ETV Bharat / state

Illegal Hookah Bar in Santiniketan: শান্তিনিকেতনে বেআইনি হুক্কাবার ! সন্ধ্যা হলেই নেশার টানে যুবসমাজের ভিড়

বিশ্ববিখ্যাত শান্তিনিকেতনে বেআইনি হুক্কাবার চলছে ৷ এমনকী 18 বছরের কম বয়সি কিশোর-কিশোরীরাও আসে বলে জানা গিয়েছে ৷ সন্ধ্যা হলে সেখানে তরুণ প্রজন্মেরা ভিড় করে ৷ প্রশাসন অবশ্য এই হুক্কাবারের বিষয়টি মানতে নারাজ ৷

author img

By

Published : Jul 30, 2023, 1:41 PM IST

ETV Bharat
হুক্কাবার
বোলপুরের শান্তিনিকেতনে বেআইনি হুক্কাবার

বোলপুর, 30 জুলাই: রমরমিয়ে চলছে বেআইনি হুক্কাবার ৷ তাও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে ৷ সন্ধ্যা নামলেই ওঠে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ৷ সেই নেশায় বুঁদ যুব সমাজ ৷ কোপাই নদীর অদূরে প্রশাসনের কোনও অনুমতি ছাড়াই বসছে হুক্কার আসর ৷ এমনকী, 18 বছরের নীচেও ছেলেমেয়েরা মজেছে হুক্কায় ৷ বোলপুরের খ্যাতি জেলা, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ৷ বোলপুর পৌরসভাকে মডেল পৌরসভা বলে ধরা হয় ৷ এই পৌরসভার 1 নম্বর ওয়ার্ডে কোপাই নদীর কিছুটা দূরেই রয়েছে হুক্কাবার ৷ এটি বেআইনি ৷

হুক্কাবার চালাতে 2003 সালের 'সেন্ট্রাল টোব্যাকো আইন' অনুযায়ী কমপক্ষে 10টি লাইসেন্স প্রয়োজন হয় ৷ স্থানীয় পৌরসভা থেকে ফুড লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স, ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইট সোসাইটি থেকে মিউজিক লাইসেন্স, নার্কোটিক বিভাগের ছাড়পত্র, ফায়ার লাইসেন্স, জিএসটি রেজিস্ট্রেশন, স্টাফ ও লেবার লাইসেন্স, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ লাইসেন্স-সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে নো অবজেকশন, পুলিশের কাছ থেকে ছাড়পত্র প্রয়োজন ৷ এর সঙ্গে হুক্কাবারে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা বাধ্যতামূলক ৷

আরও পড়ুন: এবার সল্টলেকেও বন্ধ হচ্ছে হুক্কা বার! কেএমসি'র পথেই বিধাননগর পৌরনিগম

সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সব লাইসেন্স ছাড়াই শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত গোয়ালপাড়া রাস্তায় চলছে পশালবনী নামের হুক্কাবার ৷ সন্ধ্যা হলে এখানে ভিড় জমে তরুণ-তরুণীদের ৷ 18 বছরের নীচে কারও হুক্কাবারে প্রবেশের অধিকার নেই ৷ এখানে এসবে ছাড় দেওয়া হয়েছে ৷ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী ছাড়াও এই বোলপুর-শান্তিনিকেতনে রয়েছে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ একাধিক সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পচর্চা কেন্দ্র ৷ সেখানে প্রশাসনের নাকের ডকায় এভাবে হুক্কার আসর বসায় রীতিমতো প্রশ্ন উঠেছে। কেন নির্বিকার পুলিশ ও প্রশাসন ?

বোলপুর পৌরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ এ বিষয়ে বলেন, "বোলপুর পৌরসভা হুক্কাবারের লাইসেন্স দেওয়ার অধিকার নেই ৷ রবিঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত এই শহর আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ৷ এখানে কোনও নেশা হোক, তা আমরা চাই না ৷ তার জন্য পুলিশ প্রশাসন, শান্তিনিকেতনবাসীদের সহযোগিতায় যা যা পদক্ষেপ করার, তা করা হবে ৷ পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্য জানানো হবে ৷"

বীরভূম আবগাড়ি দফতরের অতিরিক্ত সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, "বীরভূম জেলায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটিও হুক্কাবার আছে বলে আমাদের জানা নেই ৷ আমরা হুক্কাবারের লাইসেন্সও দিই না ৷" বোলপুর মহকুমা শাসক অয়ন নাথ বলেন, "লাইসেন্স প্রাপ্ত হুক্কাবার বোলপুর মহকুমায় নেই ৷ তাছাড়া, আমরা এসবের অনুমোদন দিই না ৷" একই কথা পুলিশ-প্রশাসনের ৷ শান্তিনিকেতন থানার কাছে লাইসেন্স প্রাপ্ত হুক্কাবারের কোনও নাম তাদের কাছে নেই ৷

