বাঁকুড়া, 4 নম্ভম্বর: 2011 সাল থেকে পূর্ব নবাসন পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রয়েছেন অতীন্দ্রনাথ চৌধুরী, এমনটাই দাবি তাঁর । হঠাৎ করে সোনামুখীর ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় নিজের ইচ্ছেমতো পূর্ব নবাসন অঞ্চলের নতুন সভাপতি করেছেন সুশান্ত বারিককে। আর তাই নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে তৈরি হয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Inner Clash in Sonamukhi)। এদিন অতীন্দ্রনাথ চৌধুরী ও পূর্ব নবাসন পঞ্চায়েত প্রধান সুনীল রুইদাস-সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে দলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অতীন্দ্রনাথ চৌধুরী বলেন, "আমি 2011 সাল থেকে পূর্ব নবাসন অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি রয়েছি। কিন্তু সোনামুখী ব্লক তৃণমূল সভাপতি তিনি নিজের ইচ্ছামতো সুশান্ত বারিককে অঞ্চল সভাপতি করেছেন। যার কারণে পঞ্চায়েতে দু'টি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে এই গোষ্ঠী কোন্দল মেটানো হোক, না হলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব নবাসনে দলের হার নিশ্চিত।"
অন্যদিকে সুশান্ত বারিক বলেন, "অতীন্দ্রনাথ চৌধুরী কী বলছেন আমি জানি না। তাঁকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি। ওঁর বয়স হয়েছে, তাই শুধুমাত্র ব্লক নেতৃত্ব নয় জেলা নেতৃত্বের সম্মতিক্রমে আমাকে অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে।" পূর্ব নবাসন পঞ্চায়েত প্রধান সুনীল রুইদাস তিনি জানান, অঞ্চল সভাপতি নিয়ে দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। আমরা বুঝতেই পারছি না বর্তমানে কে অঞ্চল সভাপতি রয়েছেন। যদিও সোনামুখী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, পূর্ব নবাসন পঞ্চায়েতের 21টি সংসদের সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধানের সর্বসম্মতিক্রমে অতীন্দ্রনাথ চৌধুরীর 80-র ঊর্ধ্বে বয়স হয়েছে, সেই কথাকে মাথায় রেখে তাঁকে চেয়ারম্যান এবং সুশান্ত বারিককে অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে এখানে গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও ঘটনা নেই।
আরও পড়ুন: কলেজ খুলতেই শাসকদলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কেশপুরে, আক্রান্ত 6
তৃণমূল কংগ্রেসের এই 'গোষ্ঠীকোন্দল' নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি (BJP)। সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) দিবাকর ঘরামী জানান, শুধু পূর্ব নবাসন অঞ্চলে নয় রাজ্যজুড়েই তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। তবে আগের যে অঞ্চল সভাপতি ছিলেন তিনি হয়ত ঠিকঠাক তোলা না দিয়ে নিজে নিয়ে নিয়েছেন। তাই হয়তো অন্য কাউকে অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে। মানুষের পাশে থাকা তাঁদের কাজ নয়। কী করে কোথা থেকে রোজগার হবে তার জন্য যারা ব্লক সভাপতি হয়েছে তাঁরা টাকার বিনিময়ে এই পদ বিক্রি করছেন।
তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি পদ নিয়ে বাঁকুড়ায় শাসকদলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব' 
