ETV Bharat / state

Bankura Municipality Vice-Chairman: গাছতলায় কার্যালয়, অভিযোগ শুনতে দুয়ারে হাজির উপ-পৌরপ্রধান; বাঁকুড়ার ‘হিরো’ হিরণই

Councillor at Door on Bicycle: গাছতলায় চালান কার্যালয় ৷ রোজ সাইকেল নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে খবর নেন নিজের ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের । ইনি তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়া পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধান ৷

Councillor of Bankura Municipality
কাউন্সিলর হীরালাল চট্টরাজ
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 13, 2023, 1:26 PM IST

অভাব-অভিযোগ শুনতে সাইকেলে দুয়ারে হাজির উপ-পৌরপ্রধান

বাঁকুড়া, 13 সেপ্টেম্বর: পাঁচতলা ভবনে ঝাঁ চকচকে বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি ৷ তৃণমূলের প্রতিনিধি মানে তো এমনই হবে ৷ আসলে এসবই দেখতেই অভ্যস্ত আমজনতা । তবে উলটপূরাণ বাঁকুড়ায় ৷ কাউন্সিলরের বাহন সাইকেল ৷ আমজনতার অভাব-অভিযোগ শুনতে এই সাইকেলে করেই দুয়ারে হাজির যাচ্ছেন হীরালাল চট্টরাজ ওরফে হিরণ ৷ তিনি আবার বাঁকুড়া পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধানও ৷ তবে তাতে খুব একটা কিছু যায় আসে না হীরালালের ৷ তাই তো কার্যালয় বলতে মুক্ত বাতাসে খোলা আকাশের নীচে গাছতলাই ভরসা তাঁর ৷

জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া পৌরসভার 24 নম্বর ওয়ার্ডের দু-দুবারের কাউন্সিলর হীরালাল ৷ সকাল 6টা বাজলেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি ৷ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে শোনেন তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা ৷ যথাসাধ্য চেষ্টাও করেন সেই সমস্যাগুলির সমাধান করার । বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে শাসকদলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে আর্থিক থেকে চাকরি কেলেঙ্কারির অভিযোগ ৷ একবার জনগণের ভোটে জিতে চেয়ারে বসলেই যেখানে জনপ্রতিনিধির টিঁকি পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায় না ৷ সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এমন ছবি অন্যকরম ৷ তবে একদিন দু'দিন নয়, রোজনামচা জীবন এটি হীরালালের ৷ প্রত্যেকদিন নিয়মমাফিক ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি যান তিনি ।

Bankura Municipality Vice-Chairman
সাইকেলে এলাকা পরিদর্শন কাউন্সিলরের

জয়দেব মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "এমন পৌরপ্রতিনিধি দেখা যায় না ৷ সব সময়ের জন্য হাতের নাগালেই তিনি থাকেন ৷ কেমন কী কাজ হচ্ছে না হচ্ছে সব বিষয় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে খতিয়ে দেখেন ।" বটগাছের তলায় গেলেই দেখা মিলবে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে উপ-পৌরপ্রধানের কার্যালয় । বাড়ি বাড়ি সফর শেষে এই বটতলাতেই চলে তাঁর অফিস ৷ চলে মানুষের আনাগোনাও ।

কাউন্সিলর হীরালাল বলেন, "পেট্রল-ডিজেলের দাম দিনের পর দিন বাড়ছে ৷ সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর প্রথম উদ্দেশ্য এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো ৷ দ্বিতীয়ত সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ালে মানুষের কাছে গিয়ে মুখোমুখি কথা বলা যায় ৷ আজ 10 বছর ধরে আমার কোনও অফিস নেই ৷ আমি বটতলাতেই বসে থাকি ৷ আমার সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলি ৷ আমি একা কেন পশ্চিমবাংলার সব পৌরপ্রধান ও উপ-পৌর প্রধানের এমনটাই করা দরকার ৷ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার এটাই সেরা পথ ।"

আরও পড়ুন: দুয়ারে কাউন্সিলর ! অভাব-অভিযোগ শুনতে সাইকেলে চেপে পৌঁছে যাচ্ছেন মালদার রিমি

এলাকাবাসীদের কথায়, বাঁকুড়ার উপ-পৌরপ্রধানের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের । হীরালাল উদাহরণ হয়ে দাঁড়াক অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের কাছে ।

অভাব-অভিযোগ শুনতে সাইকেলে দুয়ারে হাজির উপ-পৌরপ্রধান

বাঁকুড়া, 13 সেপ্টেম্বর: পাঁচতলা ভবনে ঝাঁ চকচকে বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি ৷ তৃণমূলের প্রতিনিধি মানে তো এমনই হবে ৷ আসলে এসবই দেখতেই অভ্যস্ত আমজনতা । তবে উলটপূরাণ বাঁকুড়ায় ৷ কাউন্সিলরের বাহন সাইকেল ৷ আমজনতার অভাব-অভিযোগ শুনতে এই সাইকেলে করেই দুয়ারে হাজির যাচ্ছেন হীরালাল চট্টরাজ ওরফে হিরণ ৷ তিনি আবার বাঁকুড়া পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধানও ৷ তবে তাতে খুব একটা কিছু যায় আসে না হীরালালের ৷ তাই তো কার্যালয় বলতে মুক্ত বাতাসে খোলা আকাশের নীচে গাছতলাই ভরসা তাঁর ৷

জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া পৌরসভার 24 নম্বর ওয়ার্ডের দু-দুবারের কাউন্সিলর হীরালাল ৷ সকাল 6টা বাজলেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি ৷ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে শোনেন তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা ৷ যথাসাধ্য চেষ্টাও করেন সেই সমস্যাগুলির সমাধান করার । বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে শাসকদলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে আর্থিক থেকে চাকরি কেলেঙ্কারির অভিযোগ ৷ একবার জনগণের ভোটে জিতে চেয়ারে বসলেই যেখানে জনপ্রতিনিধির টিঁকি পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায় না ৷ সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এমন ছবি অন্যকরম ৷ তবে একদিন দু'দিন নয়, রোজনামচা জীবন এটি হীরালালের ৷ প্রত্যেকদিন নিয়মমাফিক ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি যান তিনি ।

Bankura Municipality Vice-Chairman
সাইকেলে এলাকা পরিদর্শন কাউন্সিলরের

জয়দেব মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "এমন পৌরপ্রতিনিধি দেখা যায় না ৷ সব সময়ের জন্য হাতের নাগালেই তিনি থাকেন ৷ কেমন কী কাজ হচ্ছে না হচ্ছে সব বিষয় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে খতিয়ে দেখেন ।" বটগাছের তলায় গেলেই দেখা মিলবে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে উপ-পৌরপ্রধানের কার্যালয় । বাড়ি বাড়ি সফর শেষে এই বটতলাতেই চলে তাঁর অফিস ৷ চলে মানুষের আনাগোনাও ।

কাউন্সিলর হীরালাল বলেন, "পেট্রল-ডিজেলের দাম দিনের পর দিন বাড়ছে ৷ সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর প্রথম উদ্দেশ্য এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো ৷ দ্বিতীয়ত সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ালে মানুষের কাছে গিয়ে মুখোমুখি কথা বলা যায় ৷ আজ 10 বছর ধরে আমার কোনও অফিস নেই ৷ আমি বটতলাতেই বসে থাকি ৷ আমার সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলি ৷ আমি একা কেন পশ্চিমবাংলার সব পৌরপ্রধান ও উপ-পৌর প্রধানের এমনটাই করা দরকার ৷ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার এটাই সেরা পথ ।"

আরও পড়ুন: দুয়ারে কাউন্সিলর ! অভাব-অভিযোগ শুনতে সাইকেলে চেপে পৌঁছে যাচ্ছেন মালদার রিমি

এলাকাবাসীদের কথায়, বাঁকুড়ার উপ-পৌরপ্রধানের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের । হীরালাল উদাহরণ হয়ে দাঁড়াক অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের কাছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.