আলিপুরদুয়ার, 13 জানুয়ারি : নতুন বছরের শুরুতেই জলদাপাড়া জাতিয় উদ্যান লাগোয়া খয়েরবাড়িতে আগমন হল নতুন অতিথির । বয়স প্রায় 3 মাস । ঠিকমতো চোখও ফোটেনি মা হারা এই চিতাবাঘ শাবকের । কিছুদিন আগেই গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন চা বাগানের থেকে উদ্ধার হয় শাবকটি । তারপরই শাবকটিকে নিয়ে আসা হয়েছে খয়েরবাড়ি চিতা বাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে । আপাতত ছোট্ট শাবকটির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন অভিজ্ঞ বনকর্মী পার্থসারথি সিনহা। শাবকটিকে নজরে রেখেছেন চিকিৎসক উৎপল শর্মা ।
জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, "খয়েরবাড়ির অতীতের রেকর্ডই সাফল্যের কথা বলে । এত অল্প বয়সী একটি শাবককে বাঁচিয়ে রাখার কাজ যথেষ্টই কঠিন । তবে নিযুক্ত কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা করে চলছে ।" এতে সাফল্য পাবেন বলেই আশাবাদী ডিএফও কুমার বিমল । এদিকে সহ বন্যপ্রাণ সহায়ক দেবদর্শন রায় বলেন, "উদ্ধার হওয়ার পর এখানে নিয়ে আসার পর থেকেই নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই শাবকটির দেখভাল চলছে ।"
গত বছরের শেষে বেঙ্গল সাফারি পার্কে মৃত্যু হয় খয়ের বাড়ির চিতাবাঘ সচিনের । তবে বছরের শুরুতেই ছোট্ট নতুন অতিথি আসায় আনন্দ ও উৎসাহ দুই ছড়িয়েছে খয়েরবাড়ির বনকর্মীদের মধ্যে । সচিন, সৌরভের মত জনপ্রিয় চিতাবাঘের জুটিকে মাত্র 15 দিন বয়সে আলিপুরদুয়ারের একটি চা বাগান থেকে উদ্ধার করে খয়েরবাড়িতে আনা হয়েছিল । রীতিমতো চ্যালেঞ্জ নিয়ে তখন ওই দুটি শাবককে বাঁচিয়ে তোলেন বনকর্মীরা । আপাতত শাবকটিকে দিনে 200 গ্রাম মুরগির মাংস তিনবার করে খাওয়ানো হচ্ছে । তবে মূল সমস্যা রাতের বেলা ডুয়ার্সের ঠান্ডা । রয়েছে মায়ের দুধের অভাব । আপাতত চোখ না ফুটলেও আচরণ স্বাভাবিকই রয়েছে শাবকটির ।