সিউড়ি, 28 অগস্ট: বিজেপির রাজ্য সম্পাদকের সামনে জেলা সভাপতিকে মারতে উদ্যত বিজেপির নেতা-কর্মীরা ৷ সিউড়ি বিজেপি কার্যালয়ের সামনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়ায় ৷ রীতিমতো হাতাহাতি শুরু হয় । বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ দলের পুরনো কর্মীদের নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ৷ ক্ষুব্ধ কর্মীদের থেকে সভাপতিকে সরিয়ে নিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা ৷
বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার বিরুদ্ধে একাধিকবার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন দলেরই নেতা-কর্মীদের একাংশ । এমনকী, তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগও উঠেছিল । এ দিন সিউড়ির 14 নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন বিজেপির জেলা কার্যালয়ে ধ্রুব সাহা ছিলেন ৷ আর ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ।
সেই সময় টোটোয় মাইক বেঁধে, হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা নিয়ে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে জড়ো হন নেতা-কর্মীরা । অভিযোগ, দলের জেলা সভাপতি বিজেপির পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দেন না, যোগ্য সম্মান দেন না ৷ এমনকী, তাঁদের দলে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয় ৷ এছাড়া, জেলা সভাপতির সম্পত্তির পরিমাণ নিয়েও প্রশ্ন তুলে সরব হন বিজেপির নেতা-কর্মীদের একাংশ ৷
আরও পড়ুন: 'এনআইএ তদন্ত করাবোই', দত্তপুকুর বিস্ফোরণে দাবি শুভেন্দুর
এরপরেই রাজ্য সম্পাদকের সামনেই দলীয় কার্যালয়ের বাইরে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক সভাপতি ধ্রুব সাহাকে মারতে উদ্যত হন ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা । রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় । ক্ষুব্ধ কর্মীদের হাত থেকে কোনও রকমে জেলা সভাপতিকে সরিয়ে নিয়ে যান নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা । পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখা যায় দলের রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়কে ৷ এরপর ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রায় 2 ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন রাজ্য সম্পাদক ও জেলা সভাপতি ।
বৈঠক শেষে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, "কর্মীরা দলকে খুব ভালোবাসেন । তাঁদের আবেগ অনেক । তাই তাঁরা এসেছিলেন তাঁদের ক্ষোভ জানাতে । 2 ঘণ্টা তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে । সব মিটে গিয়েছে । 2024-এ তৃতীয়বার মোদি সরকার চায় তারা । সেই লক্ষ্যেই আমরা একসঙ্গে লড়াই করব ।"