বাঁকুড়া, 5 অক্টোবর: সাপের ছোবলের মৃত্যু নাবালকের । ঠাকুমার পাশে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল খুদেটি ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর থানার পানুয়া গ্রামে । বালকের নাম অঙ্কিত দে ৷ পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল সে ৷
জানা গিয়েছে, রোজকারের মতন গতকাল রাতেও অঙ্কিত তার ঠাকুমার পাশে ঘুমোচ্ছিল । বিগত তিন চার দিন ধরে জেলা জুড়ে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে ৷ যার জেরে বেড়েছে সাপের উপদ্রব ৷ আবহাওয়া ঠান্ডা থাকায় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে বালক এবং তার ঠাকুমা । এ সময় তাকে সাপে ছোবল দেয় ৷ আচমকাই ঘুম থেকে উঠে সে তার ঠাকুমাকে বলে, তার পেটে ব্যথা করছে ৷ শরীরের ভেতর কেমন যেন শুকিয়ে যাচ্ছে । এরপরে তৎক্ষণাৎই ওই ঘরের ভেতরেই একটি সাপকে দেখতে পায় তারা উভয়েই । সাপে কেটেছে এই আশঙ্কা করেই তড়িঘড়ি তাকে কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানেই এক ঘণ্টা ধরে চলে তার চিকিৎসা ৷ তবে শেষ রক্ষা হয় না ৷ অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে অঙ্কিত দে নামে ওই 11 বছরের বালক । চিকিৎসেকরা নিশ্চিত করেছেন যে সাপের কামড়েই মৃত্যু হয়েছে তার ।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা চলাকালীন ক্লাসরুমে সাপের ছোবল, হাসপাতালে ছাত্রী
মৃত বালকের কাকা মনসা পাল বলেন, "ঘুমন্ত অবস্থাতে তাকে সাপে ছোবল মারে ৷ প্রথমে না বুঝতে পারলেও পরে সে বিষয়টি টের পায় ৷ ঘুমন্ত অবস্থায় এই বিপত্তি ঘটায় আমাদের বাড়ির ছেলেকে আর বাঁচানো গেল না ৷ নইলে হয়ত তাকে বাঁচানো যেত ।" বিষধর কালাচ সাপের কামড়ে অকালে এই বালকের চলে যাওয়া যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না পানুয়া গ্রামবাসীরা । তাদের গ্রামের ছেলের অকালে চলে যাওয়াতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে সকলেই । আর যেন কাউকে কাউকে এভাবে অকালে চলে যেতে না হয় সেটাই তারা প্রার্থনা করছে এখন ভগবানের কাছে ।