সিউড়ি, 31 জুলাই: 'অনুব্রতর বিকল্প কেউ হয় না', এই বলে পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সিউড়ি পৌরসভার পৌরপিতা প্রণব কর ওরফে অঞ্জন । শুধু পৌরপিতার পদই নয়, কাউন্সিলর পদও ছাড়লেন তিনি । প্রসঙ্গত, আগেই পৌরপিতার বিরুদ্ধে সরব হয়ে তাঁকে বদলের দাবি তুলেছিলেন 13 জন কাউন্সিলর । কিন্তু, প্রণব করকে পৌরপিতা পদে বসিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল । তাই তাঁর পদত্যাগে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে ।
তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার ও বেআইনি অর্থ পাচারের মামলায় গ্রেফতার হওয়ার আগে সিউড়ি পৌরসভার নির্বাচন হয়েছিল ৷ জয়লাভ করেছিল তৃণমূল-কংগ্রেস । পৌরসভার পৌরপিতা পদে আসীন হয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর প্রণব কর ওরফে অঞ্জন । উপ-পৌরপিতা পদে বসানো হয়েছিল বিদ্যাসাগর সাউকে । পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পৌরপিতার বদল চেয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলরেরা ৷ 9 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর উজ্বল চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে 13 জন কাউন্সিলর এই মর্মে একটি চিঠি দিয়েছিলেন দলের জেলা কোর কমিটিকে । এমনকী, চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ।
আরও পড়ুন: হাসিমারা ও পুরুলিয়াতে বিমানবন্দর গড়তে চায় রাজ্য, ডবল ইঞ্জিন বিমানের পক্ষে সওয়াল মুখ্যমন্ত্রী
বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় ও সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীকে । সেইমতো সব কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠকও হয় । তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সিউড়ি পৌরসভার বিষয়টি পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর দেখা হবে ৷ কিন্তু, এ দিন পৌরপিতার পদ থেকে নিজেই ইস্তফা দিয়ে দিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর প্রণব কর । পৌরপিতার পাশাপাশি কাউন্সিলর পদ থেকেও ইস্তফা দেন তিনি । যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে ।
ইস্তফা দিয়ে প্রণব কর বলেন, "আমাকে অনুব্রত মণ্ডল এই পদে বসিয়েছিলেন ৷ অনুব্রত মণ্ডলের বিকল্প কেউ হতে পারবে না ৷ অনুব্রত মণ্ডল, অনুব্রত মণ্ডলই । অনেকগুলো কারণে আমি ইস্তফা দিয়েছি । দল থেকে ইস্তফা দেব কি না সেটা পরে ভাবব । আমার শারীরিক সমস্যা, পৌরসভার উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমস্যা । এ সবের জন্যই ইস্তফা দিলাম ।" পদত্যাগের পর প্রণব করের বক্তব্য যে ইঙ্গিতপূর্ণ তা বলাই যায় । দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও পৌরসভার দুর্নীতির জন্যই যে তিনি সরে দাঁড়ালেন, সেটাও কার্যত স্পষ্ট হল ৷ তবে এই নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করতে চায়নি ।