বোলপুর, 4 জানুয়ারি: সেচ খাল সংস্কারের নামে রাস্তার ধারে থাকা গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ ৷ বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই প্রায় 32 কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কাটা হয়েছে ৷ সেচ খালের দু'দিকে এই গাছগুলি ছিল ৷ কিন্তু সরকারের কোন বিভাগ এই বিপুল পরিমাণ গাছ কাটল, কোন খাতে গেল সেই টাকা ? তার কোন সদুত্তর নেই এখনও ৷
বিষয়টি জানার পর বন বিভাগের বোলপুর রেঞ্জের রেঞ্জার প্রদীপ হালদার বলেন, "গাছ কেটে নেওয়ার কোনও তথ্য আমরা পাইনি ৷ এখন শুনলাম গাছের গুঁড়ি পড়ে আছে শুধু । আমাদের কাছে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি ।"
বোলপুর থেকে কীর্ণাহার যাওয়ার রাস্তার ধারে প্রায় 32 কিলোমিটারজুড়ে একটি সেচ খাল রয়েছে । কমপক্ষে 6টি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে সেচ খালটি ৷ এই খাল থেকে কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ বিপ্রটিকুরি, কীর্ণাহার 1 ও 2 গ্রাম পঞ্চায়েত, দাসকলগ্রাম 1 ও 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ চাষের জল পেয়ে উপকৃত হন ৷ এই খাল সংস্কার শুরু হয়েছে ।
আর দেখা যাচ্ছে, সেচ খাল সংস্কার করতে গিয়ে দু'দিকে থাকা হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে । প্রায় 1 মাস ধরে চলছে অপ্রয়োজনীয়ভাবে এই বৃক্ষ নিধন যজ্ঞ ৷ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পথ চলতি মানুষজন জানাচ্ছেন, সেচ খালের দু'দিকেই প্রচুর গাছ ছিল ৷ ছোট-বড় গাছের জঙ্গল ছিল ৷ সব কেটে সাফ করে দেওয়া হয়েছে । আর এই বিপুল পরিমাণে গাছ কেটে নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ সকলের ৷ তাঁদের কথায়, "আমাদের কিছু করার নেই ৷ চোখের সামনে প্রচুর কাছ কেটে নেওয়া হল ৷ এত গাছ কাটার দরকার ছিল না ।"
এই বিষয়ে বোলপুর সেচ বিভাগের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার শিবনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,"46 কোটি টাকার প্রকল্প ৷ 2 বছরের মধ্যে জলের অপচয় রুখতে দুই পাড় বাঁধানো হচ্ছে ৷ এই কাজের জন্য গুল্ম জাতীয় গাছ কাটাতে হত ৷ বড় গাছ কে বা কারা কেটেছে আমাদের জানা নেই ৷ বড় গাছ কাটতে হলে তো আমরা অনুমতি নিতামই ।"
আরও পড়ুন :
1. বৃক্ষ নিধন রুখতে গাছেদের বিয়ে ! বটের সঙ্গে অশ্বত্থের বিয়ে দিলেন বলাই
2. ময়দানে মেট্রোর কাজ চালিয়ে যেতে নতুন করে গাছ কাটা যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের
3. গাছ ও নিজেকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ সমাজসেবীর! ক্ষোভ উগড়ে দিলেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে