বাঁকুড়া, 10 এপ্রিল : কোরোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়ার দু'টি হাসপাতালকে কোরোনা হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে । একটি ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও আর একটি কোতুলপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ৷ আর জেলায় কোরোনা চিকিৎসার বিষয়টি তদারকি করবে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তর।
ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে 180টি শয্যা রয়েছে এবং 10 শয্যাবিশিষ্ট একটি CCU রয়েছে । এছাড়াও এই হাসপাতলে তিনটি ভেন্টিলেশন আছে । কোতুলপুরের বেসরকারি হাসপাতালে কোরোনা আক্রান্তদের জন্য প্রাথমিকভাবে 54টি শয্যার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে । এখানেও CCU ইউনিট রয়েছে এবং চারটি ভেন্টিলেটর রাখা হয়েছে । ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে PPE কিট মজুত করা হয়েছে প্রায় 1000টি । এই কিট-এর মধ্যে রয়েছে বিশেষ জামা প্যান্ট, চশমা, মাথার হুড এবং বিশেষ ধরনের জুতো । প্রায় সমপরিমাণ N-95 মাস্কও মজুত করা হয়েছে এখানে ।
বাঁকুড়া জেলায় কোরোনা চিকিৎসার পুরো বিষয়টি দেখাশোনা করবে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তর । মেডিকেল কলেজে একটি বিশেষজ্ঞদের টিম তৈরি করা হয়েছে যারা প্রয়োজনে এই সব হাসপাতালগুলিতে গিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ দেবেন এবং সাহায্য করবেন । এছাড়াও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে 7 জন মেডিকেল অফিসারকে এই ধরনের চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে । চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকেই অর্থাৎ সোম ও মঙ্গলবার এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৷ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ICU এবং CCU - এর খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ।
কোরোনা চিকিৎসায় মেডিসিন, চেস্ট, কমিউনিটি মেডিসিন এবং মাইক্রোবায়োলজির বিশেষ দক্ষ চিকিৎসকদের প্রয়োজন হয় । বর্তমানে এরকম একটি টিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে 24 ঘন্টার জন্য তৈরি থাকছে । এই টিমে থাকা সমস্ত চিকিৎসকদের সাত দিন করে ডিউটি চলবে এবং তারপর তাদের কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে । এছাড়াও যেকোনও আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্যও পদক্ষেপ করা হয়েছে । তবে, আক্রান্তের সংখ্যা যদি বেড়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে এই পরিষেবা আরও কয়েক গুণ বাড়ানোর প্রয়োজন হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা ।