বাঁকুড়া, 19 ডিসেম্বর: কথায় আছে 'মরা হাতি লাখ টাকা' ৷ আজ সেই প্রবাদই ফের প্রমাণিত হল । একটি পূর্ণবয়স্ক বন্য হাতির মৃত্যুর পর তার শরীরের সবচাইতে মূল্যবান অংশ হল দাঁত ৷ যার মূল্য লক্ষ লক্ষ টাকা । হাতির দাঁতকে নিয়ে চোরাচালান কারবারিদের দাপাদাপির কথা প্রায় শোনা যায় । লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও হাতির দাঁত চালান করে একশ্রেণির অসাধু কারবারি । সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্য অভিনব উদ্যোগ নিল বাঁকুড়া জেলা বন বিভাগকে । সম্ভবত এই প্রথম ভারতবর্ষে চোরাচালানকারীদের হাত থেকে বন্য হাতির দাঁতকে রক্ষা করার জন্য পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ।
ভারতবর্ষের বন্য জীবজন্তু আইন কিছুদিন আগেই সংশোধিত হয়েছে ৷ যেখানে যুক্ত হয় এই অংশটি ৷ তাতে বলা হয়েছে বনদফতর নিজের উদ্যোগে হাতির দাঁতকে পুড়িয়ে ধ্বংস করতে পারে । সেই মোতাবেকই এই কাজ করা হল বাঁকুড়া জেলায় । বৈদ্যুতিক তারে সংযোগ এবং স্বাভাবিক কারণেও অনেক বন্য হাতির মৃত্যু হয় । দীর্ঘ 10 বছর ধরে বাঁকুড়া জেলা বন বিভাগের উদ্যোগে সেই মৃত হাতিগুলির দাঁত সংগ্রহ করে রাখা হয়েঠিল । মঙ্গলবার বনবিভাগের উদ্যোগে প্রায় 57টি বন্য হাতির দাঁত পুড়িয়ে ছাঁই করে দেওয়া হয় । হাতির দাঁত অনৈতিক কোনও কাজে যাতে ব্যবহার না হয় তার জন্যেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে বন বিভাগ ।
এই বিষয়ে বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের বনপাল উমর ইমাম বলেন, "হাতির দাঁত খুব মূল্যবান জিনিস ৷ মৃত হাতির দাঁত আমরা সংরক্ষণ করে রাখি ৷ যাতে তা কেউ পাচার না করতে পারে ৷ 10 বছর ধরে প্রায় 50টিরও বেশি হাতির দাঁত আমাদের এখানে রাখা ছিল ৷ যাতে পরবর্তীকালে এই হাতির দাঁত কেউ কোনও কাজে ব্যবহার করতে না পারে তাই হাতির মৃত্যুর পর এগুলি পুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ পশ্চিমবাংলাতে তো প্রথম বটেই, নতুন আইন আসার পর সম্ভবত ভারতবর্ষের বুকেও প্রথম হাতির দাঁত পুড়িয়ে দেওয়ার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।"
আরও পড়ুন :
1 রাজধানী এক্সপ্রেসে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার 11 কোটির হাতির দাঁত, গ্রেফতার 2
2 চম্পাসারিতে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার 2টি হাতির দাঁত, গ্রেফতার 3