বোলপুর, 31 অগস্ট: বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট মণীশ কোঠারী ও কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে সিবিআই হানা ৷ এদিন সকাল সকাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তাঁদের বাড়িতে হানা দিল সিবিআইয়ের পৃথক দু'টি দল ।
গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল । আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। পরবর্তী হাজিরার আগে ফের বোলপুরে তল্লাশি শুরু করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার আধিকারিকরা ৷
আরও পড়ুন: গ্রেফতারির পর এই প্রথম, সংশোধনাগারে অনুব্রতকে জেরা করবে সিবিআই
এর আগে বিশ্বভারতীর পূর্বপল্লি গেস্ট হাউসে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে ডেকে মণীশকে জেরা করেছিল সিবিআই ৷ এই চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টের বাড়ির পাশাপাশি অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বোলপুর পৌরসভার 19 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও হানা দেন আধিকারিকরা । অনুব্রত মণ্ডল নিজাম প্যালেসে সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন ভিজিটর রুমে সারাক্ষণ থাকতেন এই কাউন্সিলর ।
উল্লেখ্য, গরুপাচার কাণ্ডে চলতি মাসের 11 তারিখ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI arrested Anubrata Mondal) ৷ বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি ৷ এদিন তথ্য সংগ্রহ করতে জোর তল্লাশি চালায় সিবিআই ৷
এমনকী অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (daughter of Anubrata Mondal) নামে বল্লভপুরে 2 বিঘা জমি, দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও তাঁর আত্মীয়দের নামে জমি, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বোলপুর পৌরসভার সাফাইকর্মী বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের নামে একাধিক জমি রেজিস্ট্রেশনের নথি পায় সিবিআই । এছাড়া, এই জমি রেজিস্ট্রেশনে নগদ লেনদেন হয়েছিল, নাকি চেক মারফৎ লেনদেন হয়েছিল, সেই চেক কার নামে ছিল সেই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেন সিবিআই অফিসারেরা । রেজিস্ট্রি অফিসের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন গোয়েন্দারা ৷ পরে বোলপুরে একটি বেসরকারি ব্যাংকে গিয়েও আর্থিক লেনদেনের কিছু নথি পরীক্ষা করে দেখেন তদন্তকারীরা ৷
আরও পড়ুন: এবার গরুপাচার কাণ্ডে আর্থিক তছরূপ নিয়ে সায়গল হোসেনকে জেরা করবে ইডি
পরে গরুপাচার কাণ্ডে আর্থিক তছরূপ নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের তৎকালীন দেহরক্ষী (Anubrata Mondal Bodyguard) সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দারা (ED to interrogate Saigal Hossain) । ইতিমধ্যেই সায়গলের নামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা । মুর্শিদাবাদের ডোমকল এলাকায় একাধিক জায়গায় এই দেহরক্ষীর নামে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে ৷ এছাড়াও একাধিক পেট্রোল পাম্প-সহ পরিবহণ ব্যবসাতেও নেমেছিল সায়গেল বলে জানা গিয়েছে ।