ETV Bharat / state

Panchayat Elections 2023: ছেলের বিয়ে, ভোটের ডিউটি এড়াতে একই আসনে নির্দল প্রার্থী পরিবারের 7

পরিবারে ছেলের বিয়ে । সেই বিয়েতে অংশ নেওয়ার জন্য একই আসনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালেন পরিবারের 7 জন ৷ ভোটের ডিউটি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা ৷ অভিজিৎ বোসের প্রতিবেদন ৷

Panchayat Elections
Panchayat Elections
author img

By

Published : Jul 3, 2023, 2:28 PM IST

ছেলের বিয়েতে ভোটের ডিউটি এড়াতে অভিনব উপায়

আলিপুরদুয়ার, 3 জুলাই: পরিবারে ছেলের বিয়ে বলে কথা ! বিয়ের আসর ছেড়ে যেতে হবে ভোটের ডিউটি ? চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল আলিপুরদুয়ারের পাল পরিবার ৷ কারণ পরিবারে অনেকেই সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষক ৷ তাই নিয়ম অনুযায়ী অংশ নিতে হবে ভোটের কাজে । তবে এই কাজ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার অভিনব উপায় খুঁজে নিলেন পরিবারের সদস্যরা ৷ বিয়েবাড়ি ফেলে যাতে ভোটের ডিউটি করতে যেতে না হয়, সে জন্য সংবিধানকেই হাতিয়ার করেছেন তাঁরা ৷ একই আসন থেকে পাল পরিবারের 7 জন নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে পড়েছেন । আর এভাবেই 500 টাকা জমা করে তাঁরা নিজেদের নির্বাচনী কাজকর্ম থেকে সরিয়ে নিয়েছেন ৷

ভোটের ডিউটি এড়াতে প্রার্থী: উদ্দেশ্য একটাই, ভোটকর্মী হিসেবে নিজেদের নাম কাটানো ৷ আর সেই জন্য আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর গ্রামের পালপাড়ায় এক জ্ঞাতির মধ্যে 7 জন ভোটে দাঁড়িয়েছেন । তাও আবার নির্দল প্রার্থী হয়ে । ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের 12 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী মোট 25 জন । তার মধ্যে নির্দল প্রার্থীই 22 জন । একটি আসনে 25 জন প্রার্থীর লড়াই 2023 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে রেকর্ড বলেই দাবি আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের ।

একই আসনে প্রার্থী 25: তবে 90% প্রার্থীরই ভোটে জেতা প্রকৃত উদ্দেশ্য নয় । ভোটকর্মী হিসেবে যাতে ডাক না পড়ে, সেটাই তাঁদের ভোটে দাঁড়ানোর মূল লক্ষ্য । পঞ্চায়েত সমিতির একই আসনে 25 জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় চোখ কপালে উঠেছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের । কারণ একটি আসনের জন্য 25 জন প্রার্থীর নাম একটি ব্যালটে ঠিক কীভাবে ছাপা হবে তা নিয়েই চিন্তায় পড়ে তারা । একসঙ্গে 25 জনের ব্যালট ছাপার মতো পরিকাঠামো আলিপুরদুয়ার জেলায় নেই । তাই তারা কোচবিহার থেকে ব্যালট ছাপাচ্ছে ।

আরও পড়ুন: 'একই কাজ করছেন শরদ-মমতা', মহারাষ্ট্র ও বাংলার কী মিল পেলেন সুকান্ত ?

কিন্তু কেন এত প্রার্থী, তা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে চোখ কপালে উঠেছে ফালাকাটা ব্লক প্রশাসনের । জানা যায়, পঞ্চায়েত সমিতির আসনটিতে ত্রিমুখী নির্বাচনী লড়াই হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে । কিন্তু বাকি 22 জন প্রার্থী কোনও দলের গোঁজ কি না, তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায়, যত জট জটেশ্বরের পালপাড়ায় ।

ভোটের আগের দিন বউভাত: জটেশ্বর পালপাড়ার পাল পরিবারে হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জীবনকৃষ্ণ পালের ছেলের বিয়ে । আগামী 5 তারিখ বিয়ের অনুষ্ঠান । আগামী 7 তারিখ বউভাত । আর তার ঠিক পরের দিনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন । ফলে বিয়ে ফেলে পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটি কীভাবে করবেন, এই নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা ৷ ফলে ভোটের ডিউটি এড়াতেই প্রার্থী হয়েছেন পালবাড়ির 7 জন সদস্য/সদস্যা ।

জটেশ্বর হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জীবনকৃষ্ণ পাল বলেন, আগামী 5 তারিখ ছেলের বিয়ে । 7 তারিখ বউভাত । ফলে ভোটের ডিউটি করলে ট্রেনিং নেওয়া, ভোটের ডিউটিতে যাওয়া, এগুলির ক্ষেত্রে ভাইদের সমস্যা হবে ৷ বিয়েতে তাঁরা থাকতে পারবেন না । তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকার জন্যই ওঁরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন ।

পেশায় শিক্ষক নির্দল প্রার্থী গোবিন্দ পাল জানান, "এই ভোটে ভয় হচ্ছে । পাশাপাশি আমার ভাইপোর বিয়ে 5 তারিখে ৷ তাই ভোটের ডিউটি করা সম্ভব নয় । তাই আমি প্রার্থী হয়েছি ।" আর এক নির্দল প্রার্থী শিপ্রা দাস পাল বলেন, "আমার বাচ্চা ছোট । তাছাড়া ভাসুরের ছেলের বিয়ে, তাই আমি ও আমার স্বামী স্বপন পাল ভোটে দাঁড়িয়েছি । এটা আমার নৈতিক জয় ।"

