সিউড়ি, 13 জুন : কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান । বেসরকারি প্রায় সব স্কুলই লকডাউনের দ্বিতীয় দফার গোড়ার দিকে শুরু করে অনলাইন ক্লাস । কিন্তু বিপাকে পড়েছিল সরকারি স্কুল পড়ুয়ারা । শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল ছাত্রজীবন । বিশেষ করে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়ারা । তবে এবার এই সকল পড়ুয়াদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে অভিনব পথে হাঁটতে চলেছে বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ।
গতকাল সিউড়িতে বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক জেলার বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেন । তাঁদের তিনি অনুরোধ করেন স্কুল বন্ধ থাকা অবস্থায় তাঁরা যেন পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পঠনপাঠনের বিষয়ে খোঁজ নেন । আর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের এই আবেদনে শিক্ষক সংগঠনগুলি সাড়া দিয়ে জানান, তাঁরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন ৷ খোঁজ নেওয়া ছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাঠ্যসামগ্রীর প্রয়োজন পড়লে তা জোগান দেবেন বলে জানা গিয়েছে ।
বিষয়টি বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক জানান, "আমাদের জেলায় ৩ লাখেরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষাস্তরের পড়ুয়া রয়েছে । যাদের মধ্যে বেশিরভাগটাই গ্রামাঞ্চলের । তাই তাদের কাছে কীভাবে পাঠ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া যায় এবং পঠন-পাঠনের তদারকি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয় । আলোচনায় আমাদের তরফ থেকে শিক্ষক সংগঠনগুলিকে অনুরোধ করা হয় বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই সমস্যা সমাধানের জন্য । পাশাপাশি পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সচেতনও করা হয় । আর এই আলোচনা থেকে যে ফলাফল বেরিয়েছে তাতে আগামী ২২ তারিখ থেকে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়ুয়াদের সাথে কথা বলা, তাদের পঠন-পাঠনে নজর রাখা ও তাদের চাহিদামত পাঠ্যসামগ্রী সরবরাহ করার কর্মসূচি শুরু করেছি ।"
প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলা জুড়ে 2402 টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে । আর এই সকল বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা কম করে 3 লাখ । এই বিপুল সংখ্যক পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে আগামী 22 জুন থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা বাড়ি বাড়ি পৌঁছাবেন বলে জানা গিয়েছে ।