জলপাইগুড়ি/আলিপুরদুয়ার, 16 ডিসেম্বর: অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় চা বাগানের শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল ৷ যে ঘটনায় আজ রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ সেই ইস্যুতে শুভেন্দু জানান, একমাত্র বিজেপি চা বাগানের দরিদ্র শ্রমিকদের দাবি এবং অভাব-অভিযোগের সমাধান করতে পারবে ৷ অন্য কোনও রাজনৈতিক দল তা কোনও দিনই করবে না ৷ আলিপুরদুয়ারের বন্ধ ঢেকলাপাড়া চা বাগানের এক শ্রমিকের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনায়, স্থানীয় বিধায়ক মনোজ টিগ্গা অভিযোগ করেন, অ্যাম্বুল্যান্স চেয়েও পাওয়া যায়নি ৷ এই ইস্যুতে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরে বাড়ি ভাড়ার প্রসঙ্গ টানেন মাদারিহাট-বীরপাড়ার বিধায়ক ৷
শুভেন্দু অধিকারী এদিন অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার উত্তরবঙ্গের জনজাতির উন্নয়নে কোনও কাজ করেনি ৷ বরং বিজেপি দেশ জুড়ে জনজাতির মানুষকে প্রথমসারিতে এনে বসিয়েছে ৷ একমাত্র বিজেপিই জনজাতির প্রতিনিধি হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি করেছে ৷ এমনকি সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বাছা হয়েছে একজন জনজাতিকে ৷ আর এই সবটাই বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদি করেছেন বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা ৷ জনজাতির বঞ্চনার প্রসঙ্গেই চা বাগানের শ্রমিকদের বেহাল দশার কথা তুলে ধরেন তিনি ৷ অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার চা বাগানের দরিদ্র শ্রমিকদের কথা ভাবে না ৷ একমাত্র বিজেপি ক্ষমতায় এলেই চা বাগানের শ্রমিকদের উন্নয়ন সম্ভব বলে দাবি করেন শুভেন্দু ৷
ঢেকলা পাড়া চা বাগানে বিনা চিকিৎসায় শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগে, রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন স্থানীয় বিধায়ক মনোজ টিগ্গা ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার বিধানসভা কেন্দ্রের একটি চা বাগানের শ্রমিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স চেয়ে পাওয়া যায়নি ৷ আমার এলাকায় এক শ্রমিক বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন ৷ দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ারে জলপাইগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী ঘুরে বেড়ালেন ৷ কিন্তু, বন্ধ চা বাগান একটি বার দেখে যেতে পারলেন না ৷ এদিকে ভাইপোর বিয়েতে 80 জন ডাক্তার নিয়ে চললেন ৷ 1 লক্ষ 20 হাজার টাকার ভাড়া বাড়িতে কার্শিয়াংয়ে থাকলেন ৷ আর ঢেকলা পাড়া চা বাগানের শ্রমিক সুশীল ওঁরাও বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন ৷’’
তিনি অভিযোগ করেন, অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ার বিষয় যেমন রয়েছে ৷ তেমনি চা বাগানের শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারের চিকিৎসায় সামান্য ওষুধ পর্যন্ত পাওয়া যায় না ৷ কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে তিনি নিজে মাদারিহাট-বীরপাড়ার বিধায়ক ৷ তাহলে তিনি নিজে কেন এ নিয়ে বিধানসভায় বা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলছেন না ? অন্যদিকে, অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা না পাওয়া নিয়ে বীরপাড়া রাজ্য স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক কৌশিক গড়াই জানান, হাসপাতালের সব অ্যাম্বুল্যান্স খারাপ ৷ ফলে পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না ৷
আরও পড়ুন: