রানিবাঁধ, 10 জুন : বুধবার রাতে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানা এলাকায় বজ্রাঘাতে মৃত দুটি পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সরকারি এবং দলীয় তরফে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হয় । বৃহস্পতিবার আরও তিনটি বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে দু'লাখ টাকা এবং তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে আরও দু'লাখ টাকা মিলিয়ে মোট চার লাখ টাকা তুলে দেওয়া হল ৷
বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার সার্কিট হাউস থেকে বের হয়ে প্রথমে বাঁকুড়া ইন্দপুর থানা এলাকার গৌরবাজার গ্রামে বজ্রাঘাতে মৃত মনোরঞ্জন মালের বাড়িতে যান জলসম্পদ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার । পরে ওই একই গ্রামের মৃত দয়াময় ডাঙরের বাড়িতে যায় দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার রানিবাঁধের বিধায়ক ও খাদ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি, তালডাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী, রাইপুরের বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, মহকুমা শাসক খাতড়া, বিডিও ইন্দপুর সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা । সেখানেই মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় আর্থিক সাহায্য ।
আগামী দিনে কীভাবে অন্যান্য ভাতা ও সরকারি প্রকল্প বজ্রাঘাতে মৃত মানুষগুলির পরিবারের সদস্যদের জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে প্রশাসনের তরফে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয় । ওই গৌরবাজার গ্রামেরই বজ্রাঘাতে আহত এক ব্যক্তি বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজই বাড়িতে ফিরেছেন ৷ তাঁর সঙ্গেও দেখা করেন এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা । এরপর তারা যান বড়জোড়ায় রাজমাধবপুরে বজ্রাঘাতে নিহত মাগারাম গরাইয়ের বাড়িতে ।
আরও পড়ুন : গতকাল গুলির শব্দে আচমকা ঘুম উড়ে যায়, তারপর...
মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামতো একদিনের মধ্যে আর্থিক সাহায্য নিয়ে আমরা এসেছি ৷ বাংলা এবং বাঙালিকে যাঁরা অবহেলা করেছিলেন, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিকভাবে গলাটিপে তার শ্বাস বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন যাঁরা, তাঁদের আজ দেখা যাচ্ছে না ৷"
এই পরিবারগুলির পাশে কীভাবে থাকবে সরকার সে প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, সর্বতোভাবে পরিবারগুলির পাশে থাকার চেষ্টা করা হচ্ছে সরকার এবং দলীয় তরফে । প্রকৃতিকে আটকানোর তো কোনও ব্যবস্থা নেই । তবে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে । শুক্রবার এবং আগামী 26 তারিখ ভারি বৃষ্টিপাত ও ভরা কোটালের জেরে রাজ্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে । তবে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন কোনওরকমভাবে অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না । নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে বলে জানান মানস ।