বাঁকুড়া, 5 সেপ্টেম্বর: দিনেদুপুরে বাঁকুড়ায় গুলি। মঙ্গলবার দুপুরে বাঁকুড়া শহরের কেশিয়াকোল এলাকায় চলল এলোপাথাড়ি গুলি। গাড়িতে থাকা ড্রাইভার-সহ পাঁচ ব্যক্তি বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুরের দিকে রওনা দিয়েছিলেন। এই গাড়িটিকে ধাওয়া করে একটি মোটরসাইকেল ৷ তাতে দু'জন বাইক আরোহী ছিল। আচমকাই নীল ওই মারুতি সুজুকি অল্টো গাড়িটিকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বাইকে থাকা দুইজন আরোহী। প্রায় 6 রাউন্ড গুলি চলে বলে জানান গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা।
গাড়িতে থাকা ড্রাইভার-সহ তিন ব্যক্তির পেটে ও বুকে গুলি লাগে বলে সূত্রের খবর। আহতদের বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি 2 নম্বর ব্লকে। আহত সকল ব্যক্তিকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পুরো ঘটনাটি বিশদে খতিয়ে দেখছে বাঁকুড়া সড়ক থানার পুলিশ। ওই চারচাকা গাড়িতে ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন (আইএনটিটিইউসির) সাধারণ সম্পাদক নূর মহম্মদ শাহ। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি জানান, আমার এক বন্ধু রাজু ওরফে রবিউল তাঁকে নিয়ে দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন ৷ সেই সময় পিছন থেকে বাইক নিয়ে দু'জন ধাওয়া করে।
তিনি আরও বলেন, "তারা হঠাৎ এলোপাথাড়ি গুলি চালালে আমার গায়ে গুলি লাগে। আমি অচৈতন্য হয়ে পড়ি। এরপর কী হয়েছে আমি জানি না ৷ কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে আমাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল সেটা আমার জানা নেই ৷" এই মুহূর্তে আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ ওই বাইকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। বাইকের নম্বর প্লেটে কালি দেওয়া ছিল বলেও সূত্র মারফত জানতে পেরেছে পুলিশ। এখন দেখার পুলিশি তদন্তে কী সত্য উঠে আসে।
গাড়িতে থাকা শেখ রবিউল জানান, বাঁকুড়া সংশোধনাগারে থাকা এক আসামীর (কাটোয়া) সাত বছর পরে আজ মুক্তি হয় ৷ তাকে আমরা নিতে এসেছিলাম। সেই শত্রুতা বসত এই গুলি ওই দুই বাইক আরোহী চালিয়েছে কি না তা আমি জানি না। আমি সিটের নীচে ঢুকে গিয়েছিলাম। চারজনের গুলি লেগেছে। আমার কিছু হয়নি ৷ ঘটনায় পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুরনো কোনও শত্রুতা জেরেই এই গুলি কাণ্ড তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ যুবক, দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব পরিবার