বর্ধমান, 7 ডিসেম্বর: মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেও শেষমেশ হার মানতে হল গুলিবিদ্্ধ স্কুল শিক্ষককে । বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার রাতে তিনি প্রয়াত হন ৷ প্রাথমিক স্কুলের ওই শিক্ষকের নাম ধনা হাঁসদা । তাঁর বাড়ি বীরভূমের মহম্মদ বাজার এলাকায় (Birbhum Primary Teacher died in shootout) ৷ এর আগে দুষ্কৃতীর গুলিতে নিহত হন খাদান শ্রমিক ধানু শেখ । তাঁর সঙ্গে জখম হন ধনা হাঁসদা ৷ তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি ৷ মনে করা হচ্ছে, দেউচা-পাঁচামিতে অশান্তির জেরেই তাঁকে গুলি করা হয় ৷
মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে আহত ওই শিক্ষক ধনা হাঁসদা বলেন, "আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই ৷ যে এসেছিল (দুষ্কৃতী), তাকে আমি চিনিও না ৷ আমি তাকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলি ৷ সেই সময় আমার সঙ্গে ছিলেন ধানু শেখ ৷ আমাদের সঙ্গে ঠেলাঠেলি শুরু হয় ৷ কিন্তু বাড়িতে সে কেন হামলা করতে এসেছিল, তা জানি না ৷ এরপরে ওই দুষ্কৃতী দু'জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ৷ ধানুর মৃত্যু হয় ৷ আমার পিঠে গুলি লাগে ৷"
আরও পড়ুন: মহাগুরুকে দেখতে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীরা, গাড়ি থেকে নামলেন না মিঠুন
প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যার দিকে বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানার হাবরাপাহাড়ি গ্রামে দুষ্কৃতীর গুলিতে ধানু শেখ নামে এক খাদানকর্মীর মৃত্যু হয় ৷ তাঁর বুকে গুলি লাগে ৷ ধনা হাঁসদার পিঠের নীচে গুলি লাগে ৷ জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় তারা দু'জনে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন ৷ সেই সময় ধনা হাঁসদা খবর পান তাঁর খোঁজে একজন অপরিচিত ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে এসেছেন ৷ তিনি বাড়ি গিয়ে দেখেন এক ব্যক্তি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে ৷ কারণ জিজ্ঞাসা করায় দু'জনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয় ৷ ধানু শেখও সেই তর্কে জড়িয়ে পড়েন ৷ এরই মধ্যে হঠাৎ ওই ব্যক্তি দু'জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ৷ ধানুর বুকে গুলি লাগে ৷ ধনা হাঁসদার পিঠে গুলি লাগে ৷ এরপরেই দুষ্কৃতী পালিয়ে যায় । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহম্মদ বাজার থানার পুলিশ ৷