আলিপুরদুয়ার, 13 অগাস্ট : জাতীয় সড়কে টোল প্লাজ়ায় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান ও আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এর ফলে আলিপুরদুয়ার থেকে অসমগামী 31 নম্বর জাতীয় সড়কে গুয়াবাড়িতে বন্ধ করে দেওয়া হল টোল প্লাজ়া । ভেঙে দেওয়া হয়েছে কম্পিউটার, CCTV সহ অনেককিছুই । CCTV-র হার্ডডিস্ক নিয়ে চলে গেছে দুষ্কৃতীরা ৷
গতরাতে আলিপুরদুয়ারের মহাকাল চৌপথি ও কামাক্ষ্যাগুড়ির মাঝে গুয়াবাড়ি টোল প্লাজ়াতে দশরথ তিরকেকে আটকান টোল প্লাজ়ার কর্মীরা । সেই সময় দশরথ তিরকের সঙ্গে থাকা একজন আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্লাজ়ার কর্মীদের ভয় দেখান বলে অভিযোগ ।
আলিপুরদুয়ারের গুয়াবাড়িতে ফোর লেনে জাতীয় সড়কে অবস্থিত এই টোল প্লাজ়ার সুপারভাইজ়ার অভিযোগ করেন, "বুধবার রাতে দশরথ তিরকের গাড়ি টোল প্লাজ়া অতিক্রম করার সময় দায়িত্বে থাকা কর্মী তাঁর কাছে ট্যাক্স দাবি করেন ৷ তা শুনে রেগে যান তিনি । এরপর আমাদের কর্মীদের উপর চড়াও হন। তাঁর সঙ্গে থাকা একজন আমাদের কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেন ৷ আজ সকালে আবার দশরথ তিরকের অনুগামীরা টোল প্লাজ়াতে ভাঙচুর চালান । টোল প্লাজ়ার কম্পিউটার, CCTV ও টোল বুথ ভাঙচুর করেন ।" ভাঙচুরের পরই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান টোল প্লাজ়ার কর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসেন পুলিশ কর্মীরা।
আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, "এমন ঘটনার খবর আমাকেকেই জানায়নি। আমি অসুস্থ । বাড়িতে আছি। দশরথের সঙ্গেও কথা হয়নি বিষয়টি নিয়ে ।" দশরথ তিরকে বলেন, "গতরাতে আমার গাড়ি আটকে গালিগালাজ করছিলেন টোলের কর্মীরা ৷ তা নিয়ে আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। আজ সকালে স্থানীয়রা টোলে ভাঙচুর করেছে বলে শুনেছি । আমি ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নই । আমি চেষ্টা করেছিলাম যাতে এমন ঘটনা না ঘটে।"