ETV Bharat / state

Durga Puja 2023: অযোধ্যার জমিদার বাড়ির 'ব্যাঘ্রবাহিনী'র আরাধনা এবার 199 বছরে - দুর্গাপুজো

199 Years Old Durga Puja of Ayodhya Zamindar Bari: বাঁকুড়ার অযোধ্যা গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায়দের জমিদারি ৷ 1805 সালে প্রতিষ্ঠাতা রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, এক নীলকর সাহেবের দান করা সম্পত্তির অর্থে এই জমিদারির সূচনা করেছিলেন ৷ সেই সঙ্গে 199 বছর আগে সূচনা দুর্গাপুজোর ৷ তবে, আর দশটা প্রতিমার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিল, বন্দ্যোপাধ্যায়দের দুর্গামূর্তি ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 26, 2023, 6:00 PM IST

অযোধ্যার জমিদার বাড়ির ব্যাঘ্রবাহিনীর আরাধনা

বাঁকুড়া, 26 সেপ্টেম্বর: উনিশ শতকের 1805 সালে বাঁকুড়ার অযোধ্যা গ্রাম ছিল বন্দ্যোপাধ্যায়দের জমিদারি ৷ সেই জমিদার বাড়িতে 199 বছর আগে দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তবে, এই পুজোয় দেবী দুর্গা সিংহবাহিনী নন, ব্যাঘ্রবাহিনী ৷ প্রতিমাতেও রয়েছে নজরকাড়া বিশেষ সাবেকিয়ানা ৷ দু’শো বছরের এই দুর্গাপুজোর জাঁকজমক আগের চেয়ে কমলেও, বন্দ্যোপাধ্যায়দের পুজোর ঐতিহ্য এবং রীতি আজ বজায় রয়েছে ৷

বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য এবং এই দুর্গাপুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা মনোহর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো শুরু করার সময় দেবী মূর্তিতে বিশেষত্ব চেয়েছিলেন ৷ তাই চণ্ডীমঙ্গলের বর্ণনা অনুযায়ী, দেবী দুর্গা সিংহবাহিনী নন, ব্যাঘ্রবাহিনী ৷ এখানে প্রতিমার মুখ ছাঁচে ফেলে তৈরি হয় না ৷ বংশপরম্পরার প্রতিমা শিল্পী হাতে তৈরি করেন দেবীর মুখ ৷ এরকম মূর্তি বাঁকুড়া জেলায় দ্বিতীয়টি দেখা যায় না বলেই দাবি মনোহর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷

পরিবারের বর্তমান সদস্যরা জানাচ্ছেন, অযোধ্যা এস্টেটের প্রতিষ্ঠাতা রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচয় হয় এক নীলকর সাহেবের সঙ্গে ৷ ওই নীলকর সাহেব যখন মৃত্যুশয্যায় সেই সময় তাঁর সম্পত্তির 50 শতাংশ রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দান করে গিয়েছিলেন ৷ সেই বিপুল অর্থের খানিকটা দিয়ে একটি মৌজা কিনে অযোধ্যা গ্রামেই জমিদারির সূচনা করেন রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কথিত, পরবর্তী সময়ে বাঁকুড়া ছাড়াও হুগলি, অবিভক্ত বর্ধমান ও অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রায় পঁচাশিটি মৌজার জমিদার হয়ে উঠেছিল বন্দ্যোপাধ্যায়রা ৷

আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে ভুট্টার বিভিন্ন অংশ দিয়ে মাতৃমূর্তি তৈরি করছেন অবসরপ্রাপ্ত হোমগার্ড

এমনকি কাশী, বেনারস ও তৎকালীন বিহারের বিভিন্ন জায়গায় সম্পত্তি তৈরি করেছিলেন বন্দ্যোপাধ্যায়রা ৷ জমিদারির রাজকোষে খাজনা জমা পড়ত বিপুল পরিমাণে ৷ তবে, নীলকর সাহেবদের মতো গ্রামের গরীব চাষীদের নীলচাষে বাধ্য করা হত না বলে জানিয়েছেন মনোহর বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ জমিদারির বিপুল আয়ে সেসময় অযোধ্যা গ্রামে ক্রমে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশাল জমিদারবাড়ি ও দেবোত্তর এস্টেট ৷ এস্টেটের মধ্যে দ্বাদশ শিবমন্দির, গিরি গোবর্ধন মন্দির, রাসমন্দির, ঝুলন মন্দির ও দুর্গা মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয় ৷ সেই পুরনো মন্দিরগুলি থাকলেও, নিয়মিত পুজো আজ আর হয় না ৷

অযোধ্যার জমিদার বাড়ির ব্যাঘ্রবাহিনীর আরাধনা

বাঁকুড়া, 26 সেপ্টেম্বর: উনিশ শতকের 1805 সালে বাঁকুড়ার অযোধ্যা গ্রাম ছিল বন্দ্যোপাধ্যায়দের জমিদারি ৷ সেই জমিদার বাড়িতে 199 বছর আগে দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তবে, এই পুজোয় দেবী দুর্গা সিংহবাহিনী নন, ব্যাঘ্রবাহিনী ৷ প্রতিমাতেও রয়েছে নজরকাড়া বিশেষ সাবেকিয়ানা ৷ দু’শো বছরের এই দুর্গাপুজোর জাঁকজমক আগের চেয়ে কমলেও, বন্দ্যোপাধ্যায়দের পুজোর ঐতিহ্য এবং রীতি আজ বজায় রয়েছে ৷

বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য এবং এই দুর্গাপুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা মনোহর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো শুরু করার সময় দেবী মূর্তিতে বিশেষত্ব চেয়েছিলেন ৷ তাই চণ্ডীমঙ্গলের বর্ণনা অনুযায়ী, দেবী দুর্গা সিংহবাহিনী নন, ব্যাঘ্রবাহিনী ৷ এখানে প্রতিমার মুখ ছাঁচে ফেলে তৈরি হয় না ৷ বংশপরম্পরার প্রতিমা শিল্পী হাতে তৈরি করেন দেবীর মুখ ৷ এরকম মূর্তি বাঁকুড়া জেলায় দ্বিতীয়টি দেখা যায় না বলেই দাবি মনোহর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷

পরিবারের বর্তমান সদস্যরা জানাচ্ছেন, অযোধ্যা এস্টেটের প্রতিষ্ঠাতা রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচয় হয় এক নীলকর সাহেবের সঙ্গে ৷ ওই নীলকর সাহেব যখন মৃত্যুশয্যায় সেই সময় তাঁর সম্পত্তির 50 শতাংশ রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দান করে গিয়েছিলেন ৷ সেই বিপুল অর্থের খানিকটা দিয়ে একটি মৌজা কিনে অযোধ্যা গ্রামেই জমিদারির সূচনা করেন রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কথিত, পরবর্তী সময়ে বাঁকুড়া ছাড়াও হুগলি, অবিভক্ত বর্ধমান ও অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রায় পঁচাশিটি মৌজার জমিদার হয়ে উঠেছিল বন্দ্যোপাধ্যায়রা ৷

আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে ভুট্টার বিভিন্ন অংশ দিয়ে মাতৃমূর্তি তৈরি করছেন অবসরপ্রাপ্ত হোমগার্ড

এমনকি কাশী, বেনারস ও তৎকালীন বিহারের বিভিন্ন জায়গায় সম্পত্তি তৈরি করেছিলেন বন্দ্যোপাধ্যায়রা ৷ জমিদারির রাজকোষে খাজনা জমা পড়ত বিপুল পরিমাণে ৷ তবে, নীলকর সাহেবদের মতো গ্রামের গরীব চাষীদের নীলচাষে বাধ্য করা হত না বলে জানিয়েছেন মনোহর বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ জমিদারির বিপুল আয়ে সেসময় অযোধ্যা গ্রামে ক্রমে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশাল জমিদারবাড়ি ও দেবোত্তর এস্টেট ৷ এস্টেটের মধ্যে দ্বাদশ শিবমন্দির, গিরি গোবর্ধন মন্দির, রাসমন্দির, ঝুলন মন্দির ও দুর্গা মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয় ৷ সেই পুরনো মন্দিরগুলি থাকলেও, নিয়মিত পুজো আজ আর হয় না ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.