ETV Bharat / state

স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনে যাবজ্জীবন ব্যক্তির - wife murder

স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আলিপুরদুয়ার জেলা দায়রা আদালত । এই ঘটনায় ১৩ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে ।

অভিযুক্ত বিজয় তামাং
author img

By

Published : Sep 4, 2019, 7:23 AM IST

আলিপুরদুয়ার, 4 সেপ্টেম্বর : স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আলিপুরদুয়ার জেলা দায়রা আদালত । দোষী ব্যক্তির নাম বিজয় তামাং । সে আলিপুরদুয়ার কালচিনি ব্লকের দলসিং পাড়ার বাসিন্দা ।

আলিপুরদুয়ার আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত নারায়ণ মজুমদার জানান, ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর রাতে বিজয় তামাং তার স্ত্রী তাড়াকুড়ি তামাং-কে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে । এরপর রাত দুটো নাগাদ জয়গাঁ-তে তার শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে বলে, "আপনাদের মেয়ে রাত আটটার দিকে ঘুমিয়েছে । এখনও উঠছে না ।" এই খবর শোনার পর তার এক ছেলেকে মেয়ের বাড়িতে পাঠায় বিজয়ের শ্বশুর ৷ সে গিয়ে দেখে, তার বোন বিছানায় পড়ে আছে । সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন । পর দিন জয়গাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ এরপর বিজয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।

আরও পড়ুন : নির্বাচনে হারের পরই বন্ধ সরকারি প্রকল্প, কচু শাক খেয়ে দিন গুজরান আদিবাসীদের !

গতকাল বিজয় তামাংকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন করাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন আলিপুরদুয়ার জেলা দায়রা আদালতের বিচারক নরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত । এই ঘটনায় ১৩ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে । তবে এই খুনের একমাত্র সাক্ষী মৃতের ছয় বছরের সন্তান ভিকি তামাং ।

প্রশান্ত নারায়ণ মজুমদার জানান, ভিকি তামাং প্রথমে আদালতে গোপন জবানবন্দী দেয় যে বাবা তার মাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে । তবে আদালতে সাক্ষী দেওয়ার সময় ভিকি বলে, তার মা লস্যি খেয়ে মারা গেছে । এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে বিচারপতি বিজয়ের কাছে জানতে চায় যে তার সামনে কীভাবে স্ত্রী মারা গেল । বিজয় আদালতে ঘটনাটি খুলে বলে । খুনে ব্যবহৃত লাঠিও পুলিশের হাতে তুলে দেয় । এরপর টানা শুনানির পর গতকাল বিজয়কে দোষীসাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত ।

গতকাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন বিজয়ের দিদি । ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ । এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি ।

আলিপুরদুয়ার, 4 সেপ্টেম্বর : স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আলিপুরদুয়ার জেলা দায়রা আদালত । দোষী ব্যক্তির নাম বিজয় তামাং । সে আলিপুরদুয়ার কালচিনি ব্লকের দলসিং পাড়ার বাসিন্দা ।

আলিপুরদুয়ার আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত নারায়ণ মজুমদার জানান, ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর রাতে বিজয় তামাং তার স্ত্রী তাড়াকুড়ি তামাং-কে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে । এরপর রাত দুটো নাগাদ জয়গাঁ-তে তার শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে বলে, "আপনাদের মেয়ে রাত আটটার দিকে ঘুমিয়েছে । এখনও উঠছে না ।" এই খবর শোনার পর তার এক ছেলেকে মেয়ের বাড়িতে পাঠায় বিজয়ের শ্বশুর ৷ সে গিয়ে দেখে, তার বোন বিছানায় পড়ে আছে । সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন । পর দিন জয়গাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ এরপর বিজয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।

আরও পড়ুন : নির্বাচনে হারের পরই বন্ধ সরকারি প্রকল্প, কচু শাক খেয়ে দিন গুজরান আদিবাসীদের !

