আলিপুরদুয়ার, 4 সেপ্টেম্বর : স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আলিপুরদুয়ার জেলা দায়রা আদালত । দোষী ব্যক্তির নাম বিজয় তামাং । সে আলিপুরদুয়ার কালচিনি ব্লকের দলসিং পাড়ার বাসিন্দা ।
আলিপুরদুয়ার আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত নারায়ণ মজুমদার জানান, ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর রাতে বিজয় তামাং তার স্ত্রী তাড়াকুড়ি তামাং-কে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে । এরপর রাত দুটো নাগাদ জয়গাঁ-তে তার শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে বলে, "আপনাদের মেয়ে রাত আটটার দিকে ঘুমিয়েছে । এখনও উঠছে না ।" এই খবর শোনার পর তার এক ছেলেকে মেয়ের বাড়িতে পাঠায় বিজয়ের শ্বশুর ৷ সে গিয়ে দেখে, তার বোন বিছানায় পড়ে আছে । সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন । পর দিন জয়গাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ এরপর বিজয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।
আরও পড়ুন : নির্বাচনে হারের পরই বন্ধ সরকারি প্রকল্প, কচু শাক খেয়ে দিন গুজরান আদিবাসীদের !
গতকাল বিজয় তামাংকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন করাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন আলিপুরদুয়ার জেলা দায়রা আদালতের বিচারক নরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত । এই ঘটনায় ১৩ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে । তবে এই খুনের একমাত্র সাক্ষী মৃতের ছয় বছরের সন্তান ভিকি তামাং ।
প্রশান্ত নারায়ণ মজুমদার জানান, ভিকি তামাং প্রথমে আদালতে গোপন জবানবন্দী দেয় যে বাবা তার মাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে । তবে আদালতে সাক্ষী দেওয়ার সময় ভিকি বলে, তার মা লস্যি খেয়ে মারা গেছে । এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে বিচারপতি বিজয়ের কাছে জানতে চায় যে তার সামনে কীভাবে স্ত্রী মারা গেল । বিজয় আদালতে ঘটনাটি খুলে বলে । খুনে ব্যবহৃত লাঠিও পুলিশের হাতে তুলে দেয় । এরপর টানা শুনানির পর গতকাল বিজয়কে দোষীসাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত ।
গতকাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন বিজয়ের দিদি । ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ । এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি ।