রামপুরহাট, 6 ফেব্রুয়ারি: মাড়গ্রামে বোম মেরে দুই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীকে খুন করার অভিযোগে ধৃত ছয় জনকে শুক্রবার তোলা হয়েছিল আদালতে । রামপুরহাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারক ধৃতদের মধ্যে সুজাউদ্দিন আহমেদ, বাপি শেখ, লাকি শেখ ও গব্বর শেখকে 4 দিনের পুলিশ হেফাজত নির্দেশ দিয়েছেন । বাকি দু'জন আকবর শেখ ও ছোটো মালকে 14 দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
গত 4 ফেব্রুয়ারি রাতে বীরভূমের মাড়গ্রামে দুই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী নিউটন শেখ ও লাল্টু শেখকে বোমা মেরে খুন করার অভিযোগ ওঠে । এই ঘটনায় ওই এলাকার 15 জনের নাম উল্লেখ করে মাড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় । সেই ঘটনায় মাড়গ্রামের কংগ্রেস নেতা সুজাউদ্দিন ও তার দুই ছেলে-সহ মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, বিস্ফোরক, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে মাড়গ্রাম থানার পুলিশ । সেই মামলায় আজ ধৃতদের তোলা হয়েছিল রামপুরহাট মহকুমা আদালতে।
এ দিকে আজই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে মাড়গ্রামে নিয়ে আসা হয় বোমার আঘাতে মৃত তৃণমূল কংগ্রেসের মাড়গ্রাম 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ভুট্টো শেখের ভাই লাল্টু শেখের দেহ । সোমবার মাড়গ্রামের কবরস্থানে তাঁর দেহ কবরস্থ করা হয় । বোমাকাণ্ডে এখনও যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে মাড়গ্রাম জুড়ে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় কড়া পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে । অন্যদিকে এই বিস্ফোরণ কাণ্ডের মুল অভিযুক্ত মাড়গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সুজাউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী সোনালী বেগমের দাবি, তাঁর স্বামী এখনও তৃণমূল করে । তিনি মাড়গ্রাম 1 নম্বর পঞ্চায়েতের মেম্বার । তিনি বলেন, "ঘটনার সময় আমার স্বামী বাড়িতেই ছিলেন । ভুট্টু শেখ, মৃত নিউটন শেখ, লাল্টু শেখ এরা সবাই আমার স্বামীর ছেলের মতো। রাজনৈতিক কারণে আমার স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে । "
উল্লেখ্য, গত 4 ফেব্রুয়ারি বীরভূমের মাড়গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের মৃত্যু হয় দু'জনের ৷ এই বিস্ফোরণের ঘটনায় শনিবার রাতেই মৃত্যু হয়েছিল নিউটন শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর । রবিবার দুপুরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে প্রাণ হারান লাল্টু শেখ ৷ 1 নম্বর মাড়গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান ভুট্টো শেখের ভাই এই লাল্টু শেখ ৷
আরও পড়ুন: এসএসকেএমে মৃত্যু পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইয়ের, মাড়গ্রাম বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত বেড়ে 2