আরও পড়ুন: কলকাতা ও বিধাননগরে হুক্কাবার বন্ধ হল কেন? জানতে চাইল হাইকোর্ট

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কলকাতা, সল্টলেক, বিধাননগর, শিলিগুড়ি প্রভৃতি জায়গায় হুক্কাবার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট পৌরনিগম ৷ এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে লাইসেন্স প্রাপ্ত হুক্কাবার মালিকেরা ৷ কিন্তু শান্তিনিকেতনে হুক্কাবার বা হুক্কার আসরের কোনও অনুমতি নেই ৷

বোলপুরের শান্তিনিকেতনে বেআইনি হুক্কাবার

বোলপুর, 30 জুলাই: রমরমিয়ে চলছে বেআইনি হুক্কাবার ৷ তাও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে ৷ সন্ধ্যা নামলেই ওঠে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ৷ সেই নেশায় বুঁদ যুব সমাজ ৷ কোপাই নদীর অদূরে প্রশাসনের কোনও অনুমতি ছাড়াই বসছে হুক্কার আসর ৷ এমনকী, 18 বছরের নীচেও ছেলেমেয়েরা মজেছে হুক্কায় ৷ বোলপুরের খ্যাতি জেলা, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ৷ বোলপুর পৌরসভাকে মডেল পৌরসভা বলে ধরা হয় ৷ এই পৌরসভার 1 নম্বর ওয়ার্ডে কোপাই নদীর কিছুটা দূরেই রয়েছে হুক্কাবার ৷ এটি বেআইনি ৷

হুক্কাবার চালাতে 2003 সালের 'সেন্ট্রাল টোব্যাকো আইন' অনুযায়ী কমপক্ষে 10টি লাইসেন্স প্রয়োজন হয় ৷ স্থানীয় পৌরসভা থেকে ফুড লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স, ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইট সোসাইটি থেকে মিউজিক লাইসেন্স, নার্কোটিক বিভাগের ছাড়পত্র, ফায়ার লাইসেন্স, জিএসটি রেজিস্ট্রেশন, স্টাফ ও লেবার লাইসেন্স, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ লাইসেন্স-সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে নো অবজেকশন, পুলিশের কাছ থেকে ছাড়পত্র প্রয়োজন ৷ এর সঙ্গে হুক্কাবারে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা বাধ্যতামূলক ৷

আরও পড়ুন: এবার সল্টলেকেও বন্ধ হচ্ছে হুক্কা বার! কেএমসি'র পথেই বিধাননগর পৌরনিগম

সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সব লাইসেন্স ছাড়াই শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত গোয়ালপাড়া রাস্তায় চলছে পশালবনী নামের হুক্কাবার ৷ সন্ধ্যা হলে এখানে ভিড় জমে তরুণ-তরুণীদের ৷ 18 বছরের নীচে কারও হুক্কাবারে প্রবেশের অধিকার নেই ৷ এখানে এসবে ছাড় দেওয়া হয়েছে ৷ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী ছাড়াও এই বোলপুর-শান্তিনিকেতনে রয়েছে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ একাধিক সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পচর্চা কেন্দ্র ৷ সেখানে প্রশাসনের নাকের ডকায় এভাবে হুক্কার আসর বসায় রীতিমতো প্রশ্ন উঠেছে। কেন নির্বিকার পুলিশ ও প্রশাসন ?

বোলপুর পৌরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ এ বিষয়ে বলেন, "বোলপুর পৌরসভা হুক্কাবারের লাইসেন্স দেওয়ার অধিকার নেই ৷ রবিঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত এই শহর আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ৷ এখানে কোনও নেশা হোক, তা আমরা চাই না ৷ তার জন্য পুলিশ প্রশাসন, শান্তিনিকেতনবাসীদের সহযোগিতায় যা যা পদক্ষেপ করার, তা করা হবে ৷ পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্য জানানো হবে ৷"

বীরভূম আবগাড়ি দফতরের অতিরিক্ত সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, "বীরভূম জেলায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটিও হুক্কাবার আছে বলে আমাদের জানা নেই ৷ আমরা হুক্কাবারের লাইসেন্সও দিই না ৷" বোলপুর মহকুমা শাসক অয়ন নাথ বলেন, "লাইসেন্স প্রাপ্ত হুক্কাবার বোলপুর মহকুমায় নেই ৷ তাছাড়া, আমরা এসবের অনুমোদন দিই না ৷" একই কথা পুলিশ-প্রশাসনের ৷ শান্তিনিকেতন থানার কাছে লাইসেন্স প্রাপ্ত হুক্কাবারের কোনও নাম তাদের কাছে নেই ৷

আরও পড়ুন: কলকাতা ও বিধাননগরে হুক্কাবার বন্ধ হল কেন? জানতে চাইল হাইকোর্ট

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কলকাতা, সল্টলেক, বিধাননগর, শিলিগুড়ি প্রভৃতি জায়গায় হুক্কাবার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট পৌরনিগম ৷ এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে লাইসেন্স প্রাপ্ত হুক্কাবার মালিকেরা ৷ কিন্তু শান্তিনিকেতনে হুক্কাবার বা হুক্কার আসরের কোনও অনুমতি নেই ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.