শান্তিনিকেতন, 14 ডিসেম্বর : পৌষমেলা নিয়ে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে দীর্ঘ দু'ঘণ্টা বৈঠক করেও মেলা নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র বেরোল না। ব্যবসায়ীদের কোনও দাবি বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে । এছাড়া, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে উপাচার্য দুর্ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
২৪ ডিসেম্বর থেকে শান্তিনিকেতনে শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা । আর মাত্র কয়েক দিন বাকি । পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দূষণমুক্ত ৪ দিনের পৌষমেলা হওয়ার কথা। এবার অনলাইনে পৌষমেলার প্লট বুকিং চলছে ৷ যে আগে বুক করবে সে আগে প্লট পাবে, এমনই নিয়ম করা হয়েছিল। কিন্তু, বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি বিক্ষোভ শুরু করে । তাদের দাবি, অনলাইনের মাধ্যমেই পুরানো ব্যবসায়ীদের আগে সুযোগ দিতে হবে। এছাড়া, মেলায় প্লট বুকিং করতে সিকিউরিটি মানি নেওয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণে। সেই টাকা কমাতে হবে ও প্লটের দাম কমাতে হবে। ব্যবসায়ী সমিতির বিক্ষোভের জেরে আজ তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
সেই মতো, বিকেল ৩ টে থেকে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সভাকক্ষে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে শুরু হয় বৈঠক। ছিলেন ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব আশা মুখোপাধ্যায়, বিভিন্ন বিভাগের অধ্যক্ষরা, আধিকারিকরা ৷ ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি, সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ । টানা ২ ঘণ্টার বেশি বৈঠক চলে।
![birbhum](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-bhrm-14dec-poushmela-closed-avishek-7203424_14122019181414_1412f_1576327454_504.jpg)
বৈঠক শেষে বাইরে এসে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি সুনীল শিং বলেন, "উপাচার্য আমাদের সঙ্গে চূড়ান্ত দুর্ব্যবহার করেছেন। কোন অধিকারে উনি এটা করতে পারেন। আমাদের কোনও দাবি মানা হয়নি। উনি চাইছেন না পৌষমেলা হোক। উনি বলেই দিলেন মেলা এবার হবে না। আমরা নিজেরা বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তার সিদ্ধান্ত নেব।"
যদিও বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, "ব্যবসায়ীদের কথা মতো আমরা ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়েছি সিকিউরিটি মানি থেকে ৷ তবে অনলাইনেই বুকিং চলবে। ৪ দিনের মেলা হবে। ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানালে আমরা মেলা নিয়ে ভাবব।"