ETV Bharat / state

মেজিয়ার পাল বাড়িতে পুজোর সময় মা'কে বাঁধা হত শিকল দিয়ে - বাঁকুড়ার দুর্গাপুজো

262 বছর আগে বাঁকুড়ার মেজিয়ার পালবাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা । এখনও সেই পুজো হচ্ছে । তবে এই বছর হয়ত সেই ছবি এক নয় ।

bankura
bankura
author img

By

Published : Sep 25, 2020, 9:04 PM IST

Updated : Sep 26, 2020, 12:54 PM IST

বাঁকুড়া, 25 সেপ্টেম্বর : প্রায় 262 বছর আগে বাঁকুড়ার মেজিয়ার পালবাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা । 1758 সালে এই পুজো শুরু করেন তৎকালীন জমিদার গোবিন্দ পাল । আসলে এই পাল পরিবারের আদি বাস ছিল হুগলির আদিসপ্তগ্রামে । মগ এবং আরাকানদের অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতে তাঁদের পূর্বপুরুষরা মেজিয়ায় চলে আসেন । এখানেই নিজেদের জমিদারি গড়ে তোলেন তাঁরা ।

পালদের না কি সে সময় গালার ব্যবসা ছিল । পরবর্তীকালে গোবিন্দ পাল শুরু করেন দুর্গাপুজো । বানানো হয় মন্দির । একইসঙ্গে বানানো হয়েছিল নহবৎখানা । পুজোর কদিন সেখানে বাজত সানাই । মন্দিরের উপর তালায় ও নিচে বেশ কয়েকটি ঘর বানানো হয়েছিল । পুজোর সময় সেগুলি ব্যবহার করা হত ।

চুন সুড়কির তৈরি ওই প্রাসাদ আজ প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে । রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই । তবে এখনও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সেই নহবৎখানা ।

bankura
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে প্রাসাদ

গোবিন্দ পাল মারা যান । তাঁর দুই ছেলে রাজু পাল, কুঞ্জবিহারী পাল । রাজু পাল ছিলেন অপুত্রক । পরবর্তীকালে কুঞ্জবিহারী পাল এবং তাঁর বংশধর বংশানুক্রমিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন এই পুজো । এখানে সেই অর্থে কোনওদিনই পশুবলি হয়নি । মাসকলাই উৎসর্গ করা হয় ।

পুজোর সময় মা'কে বাঁধা হত শিকল দিয়ে

পুরানো রীতি অনুযায়ী পুজোর সময় মা দুর্গাকে শিকলে বেঁধে রেখে পুজো করা হয় । এখন তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । প্রতিমার পিছনের দেওয়ালে থাকা একটি লোহার আংটা রয়েছে । শুধু নিয়মরক্ষায় তার সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় কাঠামোর একটা অংশ । দেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছেন সমস্ত আত্মীয়-স্বজন । এই পুজোর ক'টা দিন মেজিয়ায় পাল বাড়িতে আসেন । তবে এ'বছর পরিস্থিতিটা একদম আলাদা । বাইরে থেকে হয়ত কেউ আসতে পারবেন না এ'বছর । ফলে পুজোর জাঁকজমক এই বছর অনেকটাই ফিকে ।

বাঁকুড়া, 25 সেপ্টেম্বর : প্রায় 262 বছর আগে বাঁকুড়ার মেজিয়ার পালবাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা । 1758 সালে এই পুজো শুরু করেন তৎকালীন জমিদার গোবিন্দ পাল । আসলে এই পাল পরিবারের আদি বাস ছিল হুগলির আদিসপ্তগ্রামে । মগ এবং আরাকানদের অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতে তাঁদের পূর্বপুরুষরা মেজিয়ায় চলে আসেন । এখানেই নিজেদের জমিদারি গড়ে তোলেন তাঁরা ।

পালদের না কি সে সময় গালার ব্যবসা ছিল । পরবর্তীকালে গোবিন্দ পাল শুরু করেন দুর্গাপুজো । বানানো হয় মন্দির । একইসঙ্গে বানানো হয়েছিল নহবৎখানা । পুজোর কদিন সেখানে বাজত সানাই । মন্দিরের উপর তালায় ও নিচে বেশ কয়েকটি ঘর বানানো হয়েছিল । পুজোর সময় সেগুলি ব্যবহার করা হত ।

চুন সুড়কির তৈরি ওই প্রাসাদ আজ প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে । রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই । তবে এখনও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সেই নহবৎখানা ।

bankura
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে প্রাসাদ

গোবিন্দ পাল মারা যান । তাঁর দুই ছেলে রাজু পাল, কুঞ্জবিহারী পাল । রাজু পাল ছিলেন অপুত্রক । পরবর্তীকালে কুঞ্জবিহারী পাল এবং তাঁর বংশধর বংশানুক্রমিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন এই পুজো । এখানে সেই অর্থে কোনওদিনই পশুবলি হয়নি । মাসকলাই উৎসর্গ করা হয় ।

পুজোর সময় মা'কে বাঁধা হত শিকল দিয়ে

পুরানো রীতি অনুযায়ী পুজোর সময় মা দুর্গাকে শিকলে বেঁধে রেখে পুজো করা হয় । এখন তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । প্রতিমার পিছনের দেওয়ালে থাকা একটি লোহার আংটা রয়েছে । শুধু নিয়মরক্ষায় তার সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় কাঠামোর একটা অংশ । দেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছেন সমস্ত আত্মীয়-স্বজন । এই পুজোর ক'টা দিন মেজিয়ায় পাল বাড়িতে আসেন । তবে এ'বছর পরিস্থিতিটা একদম আলাদা । বাইরে থেকে হয়ত কেউ আসতে পারবেন না এ'বছর । ফলে পুজোর জাঁকজমক এই বছর অনেকটাই ফিকে ।

Last Updated : Sep 26, 2020, 12:54 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.