ইলামবাজার (বীরভূম), 9 জুন: প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি, এই অজুহাতে বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিডিওর বিরুদ্ধে । দ্রুত নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, তাই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি ৷ ইলামবাজারের বিডিও এমনই দাবি করেছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি ও সিপিএমের ৷ ফলে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেও ফিরে যেতে হয় তাদের ৷ প্রশ্ন উঠেছে, নির্বাচন কমিশনের অন্তর্গত হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে একজন সরকারি আধিকারিক মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দিতে পারেন ?
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে অনুব্রতহীন বীরভূম জেলাকেও স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন ৷ আগামী 8 জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ তার জন্য শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে মনোনয়নের প্রক্রিয়া ৷ সেই মতো বীরভূমের ইলামবাজার ব্লক অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন বিজেপি প্রার্থীরা ৷ অভিযোগ, দ্রুত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি, এই কথা বলে খোদ ইলামবাজারের বিডিও জসিমউদ্দিন মণ্ডল মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দেন ৷ একই ভাবে সিপিএমকেও এদিন মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি ৷
বিজেপি ও সিপিএমের দাবি, পরে ঠিক মনোনয়ন করিয়ে দেওয়া হবে বলেও তাদের জানিয়েছেন বিডিও ৷ ফলে প্রথম দিনেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে ফিরে যান বিজেপি ও সিপিএম নেতারা ৷ প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে একজন সরকারি আধিকারিক প্রস্তুতি নেই, এই অজুহাতে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দিতে পারেন ৷ যেখানে তিনি এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের অন্তর্গত রয়েছেন ।
বিজেপির বোলপুর মহকুমা কিষান মোর্চার সভাপতি নিখিলরঞ্জন বায়েন বলেন, "আজ মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া হবে না বলছেন বিডিও ৷ অন্যদিন করিয়ে দেব মনোনয়ন, এমন বললেন । ইলামবাজার থানার ওসিও ছিলেন । তৃণমূল নেতাদের পরামর্শে আমাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দিচ্ছে না প্রশাসন ৷" সিপিএমের ইলামবাজারের নেতা ওয়াসিফ ইকবাল বলেন, "আজ মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার ইচ্ছে ছিল ৷ কিন্তু, বিডিও বললেন প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি ৷ তাই আজ করতে না ৷ অন্যদিন, সময় দেবেন, সেদিন মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বললেন বিডিও ।"
যদিও, ইলামবাজার ব্লকের বিডিও জসিমউদ্দিন মণ্ডল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "এই অভিযোগ ঠিক নয় ৷ আমরা চাই সবাই মনোনয়ন পত্র জমা দিক ৷ প্রশাসন সমস্ত রকম সহযোগিতা করবে ।"
আরও পড়ুন: ভোটে রাজ্য পুলিশেই ভরসা কমিশনের, ভিন রাজ্যের পুলিশ নিয়েও চলছে চিন্তাভাবনা