বাঁকুড়া, 7 জানুয়ারি: বাঁকুড়ার কোতুলপুরে পাড়া মধ্যস্থ একটি পুকুরকে ভরাট করার অভিযোগ উঠল এক আশ্রম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৷ মৌখিকভাবে বারণ করে সুরাহা না মেলায় অবশেষে রুখে দাঁড়াল গ্রামবাসীরা (Villagers protest against pond Filling) । এলাকাবাসীর দাবি, বর্ষাকাল এলেই সমস্যায় পড়তে হয় তাদের ৷ বর্ষায় পুরো পাড়া জলমগ্ন হয়ে পড়ে । এই পুকুর তাদের একমাত্র লাইফ লাইন ৷ কারণ বর্ষাকালের অধিকাংশ জল নিকাশ করে এই পুকুর ৷ কিন্তু সেটাকেও চুপিসারে ভরাট করে দিচ্ছে আশ্রম কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ ।
রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে একাধিক নিয়ম লাগু করছে ৷ তবে এখানে সম্পূর্ণ এক উলটো ছবি ধরা পড়ল ৷ পুকুর ভরাট করে চলেছে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের সারদা পাঠচক্র আশ্রম । গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তারা এখানে দীর্ঘ 50 বছর ধরে বাস করছে ৷ বর্ষাকালীন জলের নিকাশি ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদেরকে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় । বর্ষাকালের ওই কটা মাস খুব সমস্যায় পড়তে হয় এলাকাবাসীকে ৷ এলাকায় নিকাশি সিস্টেম ঠিকঠাক না থাকায় এই বিপত্তি । এই পুকুর যা সারোদা পাঠচক্র আশ্রম ভরাট করে চলেছে তাদের একমাত্র ভরসা ৷ কারণ বর্ষাকালের পুরো জল এই পুকুর দিয়ে নিকাশ হয় । এই বিষয়ে তারা একাধিকবার বিভিন্ন স্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি বলে দাবি (Ashram authority accused of filling pond) ।
অবশেষে গ্রামবাসীদের অভিযোগে চাপে পড়ে পুকুর ভরাটের উপর একটি নিষেধাজ্ঞা নোটিশ লাগু করেছে স্থানীয় কোতুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত । সারদা পাঠচক্রের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত মহারাজ স্বামী বিশ্বানন্দ এ বিষয়ে বলেন, "পুকুরটি যখন কেনা হয়েছিল তখন এটা অন্য রেকর্ডে ছিল ৷ তাতে সেটাকে পুকুর দেখানো হচ্ছে ৷ আশ্রমের বিভিন্ন সেবামূলক কাজেই ব্যবহার হবে এই জমি ৷ তৎকালীন ভূমি আধিকারিক আমাকে মৌখিকভাবে বলেছিলে ওই পুকুরটি ভরাট করা যেতে পারে ।"
আরও পড়ুন: পুলিশের তৎপরতায় ভেস্তে গেল 'পুকুর চুরি'র মতলব
যদিও বর্তমানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভূমি আধিকারিক এই পুকুর ভরাটের বিষয়টিকে বৈধ নয় বলেই দাবি করেছেন । এ বিষয়ে কোতুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিতাই নন্দী বলেন, "লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভরাট বন্ধের নোটিশ দিয়েছি ৷ তারপরেও যদি কেউ এই কাজ করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে ।"