ছেলের বিয়েতে ভোটের ডিউটি এড়াতে অভিনব উপায়

আলিপুরদুয়ার, 3 জুলাই: পরিবারে ছেলের বিয়ে বলে কথা ! বিয়ের আসর ছেড়ে যেতে হবে ভোটের ডিউটি ? চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল আলিপুরদুয়ারের পাল পরিবার ৷ কারণ পরিবারে অনেকেই সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষক ৷ তাই নিয়ম অনুযায়ী অংশ নিতে হবে ভোটের কাজে । তবে এই কাজ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার অভিনব উপায় খুঁজে নিলেন পরিবারের সদস্যরা ৷ বিয়েবাড়ি ফেলে যাতে ভোটের ডিউটি করতে যেতে না হয়, সে জন্য সংবিধানকেই হাতিয়ার করেছেন তাঁরা ৷ একই আসন থেকে পাল পরিবারের 7 জন নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে পড়েছেন । আর এভাবেই 500 টাকা জমা করে তাঁরা নিজেদের নির্বাচনী কাজকর্ম থেকে সরিয়ে নিয়েছেন ৷

ভোটের ডিউটি এড়াতে প্রার্থী: উদ্দেশ্য একটাই, ভোটকর্মী হিসেবে নিজেদের নাম কাটানো ৷ আর সেই জন্য আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর গ্রামের পালপাড়ায় এক জ্ঞাতির মধ্যে 7 জন ভোটে দাঁড়িয়েছেন । তাও আবার নির্দল প্রার্থী হয়ে । ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের 12 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী মোট 25 জন । তার মধ্যে নির্দল প্রার্থীই 22 জন । একটি আসনে 25 জন প্রার্থীর লড়াই 2023 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে রেকর্ড বলেই দাবি আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের ।

একই আসনে প্রার্থী 25: তবে 90% প্রার্থীরই ভোটে জেতা প্রকৃত উদ্দেশ্য নয় । ভোটকর্মী হিসেবে যাতে ডাক না পড়ে, সেটাই তাঁদের ভোটে দাঁড়ানোর মূল লক্ষ্য । পঞ্চায়েত সমিতির একই আসনে 25 জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় চোখ কপালে উঠেছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের । কারণ একটি আসনের জন্য 25 জন প্রার্থীর নাম একটি ব্যালটে ঠিক কীভাবে ছাপা হবে তা নিয়েই চিন্তায় পড়ে তারা । একসঙ্গে 25 জনের ব্যালট ছাপার মতো পরিকাঠামো আলিপুরদুয়ার জেলায় নেই । তাই তারা কোচবিহার থেকে ব্যালট ছাপাচ্ছে ।

আরও পড়ুন: 'একই কাজ করছেন শরদ-মমতা', মহারাষ্ট্র ও বাংলার কী মিল পেলেন সুকান্ত ?

কিন্তু কেন এত প্রার্থী, তা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে চোখ কপালে উঠেছে ফালাকাটা ব্লক প্রশাসনের । জানা যায়, পঞ্চায়েত সমিতির আসনটিতে ত্রিমুখী নির্বাচনী লড়াই হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে । কিন্তু বাকি 22 জন প্রার্থী কোনও দলের গোঁজ কি না, তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায়, যত জট জটেশ্বরের পালপাড়ায় ।

ভোটের আগের দিন বউভাত: জটেশ্বর পালপাড়ার পাল পরিবারে হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জীবনকৃষ্ণ পালের ছেলের বিয়ে । আগামী 5 তারিখ বিয়ের অনুষ্ঠান । আগামী 7 তারিখ বউভাত । আর তার ঠিক পরের দিনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন । ফলে বিয়ে ফেলে পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটি কীভাবে করবেন, এই নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা ৷ ফলে ভোটের ডিউটি এড়াতেই প্রার্থী হয়েছেন পালবাড়ির 7 জন সদস্য/সদস্যা ।

জটেশ্বর হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জীবনকৃষ্ণ পাল বলেন, আগামী 5 তারিখ ছেলের বিয়ে । 7 তারিখ বউভাত । ফলে ভোটের ডিউটি করলে ট্রেনিং নেওয়া, ভোটের ডিউটিতে যাওয়া, এগুলির ক্ষেত্রে ভাইদের সমস্যা হবে ৷ বিয়েতে তাঁরা থাকতে পারবেন না । তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকার জন্যই ওঁরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন ।

পেশায় শিক্ষক নির্দল প্রার্থী গোবিন্দ পাল জানান, "এই ভোটে ভয় হচ্ছে । পাশাপাশি আমার ভাইপোর বিয়ে 5 তারিখে ৷ তাই ভোটের ডিউটি করা সম্ভব নয় । তাই আমি প্রার্থী হয়েছি ।" আর এক নির্দল প্রার্থী শিপ্রা দাস পাল বলেন, "আমার বাচ্চা ছোট । তাছাড়া ভাসুরের ছেলের বিয়ে, তাই আমি ও আমার স্বামী স্বপন পাল ভোটে দাঁড়িয়েছি । এটা আমার নৈতিক জয় ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.