গতকাল বিজয় তামাংকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন করাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন আলিপুরদুয়ার জেলা দায়রা আদালতের বিচারক নরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত । এই ঘটনায় ১৩ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে । তবে এই খুনের একমাত্র সাক্ষী মৃতের ছয় বছরের সন্তান ভিকি তামাং ।

প্রশান্ত নারায়ণ মজুমদার জানান, ভিকি তামাং প্রথমে আদালতে গোপন জবানবন্দী দেয় যে বাবা তার মাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে । তবে আদালতে সাক্ষী দেওয়ার সময় ভিকি বলে, তার মা লস্যি খেয়ে মারা গেছে । এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে বিচারপতি বিজয়ের কাছে জানতে চায় যে তার সামনে কীভাবে স্ত্রী মারা গেল । বিজয় আদালতে ঘটনাটি খুলে বলে । খুনে ব্যবহৃত লাঠিও পুলিশের হাতে তুলে দেয় । এরপর টানা শুনানির পর গতকাল বিজয়কে দোষীসাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত ।

গতকাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন বিজয়ের দিদি । ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ । এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি ।

Intro:আলিপুরদুয়ার:-নিজের স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনাল আলিপুরদুয়ার জেলা দায়রা আদালত ।


Body:দোষী ব্যক্তির নাম বিজয় তামাং ।সে আলিপুরদুয়ার কালচিনি ব্লকের দলসিং পাড়ার বাসিন্দা ।আলিপুরদুয়ার আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত নারায়ণ মজুমদার জানান ২০১৪ সালের ১ লা নভেম্বর রাতে দোষী বিজয় তামাং তার স্ত্রী তাড়াকুড়ি তামাঙকে ছয় বছরের পুত্র সন্তানের সামনে ঘরের মধ্যেই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ।ওই দিন রাতে দুটো নাগাদ বিজয় তামাং জয়গাওঁতে তার শশুর রামলাল কুরিকে কে ফোন করে জানায় যে আপনার মেয়ে রাত আটটার দিকে ঘুমিয়েছে ।এখনো সে ঘুম থেকে উঠছে না ।এই খবর শোনার পর রামলাল বাবু তার এক ছেলেকে বিজয়ের বাড়িতে পাঠায় ।ছেলে গিয়ে দেখে তার বোনের শরীর নিথর হয়ে বিছানায় পরে আছে ।বোনের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ।পরের দিন ২ রা নভেম্বর রামলাল বাবু তার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ দায়ের করে জয়গাওঁ থানায় ।রামলাল বাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করে ।এবং বিজয়কে গ্রেফতার করে । সরকারি কৌঁসুলি জানান দীর্ঘদিন মামলার সাক্ষী চলার পর আজ বিচারক নরেন্দ্র নাথ দাসগুপ্ত বিজয় তামাঙকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন করাদণ্ডের রায় শুনিয়েছেন ।এই ঘটনায় মোট ১৩ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে । তবে ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে ঘটে যাওয়া এই খুনের একমাত্র সাক্ষ্য নিহতের ছয় বছরের পুত্র সন্তান বিকি তামাং । প্রশান্ত মজুমদার জানান ভিকি তামাং প্রথমে আদালতে গোপন জবানবন্দি দেয় যে তার বাবা তার মাকে তার সামনে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে ।যাবে আদালতে সাক্ষী দেবার সময় ভিকি বলে তার মা লস্যি খেয়ে মারা গেছে। তবে চার দেয়ালের মধ্যে ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনা এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে বিচারপতি বিজয়ের কাছে জানতে চায় আপনার উপস্থিতিতে আপনার সামনে কি ভাবে মারা গেল তার বর্ণনা দিন । এর পর বিজয় আদালতকে গোটা ঘটনা খুলে বলে । এবং খুনে ব্যবহৃত সেই লাঠিও পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিজয় ।এর পর টানা স্বাক্ষী গ্রহণের পর আজ আদালত বিজয় কে আজীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায় ।


Conclusion:এদিন বিজয়ের সাজা শোনানোর সময় আদালতে উপস্থিত ছিলো বিজয়ের দিদি ।সে জানায় আমার ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে ।সে এই ধরণের ছেলে না । আমরা এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যাবো ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.