকার যে রাস্তা দিয়েছিল, সেই রাস্তা ফের নিজেদের হেপাজতে নেওয়া হল । পূর্ত দপ্তরকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে রাস্তাটি ।
বোলপুরে আসার আগেই এই সংক্রান্ত কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী । শান্তিনিকেতনের ক্লাব মোড় থেকে উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন, অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে দিয়ে গিয়েছে রাস্তাটি । প্রসঙ্গত, তৎকালীন বিশ্বভারতীর উপাচার্য স্বপনকুমার দত্ত এই রাস্তাটি বিশ্বভারতীর তত্ত্বাবধানে চেয়ে আবেদন করেছিলেন । আবেদনের প্রেক্ষিতে রাস্তাটি বিশ্বভারতীকে দেওয়া হয়েছিল । উল্লেখ্য, তৎকালীন বিশ্বভারতীর উপাচার্য স্বপনবাবু বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন ।
আরও পড়ুন : 'নো আমন্ত্রণ, নো নিমন্ত্রণ', বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী
বর্তমানে শান্তিনিকেতনের এই রাস্তায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । এছাড়া, বেশিরভাগ সময় জন সাধারণের জন্য রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হত বলেও অভিযোগ রয়েছে । এই রাস্তাটি দিয়ে বহু বিশিষ্ট মানুষের বাড়ি যাওয়া যায় । তাই রাস্তা ব্যবহার করতে না পারায় ক্ষোভ ছিল দীর্ঘ দিন ধরেই । সদ্য শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকরা মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন এই মর্মে । চিঠির প্রেক্ষিতেই সেই রাস্তা ফের পূর্ত দপ্তর ফিরিয়ে নিল । এছাড়া, বিশ্বভারতীর চতুর্দিকে প্রাচীর সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী । জেলাশাসক ও শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদকে বিষয়গুলি দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীর সঙ্গে রাজ্য সরকারের দূরত্ব কয়েক বছর ধরে বাড়তে শুরু করেছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের ।