রামপুরহাট, 16 মে : এক সপ্তাহ পরেই ইদ । লকডাউনের ফলে এতদিন দোকান বাজার বন্ধ থাকায় কেনাকাটা হয়নি বললেই চলে । শেষ মুহূর্তে ইদের বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে বীরভূমের রামপুরহাটে । মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন মেতে উঠেছেন বাজার করতে । দাম খানিকটা বাড়ায় ব্যবসায় প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা । বাজারের বড় কাপড়ের দোকানগুলি খোলা না থাকলেও বেশ কয়েকটি ছোটো দোকান খোলা । জামা কাপড়ের সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে আতর, সুরমা, টুপি, সিমাই, লাচ্ছাসহ আরও অনেক সামগ্রী ।
ইদ উপলক্ষে রামপুরহাটের সবক'টি বাজারে চোখে পড়ার মতো ভিড় । লকডাউনের কোনও প্রভাব নেই বললেই চলে । কয়েকটি জায়গায় সামাজিক দূরত্ব দেখা গেলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষকে ঘেঁষাঘেষি করেই বাজার করতে দেখা গেছে । রামপুরহাটের রেলপার, ভাড়শালাপাড়া ও সফর বাজারে লাইন দিয়ে মানুষ সিমাই, লাচ্ছা কিনছেন । কিন্তু এখনও পর্যন্ত রামপুরহাটে বড় কাপড়ের দোকানগুলি বন্ধ রয়েছে । রামপুরহাটের এক কাপড়ের দোকানের মালিক বিমল শেখ বলেন, "লকডাউনের জন্য এবার প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়ে গেল । পুজোর বাজারের পাশাপাশি ইদের বাজারও রামপুরহাটে খুবই ভালো হয় । কিন্তু আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি । এখনও পর্যন্ত বড় দোকান খোলা নেই । খোলার অনুমতি পেলেও এখন আর সেরকমভাবে লাভ হবে না ।"
ইলেকট্রনিক্স দোকানের মালিক নাদিম কাউসার বলেন, "প্রতি বছরই ইদে প্রচুর নতুন মোবাইল বিক্রি হয় । এখনও পর্যন্ত আমরা দোকান খুলিনি । এবছর মনে হয় না আর ইদে মোবাইল বিক্রি হবে ।" সিমাই বিক্রেতা মহম্মদ শফিরউদ্দিন বলেন, "এবছর সিমাইয়ের দাম আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ । সেই কারণে বিক্রি কম হচ্ছে । আমরা ক্রেতাদের বলছি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সিমাই কিনুন । কিন্তু কয়েকজন ক্রেতা তা শুনছেন না । আমরা সিমাই দেওয়ার আগে ক্রেতাদের হাতে স্যানিটাইজ়ার দিচ্ছি ।"